শিশুর জ্বর হলে করণীয়

শিশুর জ্বর

মায়ের কাছে তার সন্তান অনেক মূল্যবান, অনেক বেশি আদরে। এই আদরের শিশুর জ্বর হলে তখন সবচেয়ে বেশি অস্থির হয়ে পড়েন মা। আর তা যদি হয় সদ্য জন্মগ্রহণ করা শিশু তবে চিন্তা বেড়ে যায় আরোও বহুগুণ। সাধারণত শরীরে অভ্যন্তরীণ কোন ইনফেকশন দেখা দিলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। যাকে আমরা জ্বর বলে থাকি। শিশুর জ্বর বলতে কি বোঝায়?  বাচ্চার কপালে হাত দিয়ে বা চুমু খেয়ে যদি মনে হয় শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চাইতে বেশি তবে হয়ত বাচ্চার জ্বর এসেছে। স্বাভাবিকের চাইতে বেশী তাপমাত্রাকেই আমরা জ্বর বলে থাকি। সাধারণভাবে জ্বরকে বলা যেতে পারে, ‘শরীরের…

বিস্তারিত পড়ুন

বাচ্চা কিছুই খায় না ! ওকে কি খাওয়াতে পারি । ডাঃ মিশু তালুকদার 

বাচ্চা কিছুই খায় না! ওকে কি খাওয়াতে পারি

চেম্বারে বা হাসপাতালে প্রায়ই কিছু প্রশ্ন মায়েরা করে থাকে, স্যার, আমার বাচ্চা কিছুই খায় না! ওকে কি খাওয়াতে পারি? আমার বাচ্চা একদম শুকিয়ে যাচ্ছে! স্যার,ওর তো এখন ৬মাস বয়স,ওকে কি সেরিলাক বা পটের দুধ খাওয়ানো যাবে?? শিশুর খাবার নিয়ে কথা বলতে গেলে, আমরা চাইলে শিশুর খাবারকে দুইভাগে ভাগ করে ফেলতে পারি!! ১. জন্মের ৬ মাস পর্যন্ত ২. শিশুর ৬ মাস বয়সের পরে জন্মের ৬মাস পর্যন্ত এইসময় শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ালেই চলে। তবে এই মায়ের দুধ খাওয়ানোর কিছু নিয়ম অবশ্যই আছে। মা অবশ্যই বসে দুধ খাওয়াবেন। শুয়ে দুধ না খাওয়ানোই ভাল। বসে…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় মায়ের স্তন থেকে তরল (দুধ) নিঃসরণ কেন হয়?

গর্ভাবস্থায় মায়ের স্তন থেকে তরল (দুধ) নিঃসরণ কেন হয়?

গর্ভাবস্থায় মায়ের স্তন থেকে তরল বা দুধ নিঃসরণ কেন হয়? একজন গর্ভবতী মহিলার গর্ভকালীন সময়ে স্তন থেকে দুধ নিঃসৃত হতে পারে।  পুরু, চটচটে, হলদেটে কমলা রঙের যে তরল পদার্থ বেরিয়ে আসে তা আসলে দুধ নয়, সেটি প্রকৃতপক্ষে কোলোস্ট্রাম। কোলোস্ট্রাম শিশুর জন্য পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি তরল।  শিশুটিকে সুস্থ রাখার জন্য এতে চর্বি কম থাকে এবং কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, এবং অ্যান্টিবডিগুলি বেশী পরিমাণে থাকে।  এর পরিমান কম হয় কিন্তু নবজাতকের জন্য ঘন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হয়। একজন স্ত্রী যখন গর্ভবতী হন, তখন তার শরীরে হরমনাল পরিবর্তন হতে থাকে। হরমোন পরিবর্তনের সাথে সাথে শারীরিক কিছু…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় যে সব বিপদ চিহ্ন দেখলে দ্রুত ব্যাবস্থা নিতে হবে

