ডায়াপার র্যাশ কি? শিশুদের প্রায়ই ডায়াপার-জনিত র্যাশ বা অ্যালার্জি, এমনকি প্রদাহ পর্যন্ত হতে দেখা যায়। ডায়াপারে ঢাকা অংশটুকু কখনো লাল, ফোলা ফোলা বা দানাদার দেখা গেলে এবং সেখানে ছোঁয়া লাগলে ব্যথায় শিশু কেঁদে উঠলে বুঝতে হবে ডায়াপার র্যাশ হয়েছে। আমরা জানি বেশিরভাগ পিতামাতাই সন্তানের প্রতি যত্নশীল। ডায়াপার সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রেও তারা বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করেন। কিন্ত এতকিছুর পরও শিশুর সংবেদনশীল ত্বকে কখনো কখনো ডায়াপার র্যাশের সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণত শিশুর জন্মের এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন কারণে ডায়াপার র্যাশ হতে পারে। ডায়পার র্যাশ দেখতে কেমন হয়? ডায়াপার র্যাশের ফলে শিশুর কোমল…
বিস্তারিত পড়ুনMonth: November 2017
শিশুর বমি : কখন স্বাভাবিক কখন নয়
শিশুর বমি নিয়ে মা-বাবারা প্রায়ই উদ্বিগ্ন থাকেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এটা তেমন গুরুতর নয়। বাচ্চারা যেহেতু মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না, তাই কিছু হলেই কান্না করে। গরম বা শীত লাগুক, মশা কামড়াক, যাই হোক না কেন তার বিরক্তির বহিঃপ্রকাশ হলো কান্না। কিন্তু মায়েরা সব কান্নাকেই মনে করেন বাচ্চার খিদে লেগেছে, এতে জোর করে দুধ খাওয়াতে থাকেন, যার ফল হলো বমি। যারা বলেন তাদের শিশু খাওয়ার পরপর বমি করে। তাদের জানতে হবে যে, তারা যেটাকে বমি বলছেন তা হয়তো সবসময় বমি নয়।মায়ের দুধ পর্যাপ্ত না থাকলে দুধ…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর পেটে গ্যাস : কারণ, লক্ষন ও করণীয়
শিশুর পেটে গ্যাস হলে মা-বাবা চিন্তায় পড়ে যান কী করলে ভালো লাগবে, কান্নাকাটি একটু থামবে কিংবা কোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন ইত্যাদি। কেউ কেউ বলেন, বাচ্চার পেটে বাতাস লেগেছে, দুধে বাতাস লেগেছে, যার কারণে বমি করে দিচ্ছে।আসল কথা হলো, পেটে গ্যাস বাচ্চাদেরও হয় আবার বড়দেরও হয়। বাচ্চারা বলতে পারে না যে তাদের কেমন লাগছে আর তাই আমরা বুঝতেও পারি না। শিশুর পেটে গ্যাস কেন হয়? বাচ্চার পেটে গ্যাস হওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। জন্মের তিন মাস পর্যন্ত নবজাতকের গ্যাসের সমস্যা খুবই স্বাভাবিক কারণ এ সময় বাচ্চার পরিপাক্তন্ত্র ধীরে ধীরে…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর সর্দি বা ঠাণ্ডা লাগলে করনীয়
বাচ্চাদের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে যার কারণে তারা সহজেই অসুখে আক্রান্ত হতে পারে। এ কারণে বাচ্চাদের বেশী সর্দি হয় বা ঠাণ্ডা লাগে । প্রায় ২০০ ধরনের ভাইরাস শিশুর কমন কোল্ড বা বাংলায় আমরা যাকে বলি ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দির কারণ। বাচ্চাদের শরীর আস্তে আস্তে এসব ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। আমদের সারাজীবনে কতবার ঠাণ্ডা লেগেছে বা সর্দি হয়েছে তা একবার ভাবুন। আপনার বাচ্চারও এসবের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এর ফলে তার শরীরে এসব ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে উঠবে। বাচ্চা যখন ধীরে ধীরে বাড়তে…
বিস্তারিত পড়ুনবয়স অনুযায়ী শিশুর ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধির চার্ট । ০-১২ মাস
শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি শিশুর সামগ্রিক বৃদ্ধি ও বিকাশকে আমরা কয়েকভাগে ভাগ করতে পারি, যেমন- শারিরিক বিকাশ, মানসিক বিকাশ, সামাজিক বিকাশ। শারিরিক বিকাশ দৃশ্যমান এবং সহজেই বোধগম্য, শিশুর ওজন ও উচ্চতা দিয়ে আমরা শারিরিক বিকাশ বুঝতে পারি, জন্মের পর শিশুর বয়সের সাথে সাথে নির্দিষ্ট হারে ওজন বাড়তে থাকে এবং উচ্চতাও বৃদ্ধি পায়। জন্মের পর পর প্রথম সপ্তাহে বাচ্চা ওজন হারায় এবং ২-৩ সপ্তাহে ওজন স্থির থাকে তার পর ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে। প্রথম ৩ মাসে প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ গ্রাম করে ওজন বাড়ে। তারপর পরবর্তী মাসগুলোতে আর একটু কম হারে ওজন…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর বেড়ে ওঠা । এগারো মাস
