লিস্টেরিওসিস (Listeriosis) কি? লিস্টেরিওসিস রোগটির নাম শুনেছেন?? হয়তো,বেশীরভাগেরই উত্তর আসবে, না! পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত হাজার রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এর মধ্যে কয়টা সম্পর্কেই বা আমরা জানি? আর জানাটা আসলে সম্ভবও নয়। তবে এতোটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, লিস্টেরিওসিস রোগটি সম্পর্কে জানা আপনার বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জন্য খুবই জরুরী! এটা হল এমন এক ধরনের ভয়াবহ ইনফেকশন যেটা লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজিনেস (listeria monocytogenes) নামক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত খাবার খেলে আপনার হতে পারে। মাটি,পানি সবখানেই থাকতে পারে এ ব্যাক্টেরিয়া। মূলত কাঁচা শাক-সবজি,কাঁচা মাংস, দুধ এমনকি রেফ্রিজারেটরের কম তাপমাত্রায়ও এরা জন্মাতে পারে। মাত্র একহাজারটিরও কম সংখ্যক…
বিস্তারিত পড়ুনCategory: গর্ভকালীন অসুখ ও সমস্যা
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকলে কি একটু বেশিই ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন? আপনি যখন জানতে পারবেন যে আপনার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (gestational diabetes) হয়েছে তখন থেকে প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। তবে এই সমস্যার জন্য যদি আপনাকে ইনসুলিন অথবা অন্য কোন ধরনের ওষুধ গ্রহণ করতে হয় তাহলে আপনাকে হয়ত প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগতে পারে। তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে আপনার গর্ভের শিশুর কি স্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি হচ্ছে কি না এটা জানার জন্য আপনাকে হয়ত একবার অথবা দুইবার আলট্রাসাউন্ড দিয়ে পরীক্ষা করা হতে পারে। এছাড়া আপনাকে যদি…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় লুপাস (Lupus) : লক্ষণ, প্রভাব ও করণীয়
লুপাস (Lupus) ঠিক কী ধরনের রোগ? লুপাস হল এমন এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ী এবং গুরুতর রোগ যেটা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে। সাধারণত আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরকে সংক্রমণ এবং বিভিন্ন রোগ জীবাণু থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। কিন্তু আপনার যদি লুপাস নামক এই রোগটা হয়ে থাকে তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জীবাণুকে আক্রমণ না করে শরীরের সুস্থ কোষগুলোকে আক্রমণ করা শুরু করে, এইজন্য লুপাসকে এক ধরনের অটো ইমিউন ডিজিজও (autoimmune disease) বলা হয়ে থাকে। লুপাস রোগটি বেশ কয়েক ধরনের হয়ে থাকে, তবে সবচেয়ে বেশি যে ধরনটা…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ (Anxiety)
গর্ভাবস্থায় দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ গর্ভাবস্থায় সামান্য দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়াটা একদমই স্বাভাবিক একটা বিষয়। এটা আপনার প্রথম সন্তান হোক অথবা না, আপনার জীবনটা এখন এমন ভাবে পালটে যাবে যার উপর আপনার বিন্দুমাত্র নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। এছাড়া গর্ভকালীন সময়ে আপনার শরীরের মধ্যে হরমোনের যে পরিবর্তন হয় তার কারণে মানসিক অবস্থা অনেকটাই প্রভাবিত হয়। এগুলোও আপনার দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলতে পারে। আর তাই অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই সময়ে আপনার মধ্যে যদি উদ্বেগ একটু বেশিই দেখা যায় তাহলে মনে রাখবেন এটা অবাক হওয়ার মত কিছু নয়। কিন্তু এই দুশ্চিন্তা এবং ভয় যদি আপনার স্বাভাবিক জীবন যাপনের…
বিস্তারিত পড়ুনহাইপারথাইরয়েডিজম | গর্ভাবস্থায় থাইরয়েডের সমস্যা
হাইপারথাইরয়েডিজম Hyperthyroidism কি? হাইপারথাইরয়েডিজম হল এমন একটি অবস্থা যা আপনার মেটাবোলিজম অর্থাৎ শরীরে খাদ্য থেকে শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে দেয়। (মেটাবোলিজম বলতে আপনার শরীরে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন কেমিক্যাল রিয়েকশনের মাধ্যমে খাদ্য থেকে বেঁচে থাকার শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে বুঝায়।) আপনার থাইরয়েড গ্রন্থি যখন প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত হরমোন নিঃসৃত করে তখনই আপনি হাইপারথাইরয়েডিজম নামক সমস্যায় ভুগেন। আর এই অতিরিক্ত হরমোন নিঃসৃত করার কারণে এই অবস্থাকে মাঝেমধ্যে ওভার অ্যাকটিভ থাইরয়েড অর্থাৎ অতিরিক্ত কাজ করা থাইরয়েডও বলা হয়ে থাকে। আপনার ঘাড়ের সামনের দিকে অবস্থিত প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থিকে থাইরয়েড বলা হয়ে থাকে, আর এই থাইরয়েড…