গর্ভাবস্থায় যে সব বিপদ চিহ্ন দেখলে দ্রুত ব্যাবস্থা নিতে হবে

গর্ভে সন্তান আসার পর থেকে তার ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত সময়টি খুবই গুরত্বপূর্ণ। সামান্য একটু অসচেতনতা ঘটাতে পারে মা ও তার অনাগত সন্তানের ক্ষতি। তাই আসুন জেনে নিই গর্ভাবস্থায় বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে। গর্ভাবস্থায় যেসব বিপদ চিহ্ন অবহেলা করা যাবেনা গর্ভাবস্থা সম্পর্কে আপনি যতই পড়ে থাকুন কিংবা অন্য মায়েদের সাথে আলাপ করে থাকুন না কেন, আপনার নিজের ৯ মাসে যা যা ঘটছে তার সবকিছুই স্বাভাবিক কিনা সেটা বলা কঠিন। এখানে কিছু উপসর্গ নিয়ে কথা বলা হচ্ছে যার কোনোটা দেখা যাওয়া মানেই বিপদের ঘণ্টা! যদি আপনি এই উপসর্গগুলোর সামান্য উপস্থিতিও টের পান, তাহলে…

বিস্তারিত পড়ুন

বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের খাবার কেমন হওয়া উচিত ?

বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের খাবার কেমন হওয়া উচিত ?

বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের খাবারের দিকে কেন নজর দিতে হবে মায়ের দুধই শিশুর সেরা খাবার। সে সেরা খাবার পেতে গেলে স্তন্য দায়ী মায়ের খাদ্য খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। শিশুকে খাওয়াতে গিয়ে মায়ের স্বাস্থ্যের অপূরণীয় ক্ষতি হয় গেল, এমনটা যেন না হয়। মায়ের স্তনই পৃথিবীর সবচাইতে দামী কারখনা, যেখানে নবজাতকের খাদ্য উৎপাদন হয়। মা ই একে তৈরি করেন। বহন করে নিয়ে চলেন, তার পরিচর্যা করেন। মা ই তার খাদ্যের মাধ্যমে এর কাঁচামাল সরবরাহ করেন, দুধ তৈরি করেন, তার শিশুকে সরবরাহ করেন প্রয়োজন মত। তবে একথা সত্যি যে, মা যদি একবেলা…

বিস্তারিত পড়ুন

মাতৃকথন – বাচ্চা কিছুই খায়না

মাতৃকথন - বাচ্চা কিছুই খায়না

লিখেছেনঃ ফারিনা মাহমুদ শুরু করি সত্য ঘটনা দিয়ে । আমার ছেলের বয়স যখন ১৬ মাস, ওকে নিয়ে গেলাম আর্লি চাইল্ডহুড সেন্টারে । বাচ্চা জন্মের পর থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত এই সেন্টারে শিশুর স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সংক্রান্ত রুটিন চেকাপ করানো যায়, প্রয়োজনে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নার্সদের সাথে বিশেষ সমস্যা নিয়ে কথা বলা যায় মা ও বাচ্চা উভয়ের ব্যাপারে । ওরা পরামর্শ দেবার পাশাপাশি অন্যান্য ক্লিনিকে রেফার করে দিতে পারে । এখানে যেকোনো সমস্যা নিয়েই যাওয়া যায় । যেমন ধরেন বাচ্চার ঘুমের রুটিন ঠিক করতে পারছি না, রাতে কান্না করে,…

বিস্তারিত পড়ুন

মায়ের বুকের দুধ কিভাবে তৈরি হয় এবং কিভাবে তা সচল রাখবেন।

মায়ের বুকের দুধ কিভাবে তৈরি হয় এবং কিভাবে তা সচল রাখাবেন।

লেখাটা মায়েরা পড়ার থেকে হবু মায়েরা পড়লে লেখার উদ্দেশ্য বেশী সার্থক হবে। এমনকি হবু দাদা দাদি, নানা নানী যদি পড়েন তবে ভালো হয়। কারণ দেখা যায় বেশিরভাগ মা এবং দাদি নানীরাই অভিযোগ করেন যে বাচ্চা বুকের দুধ পায় না, খাবে কি? সত্যিই তো, ছোট শিশু বুকের দুধ না পেলে, কান্না কাটি করলে, কোনও মা-বাবা বা দাদা দাদি চুপ থাকতে পারেন? কাজেই কিনে আনতে হয় ল্যাক্টোজেন বা নান বা সে রকম অন্য দুধ, খাওয়াতে হয় শিশুকে। মা নিশ্চিন্ত হয়, বাবা নিশ্চিন্ত হয়। কিন্তু কি হয়ে গেল- তা কেউ জানল না। পাঁচ…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভপাত সংক্রান্ত প্রচলিত কিছু ভ্রান্ত ধারণা

গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ সংক্রান্ত প্রচলিত কিছু ভ্রান্ত ধারণা

গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ সংক্রান্ত প্রচলিত কিছু ভ্রান্ত ধারণা মিসক্যারেজ বা গর্ভপাত এক অত্যন্ত সাধারণ সমস্যা। প্রায় ২০ শতাংশ মেয়েদের এই দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতার মধ্য দিতে যেতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়না। একে প্রতিরোধের উপায়ও খুব কম। তা সত্ত্বেও প্রচলিত রয়েছে নানা ধরনের কুসংস্কার, ভ্রান্ত ধারনা, সামাজিক বিধিনিষেধ। শিক্ষিত মানুষজনও এর ব্যাতিক্রম নন। এরকমই কিছু মিথ বা ভ্রান্ত ধারনা নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা।  অবশ্য সব ধরনের গর্ভপাত নিয়ে আমরা এখানে আলোচনা করবনা। গর্ভাবস্থার প্রথম তিনমাসে ঘটা গর্ভপাত যার পেছনে কোন জ্ঞাত ডাক্তারি কারণ নেই, সেগুলি নিয়ে যেসব ভুল ধারনা…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি কেন খাবেন ? ডাবের পানির উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি

ডাবের পানির পুষ্টিগুণ  ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লোবিন, ভিটামিন সি এবং ইলেক্ট্রোলাইট আছে। শুধু তাই নয় এতে রয়েছে ফাইবার, সোডিয়াম, প্রোটিন এবং অল্প পরিমাণে চিনি। এই একটি পানীয় থেকে একজন গর্ভবতী নারী তার প্রয়োজনীয় সব উপাদান পেয়ে থাকে। একজন গর্ভবতী নারীর অবশ্যই গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়া উচিত। ডাবের পানি যে কোন সময় খাওয়া যায় তবে সবচাইতে ভালো হয় যদি ভোরে খাওয়া যায়। এ সময় ডাবের পানি ইলেক্ট্রোলাইট এবং পুষ্টি শরীরে ভালো ভাবে শোষিত হয় কারণ সকালে পাকস্থলী খালি থাকে। এক কাপ ডাবের পানির পুষ্টিগুণ নিম্নরূপ- গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় ঠাণ্ডা পানি খেলে কি বাচ্চার কোন ক্ষতি হয়?

গর্ভাবস্থায় ঠাণ্ডা পানি খেলে কি বাচ্চার কোন ক্ষতি হয়?

গর্ভাবস্থায় ঠাণ্ডা পানি খেলে কি বাচ্চার কোন ক্ষতি হয়? মায়ের শরীরে খাদ্যনালীর সাথে জরায়ুর কোন সরাসরি যোগাযোগ নেই। মায়ের শরীর থেকে বাচ্চা যে পানি, অক্সিজেন বা পুষ্টি পায় তা মায়ের রক্ত থেকে বাচ্চার রক্তে প্লাসেন্টার মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। মা যখন কিছু খায় তখন তা মায়ের খাদ্যনালীর মাধ্যমে মায়ের পাকস্থলীতে যায়। সেখানে খাবারের পুষ্টি –  ফ্যাটি অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, মিনারেল ও ভিটামিন হিসেবে শোষিত হয়। এই পুষ্টিগুলো প্লাসেন্টা গ্রহন করে এবং রক্তের মাধ্যমে ভ্রূণের সব অঙ্গে সরবরাহ করে। খাদ্যের যেসব অংশ ভ্রূণের দরকার হয়না তা আবার প্লাসেন্টার মাধ্যমে মায়ের রক্তে…

বিস্তারিত পড়ুন