১১ মাসের বাবুটি এখন অনেক কিছুই বুঝতে শিখবে- যেমন ‘না’ বলা। আমরা শিশুদের একটি ক্যাম্পাইনের কথা জানি শিশুদের জন্য ‘হ্যাঁ’ বলুন। কিন্তু আপনাকে দিনে অসংখ্যবার এই ক্ষুদে হামাগুড়ি-মাস্টারকে ‘না’ বলতে হবে। কোন কোন বাবু অবশ্য এর মধ্যেই হাটি-হাটি পা পা শুরু করে দিতে পারে। কোন কিছু ধরে বা সাপোর্ট নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়বে, গড়িয়ে বা হামাগুড়ি দিয়ে অনেক দ্রুতই পোঁছে যাবে ঘরের আনাচে কানাচে। তাই বিপদজনক কিছুর প্রতি আগ্রহী হলে , দ্রুত তাকে না বলুন। তবে অনেক সময় এই না বলার পরিমান এত বেড়ে যায় যে, শিশু আপনার ‘না’ কে উপেক্ষা…
বিস্তারিত পড়ুনসাডেন ইনফ্যাণ্ট ডেথ সিন্ড্রোম (SIDS) বা শিশুর আকস্মিক মৃত্যু
সাডেন ইনফ্যাণ্ট ডেথ সিন্ড্রোম (SIDS) বা সিডস ১২ মাস এবং তার থেকে কম বয়েসি শিশুদের জন্য ভয়ঙ্কর একটি বিষয়। কোন পূর্ব রোগ লক্ষণ বা অসুস্থতা ছাড়া ঘুমানোর সময় এই বয়েসি শিশুর মৃত্যু সিডস নামে পরিচিত। ২০১৪ সালের এক পরিসংখ্যান অনুসারে আমেরিকায় সিডস এর হার ৩৪%। অর্থাৎ এই এক বছরে যত শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে শতকরা ৩৪ জন শিশুর, যাদের বয়স ০-১২ মাস তারা কোন অসুস্থতা ছাড়াই ঘুমানোর সময় মারা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম (সিডস) এবং হঠাৎ দমবন্ধ বা কোনো কারণে গলায় চাপ লাগার মতো কারণসহ প্রতিবছর ঘুমসংক্রান্ত…
বিস্তারিত পড়ুননবজাতকের জন্ডিস । কিছু জরুরী বিষয়
আমাদের শরীরে যে রক্ত হয়, প্রতিনিয়ত সে রক্তটা ভেঙ্গে গিয়ে নতুন রক্ত তৈরি হয়। এখান থেকে বিলুরুবিন বের হয়। এর রংটা হলুদ। এর পরিমাণ যখন বেড়ে যায় তখনই জন্ডিস হয়। নবজাতকের যখন এটি হয়, তখন আমরা একে নবজাতকের জন্ডিস (Neonatal jaundice) বলি। জন্মের পর অনেক শিশুর জন্ডিস হয়ে থাকে। নবজাতকের রক্তে উচ্চ বিলিরুবিন মাত্রার কারণে এ জন্ডিস হয়। ৬০ শতাংশ পূর্ণ গর্ভকাল (টার্ম) নবজাতকের এবং ৮০ শতাংশ প্রি-টার্ম অর্থাৎ অকালজাত নবজাতকের মধ্যে প্রথম সপ্তাহে জন্ডিস দেখা যায়। তবে এর বেশির ভাগই নির্দোষ জন্ডিস, যাকে ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস বলে। নবজাতকের জন্ডিস কেন…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভবতী না হয়েও প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ হওয়ার কারণ কি?
মাথা ঘোরা আর বমি বমি লাগা মানেই আমাদের দেশে প্রেগন্যান্ট বা গর্ভবতী হয়ে গেছে বলে মনে করা হয়।তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গর্ভবতী না হয়েও টেস্ট পজিটিভ আসতে পারে।প্রেগনেন্সি পরীক্ষায় ভুল ফল আসার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ আছে। তবে তা নিয়ে বিস্তারিত বলার আগে দেখে নেওয়া যাক, এই পরীক্ষায় ঠিক করা হয়। প্রেগন্যান্সি বা গর্ভবতী কিনা তা কিভাবে নির্ণয় করা হয় বাসায় গর্ভধারন পরীক্ষায় আপনার প্রস্রাবে গর্ভধারন হরমোনের উপস্থিতি আছে কি না। ডিম্বানু নিষিক্ত হবার ৬ দিন পর গর্ভবতী মায়ের শরীরে বিশেষ একধরনের হরমোনের নিঃসরণ ঘটে, এর নাম এইচ.সি.জি (human chorionic…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুর থ্যালাসেমিয়া । লক্ষন, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা
থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) একটি বংশগত রক্তের রোগ। হিমোগ্লোবিন রক্তের খুবই গুরত্বপূর্ণ উপাদান। আমরা নিশ্বাসের সঙ্গে যে অক্সিজেন বহন করি, হিমোগ্লোবিনের কাজ হলো তা শরীরের সমস্ত অংশে বহন করে নিয়ে যাওয়া। এ রোগে রক্তে অক্সিজেন পরিবহনকারী এই হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদনে ত্রুটি হয়। হিমোগ্লোবিন তৈরী হয় দুটি আলফা প্রোটিন ও দুটি বিটা প্রোটিন দিয়ে। যদি এই প্রোটিন গুলোর উৎপাদন শরীরে কমে যায়, তবে শরীরের হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনও কমে যায় এবং থ্যালাসেমিয়া দেখা দেয়। আলফা ও বিটা প্রোটিন তৈরী হয় জীন হতে। দুই গ্রুপের হিমোগ্লোবিন চেইনের সংশ্লেষণ মূলত জেনেটিক্যালি নিয়ন্ত্রিত হয়। কেউ যখন কোন ত্রুটিপূর্ণ…
বিস্তারিত পড়ুন