গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হলো গ্যাসের সমস্যা। এটি যেকোনো সময়, যেকোনো মানুষের জন্যই অনেক বেশি অস্বস্তির হতে পারে। আর গর্ভাবস্থায় গ্যাসের সমস্যা আরো বেশি হয় বলে মা শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে কিছুটা হীনমন্যতায় ভুগে থাকেন। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের পেটে প্রতিদিন ১ থেকে ৩ পিন্ট গ্যাস উৎপন্ন হয়। এবং দিনে একজন মানুষ সাধারণত ১২-১৪ বার ঢেঁকুর তোলে বা বায়ু ত্যাগ করে। কারো কারো ক্ষেত্রে গ্যাস বলতে বোঝায় বদহজমের কারণে পেটে ফোলা ভাব, তবে বেশীর ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে বায়ু ত্যাগ করাকেই গ্যাস বলে। বায়ু ত্যাগ করাকে ডাক্তারি…
বিস্তারিত পড়ুনCategory: গর্ভকালীন অসুখ ও সমস্যা
গর্ভাবস্থায় চোখের কি কি সমস্যা হতে পারে?
গর্ভাবস্থায় নারীদের শরীরে আসে অনেক পরিবর্তন। গর্ভবস্থায় নারীদের সাধারনত ওজন বৃদ্ধি, বমি ভাব, খাদ্যভ্যাসে পরিবর্তন, ব্যাক পেইন, পায়ে পানি আসা সহ অনেক রকম সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু সবাই হয় তো জানে না গর্ভাবস্থায় চোখের সমস্যা ও হতে পারে। শতকরা ১৫ ভাগ গর্ভবতী মহিলায় এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে হরমোন, বিপাক, তরল ধারন এবং রক্ত প্রবাহে যেসব পরিবর্তন আসে তার সবকিছুই মায়ের চোখ এবং চোখের দৃষ্টির উপর প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন- এ সময় শরীর তরল ধরে রাখে বলে মায়ের চোখের কর্নিয়ার ঘনত্ব কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। এটা যদিও…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা মুত্রনালীর সংক্রমণ
ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা মুত্রনালীর সংক্রমণ কি? আমাদের শরীরের দুটি কিডনি ( যেখানে মুত্র উৎপন্ন হয়) , দুটি ইউরেটার (যার মাধ্যমে মুত্র কিডনি থেকে ব্লাডারে আসে), একটি ইউরিনারি ব্লাডার বা মূত্রথলি( যেখানে মুত্র জমা হয়) এবং ইউরেথ্রা বা মূত্রনালি (যার মাধ্যমে মুত্র শরীর থেকে বেড়িয়ে যায়) নিয়ে মূত্রতন্ত্র গঠিত। মূত্রতন্ত্রের যেকোনো অংশে জীবাণু সংক্রমণ হলে তাকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা মুত্রনালীর সংক্রমণ বলে। কিডনি, মূত্রনালি বা মূত্রথলি অথবা একাধিক অংশে একসঙ্গে ইনফেকশন হতে পারে। গর্ভাবস্থায় যদি এ সংক্রমণ হয়, আর এর যদি চিকিৎসা না হয়, একদিকে মায়ের যেমন ক্ষতি হতে…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব বা মর্নিং সিকনেস
মর্নিং সিকনেস কি? একে মর্নিং সিকনেস বলা হয় কেন? গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব বা বমি হওয়াকে মর্নিং সিকনেস বলা হয়ে থাকে। তবে এই নামকরণে ভুল রয়েছে বলা যেতে পারে কারণ গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব শুধু সকালবেলাতে নয়, বরং সারাদিনই থাকতে পারে কিংবা দিনের কোনো কোনো সময় অনুভূত হতে পারে । কিছু মায়েদের সকালে বমি বমিভাব খুব বেশি থাকতে পারে এবং দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা কমে আসে।আর অধিকাংশ মায়েদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা দিনভর চলতেই থাকে। লক্ষণগুলোর তীব্রতা একজন মা থেকে অন্যজনের ভিন্ন হতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের প্রায় তিন চতুর্থাংশই তাদের গর্ভধারণের…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় ভেরিকোস ভেইন বা স্ফীত শিরা
ভেরিকোস ভেইন কি? ভেরিকোস ভেইন হোল অস্বাভাবিকভাবে স্ফীত হয়ে যাওয়া শিরা যা চামড়ার উপর দিয়ে দেখা যায়। নীল বা বেগুনি রঙের আঁকাবাঁকা শিরাগুল সাধারণত পায়ে দেখা যায়। তবে গর্ভাবস্থায় ভেরিকোস ভেইন নিতম্বে বা ভ্যাজিনাল এরিয়াতেও দেখা যেতে পারে। অর্শরোগ বা Hemorrhoids একধরনের ভেরিকোস ভেইন যা গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে হয়ে থাকে। অনেকেরই গর্ভাবস্থায় প্রথমবারের মত ভেরিকোস ভেইন দেখা দিতে পারে। ভেরিকোস ভেইনের ফলে কোন ব্যাথা অনুভূত নাও হতে পারে আবার হাল্কা বা বেশী ব্যথাও হতে পারে আবার পা ভারী লাগতে পারে। ভেরিকোস ভেইনের আশেপাশে চুলকানি বা জ্বলুনি হতে পারে বা স্পন্দিত…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা বা ব্যাক পেইন : কারণ ও করনীয়
গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা বা ব্যাক পেইনের সমস্যায় কম বেশী সব মহিলায় ভোগেন। গর্ভাবস্থার যে কোন সময় এ উপসর্গ দেখা দিতে পারে তবে শেষের দিকে যখন গর্ভের শিশু বড় হতে থাকে তখন এ ব্যাথা বেশী দেখা যায়। গবেষনার তথ্য অনুযায়ী শতকরা ৫০-৭০ ভাগ মহিলাই গর্ভাবস্থায় ব্যাক পেইনে ভোগেন। গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা বা ব্যাক পেইন কেন হয়? গর্ভাবস্থায় পিঠে ব্যথা হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। কিছু কিছু মায়েরা গর্ভধারণের শুরু থেকেই এতে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে যেসব মায়েদের ওজন বেশী থাকে বা গর্ভধারণের আগে থেকেই যাদের ব্যাক পেইনের সমস্যা থাকে তাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায়…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ- কখন স্বাভাবিক, কখন নয়
গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ বা যোনীপথে স্পটিং হওয়া স্বাভাবিক বিশেষ করে গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে। প্রতি ৪ জন মায়ের ১ জনের প্রথম ট্রাইমেস্টারের শুরুর দিকে হালকা রক্তপাত হয়। এটি কোন সমস্যার কারণ নাও হতে পারেই। কিন্তু যেহেতু রক্তপাত হওয়া অন্য আরও জটিলতার লক্ষন হতে পারে তাই এটি দেখা গেলেই দেরী না করে ডাক্তারকে জানানো উচিত যাতে তিনি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যে সবকিছু ঠিক আছে কিনা। গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ কোন গুরুতর সমস্যার কারণ নাও হতে পারে আবার তা কোন মারাত্মক জটিলতারও লক্ষন হতে পারে, যেমন- এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি, গর্ভপাত বা প্লাসেন্টা জনিত কোন সমস্যা ইত্যাদি।…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব | লিউকোরিয়া
প্রত্যেকটি নারীরই বয়ঃশন্ধির এক বা দু বছর আগে থেকে ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ বা স্রাব নির্গত হতে পারে যা মেনোপজ এর পর বন্ধ হয়ে যায়। সাদা স্রাব নির্গত হওয়ার পরিমান বিভিন্ন সময় পরিবর্তিত হতে পারে বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। সাধারনত পিরিয়ডের আগে এর পরিমান বেড়ে যায়। এ স্রাব সাধারণত গন্ধবিহীন বা হাল্কা গন্ধযুক্ত, দুধের মত সাদা বা পরিষ্কার হয়ে থাকে যা লিউকোরিয়া নামেও পরিচিত। গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব নির্গত হওয়া কি স্বাভাবিক? গর্ভবতী হলে সাদা স্রাব নির্গত হওয়া খুবই স্বাভাবিক। অন্য সময়ের তুলনায় গর্ভাবস্থায় এর পরিমাণও বেশী থাকে…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় এডিমা বা শরীরে পানি আসা বা শরীর ফুলে যাওয়া
শরীরের টিস্যুতে অতিরিক্ত তরল জমা হওয়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যাওয়াকে এডিমা বা শরীরে পানি আসা বলে। এডিমার কারণে শরীরের যেকোনো অংশ ফুলে যেতে পারে তবে হাত ও পায়ে এর প্রভাব বেশী দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় এ ধরনের ফোলা খুবই স্বাভাবিক বিশেষ করে পায়ের গোড়ালি এবং পায়ের পাতায়, কারণ এ সময় শরীরের টিস্যুগুলো অতিরিক্ত পানি ধরে রাখে। শরীরে পানি কেন আসে বা শরীর ফুলে যায় কেন? গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির কারনে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে গর্ভবতি অবস্থায় একজন মায়ের শরীরে প্রায় ৫০ ভাগ বেশী রক্ত ও তরল উৎপন্ন হয়। এই অতিরিক্ত রক্ত…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত গন্ধপ্রবন হয়ে ওঠা
তিন ভাগের দুই ভাগ মহিলায় বলেন তারা গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত গন্ধ প্রবন হয়ে ওঠেন বিশেষ করে প্রথম ট্রাইমেস্টারে। প্রকৃতপক্ষে এই গন্ধ প্রবন হয়ে ওঠাকেই গর্ভবতী হওয়ার প্রধান লক্ষন হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। আগে যেসব গন্ধ ভালো লাগতোনা তা হয়তো এ সময় আরও প্রকট হয়ে ওঠে কিন্তু যেসব গন্ধ আগে পছন্দ করতেন তাতেও হয়তো আপনার নাক কুঁচকে যাবে। সব চাইতে অবাক করা বিষয় হলো আপনি হয়তো আপনার সঙ্গীর গায়ের গন্ধও হয়তো সহ্য করতে পারবেন না। এই নতুন উপসর্গে যদি বিরক্ত হয়ে থাকেন তাহলে মনে রাখুন এটা টেম্পোরারি। গর্ভকালীন অবস্থায় শেষের দিকে…
বিস্তারিত পড়ুন