বিস্তারিত পড়ুনহাইপোথাইরয়েডিজম। গর্ভাবস্থায় থাইরয়েডের সমস্যা
হাইপোথাইরয়েডিজম কি? হাইপোথাইরয়েডিজম হল এমন একটি শারীরিক অবস্থা, যে অবস্থায় থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ হরমোন উৎপাদন করতে সক্ষম হয় না। কখনো কখনো এই অবস্থাকে আনডার অ্যাক্টিভ থাইরয়েড (underactive thyroid) ও বলা হয়ে থাকে। থাইরয়েড হল ঘাড়ের সামনের দিকে অবস্থিত প্রজাপতি আকৃতির একটি গ্রন্থি, যেটা triidothyronine (T3) এবং thyroxine (T4) নামক দুই ধরনের হরমোন উৎপন্ন করে থাকে। এই দুই ধরনের হরমোন শরীরের পাকযন্ত্রের গতি ও প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আপনার পাকযন্ত্র মূলত ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ক্যামিকেল প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার গ্রহণ করা খাবার থেকে আপনার বেঁচে থাকার জন্য, শরীর পরিচালনা করার…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় ভুলে যাওয়ার প্রবণতা | মমনেশিয়া (Momnesia)
আমার মনে হচ্ছে, গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই আমি কেমন যেন ভুলোমনা হতে শুরু করেছি৷ এটা কি আমার ভাবনার ভুল নাকি আসলেই এমন কিছু হচ্ছে? হ্যা, অধিকাংশ গর্ভবতী মহিলারাই এই বিষয়টি উল্লেখ করে থাকেন। প্রায় ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ গর্ভবতী নারীরাই বলে থাকেন যে গর্ভধারণ অবস্থায় তারা কিছুটা ভুলোমনা এবং অমনোযোগী হয়ে পড়ছেন। মূলত গর্ভাবস্থায় ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কেন হয় এই বিষয়ে এখনো কোন সঠিক ধারণা পাওয়া যায়নি, তবে এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা কিন্তু চলছেই। গর্ভকালীন এই মস্তিষ্কের জটিলতা (একে মমনেসিয়া বলেও ডাকা হয়) যতটা না বেশী তাত্বিক, তার চেয়ে বেশী…
বিস্তারিত পড়ুনইন্ট্রাইউটেরাইন গ্রোথ রেস্ট্রিকশন (IUGR) বা গর্ভে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া
ইন্ট্রাইউটেরাইন গ্রোথ রেস্ট্রিকশন (Intrauterine growth restriction) কি? গর্ভাবস্থায় আপনার শিশুটি যদি স্বাভাবিকের চাইতে অপেক্ষাকৃত ছোট হয় তাহলে ইন্ট্রাইউটেরাইন গ্রোথ রেস্ট্রিকশন (IUGR) সমস্যা আছে বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে যদি দেখা যায় গর্ভের শিশুর ওজন তার প্রত্যাশিত ওজনের দশম পারসেন্টাইলের নিচে, সে ক্ষেত্রে এই সমস্যাকে ইন্ট্রাইউটেরাইন গ্রোথ রেস্ট্রিকশন বলে। গর্ভের শিশুকে অপেক্ষাকৃত ছোট বলে মনে হওয়ার অনেক কারণই রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় ইন্ট্রাইউটেরাইন গ্রোথ রেস্ট্রিকশন (IUGR) আছে মনে করা শিশুটি হয়ত এমনিতেই ছোট ( বাবা বা মায়ের মত), আবার অনেক সময়ে দেখা যায় গর্ভকালীন অবস্থায় কিছুটা ছোট…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় অবসাদগ্রস্থ বা ক্লান্ত লাগা কি স্বাভাবিক?
গর্ভকালীন সময়ে ক্লান্ত থাকা কি একদমই সাধারণ একটা ঘটনা? হ্যাঁ! গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে অবসাদ বা ক্লান্তি আপনাকে পুরোপুরি ঘিরে ধরবে এবং শেষের দিকে এই অবসাদ ও ক্লান্তি আবার ফিরে আসবে। গর্ভকালীন সময়ের প্রাথমিক দিকে অবসাদ কেন হয় সে ব্যাপারে সুনিশ্চিত তথ্য এখন পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি, তবে হরমোনের পরিবর্তন বিশেষ করে প্রজেস্টরন বৃদ্ধি পাওয়া এর অন্যতম কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়। অনেক নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের একদম প্রথম লক্ষণ হল এই অবসাদ, এমনকি গর্ভধারণের কোন প্রকার বাহ্যিক লক্ষণ দেখা না গেলেও তারা প্রতিনিয়তই প্রচুর পরিমাণে ক্লান্ত অনুভব করেন। আবার অনেক…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় মুড সুইং বা মেজাজের ওঠানামা
ইদানীং আপনি এত বিষণ্ণ থাকেন কেন? অবসাদ, মানসিক চাপ এবং শরীরের বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তনের কারণে গর্ভকালীন সময়ে মুড সুইং করাটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। তবে আপনি মা হতে যাচ্ছেন অচিরেই, তাই অন্যান্য আরো অনেক নতুন অনুভূতির স্বাদ পাবেন এই সময়ে। এই ধরনের পরিবর্তনের সময়ে একেকজনের মধ্যে একেক ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। কিছু মায়েরা এই সময়ে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় ধরনের আবেগের ক্ষেত্রেই একটু অতিরিক্ত মাত্রায় আবেগ অনুভব করেন। অন্য মায়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের মধ্যে অতিমাত্রায় হতাশা অথবা উদ্বেগ দেখা যায়। অনেক মায়েরা ৬ষ্ঠ সপ্তাহ থেকে ১০ম সপ্তাহ পর্যন্ত এই…
বিস্তারিত পড়ুন