শিশুর বেড়ে ওঠা । সপ্তম মাস
সপ্তম মাসে প্রবেশ করার পর বাচ্চারা আরও বেশী চঞ্চল ও আরও বেশী আবেগপ্রবণ হতে থাকে। সেইসাথে মানবশিশু হিসেবে নিজস্ব স্বকীয়তা , স্বাধীনতা এবং ব্যাক্তিত্ব গঠন ও প্রকাশিত হতে শুরু করে। এ বয়সে বাচ্চা তার চারপাশের সবকিছুর প্রতি খুব কৌতূহলী হয়। এই কৌতূহল তার মানসিক বিকাশকে তরান্বিত করে।
বাচ্চার সাথে কথোপকথন, তার প্রয়োজনে সাড়া দেয়া, নিরাপদ ও বয়স উপযোগী বিভিন্ন খেলনা দিয়ে শিশুর মনোরঞ্জন করা এবং সর্বোপরি সার্বক্ষণিক নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে।
আগের মাসগুলোর চাইতে তুলনামূলকভাবে বেশী চটপটে, ছটফটে ও খেলাপ্রিয় হবে। ঘুম ও খাবারের পরিমাণ এবং মধ্যবর্তী বিরতি কিছুটা দীর্ঘায়িত হবে। এ বয়স থেকে বাবা মা বাচ্চার ঘুমের সময়-সূচি কিছুটা নিয়মানুবর্তী করার চেষ্টা শুরু করতে পারেন।
সাত মাসে শিশুর মানসিক বিকাশ
এ সময় বাচ্চা তার চারপাশের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে থাকে। লুকোচুরি কিংবা কোনকিছু আবিষ্কার করা এ বয়সী বাচ্চাদের খুব প্রিয় খেলা। যেমন একটি রুমালের নিচে বাচ্চার প্রিয় কোন খেলনা রেখে একবার তাকে প্রদর্শন করুন যে এই কাপড়ের টুকরোটি হাত দিয়ে উঠিয়ে ফেললে সে তার খেলনা টি পেয়ে যাবে। এভাবে একবার বা দুবার করার পরই দেখা যাবে সে কাজটির পুনরাবৃত্তি করতে শুরু করবে।
তাকে তার কৌতূহল মেটানোর সুযোগ দেয়া এবং বিভিন্ন কাজে উৎসাহ দেয়া বাচ্চার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এ সময় শিশু পূর্বের চেয়ে আরও জোরালোভাবে বিভিন্ন আওয়াজ করতে পারে।
এ সময় বাচ্চার স্মৃতিশক্তি সুগঠিত হতে শুরু করে যার ফলশ্রুতিতে কোন কিছু লক্ষ্য করা, ও অনুকরণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। একটি শিশুর সুন্দর মানসিক বিকাশের জন্য সুস্থ পারিবারিক, দাম্পত্য ও সামাজিক জীবন নিশ্চিত করা শিশুর পরিবারের সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য।
এ সময় থেকেই বাচ্চার মধ্যে Separation Anxiety পরিলক্ষিত হয়। বিশেস করে কর্মজীবী বাবা মায়েরা কাজে থাকাকালীন সময়ে বাচ্চা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারে। এই রকম সময়ে, বাচ্চা হয়তো আপনার চলে যাওয়া নিয়ে ভয় পেতে পারে। সে আপনার সঙ্গে এতটাই জড়িয়ে আছে যে এক মিনিটের জন্য তাকে ছেড়ে গেলেও ও হয়তো কাঁদতে শুরু করতে পারে।
এটা স্বাভাবিক, এবং অল্প সময়ের জন্য আপনাকে ছেড়ে থাকলে বাচ্চার অন্য লোকের সঙ্গে মেলামেশা করতে সাহায্য হবে। সে খুব তাড়াতাড়িই শিখে যাবে যে আপনি সব সময় ওর কাছে ফিরে আসবেন।
সাত মাসে শিশুর শারীরিক বিকাশ
এ সময়ে শিশু হামাগুড়ি কিংবা গড়িয়ে গিয়ে চলাচল এর চেষ্টা শুরু করে। নিজের পায়ের উপর শরীরের ভর প্রয়োগ করে সোজা হতে চেষ্টা করে। তাই দেখা যায় এসময় তারা আগের মতো কোলে শুয়ে না থেকে দুপায়ের উপর ভর দাঁড়াতে পছন্দ করে। কিছু শিশু এসময় অবলম্বন ছাড়াই বসতে শেখে, আবার অনেকে স্বাধীন ভাবে বসতে শেখার জন্য আরও দুয়েক মাস সময় বেশি নিতে পারে।
যেহেতু এ সময় বাচ্চা অনেক দ্রুত শিখতে থাকে, বাবা মা অনেক সময় নির্দিষ্ট কিছু আচরণ বা কর্মকাণ্ড শেখানোর জন্য অস্থির হয়ে পড়েন। এ ক্ষেত্রে বাবা-মা কে অনেকখানি ধৈর্য ধারন করতে হয়। একেকটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্রমধারা এবং ব্যাক্তিত্ত সম্পূর্ণ আলাদা হতে পারে।
বেশীরভাগ শিশুর দাঁত উঠার প্রক্রিয়া এর মদ্ধেই শুরু হয়ে যায়। তবে পাঁচ থেকে চোদ্দ মাসের যে কোন পর্যায়ে আপনি আপনার শিশুর প্রথম দাঁতটি দেখতে পারেন। দাঁত ওঠার প্রক্রিয়া শুরু হলে সাধারণত বাচ্চার প্রচুর লালা নির্গত হয় এবং বাচ্চারা কিছুটা খিটখিটে হয়ে পড়তে পারে।
আজকাল বিভিন্ন রকম Teething Toy পাওয়া যায়। তবে বাচ্চার খেলনা বাছাই করার সময় পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয় এমন উপাদান দিয়ে তৈরি খেলনা নির্বাচন করার চেষ্টা করুন।ওর দাঁতের মধ্যে ফাঁক থাকলে চিন্তার কোন কারণ নেই। বাঁচার তিন বছর বয়েসের মধ্যে, সবগুলো দুধের দাঁত গজিয়ে গেলে দাঁতের ফাঁকগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে ।
বাচ্চার কৌতূহল বাড়বে
আপনার বাচ্চা এখন নিজে নিজে খেতে চাইবে। হয়তো তাকে খাওয়ানোর সময় সে চামচটা আঁকড়ে ধরে, বা থালা থেকে খাবার নিজেই তুলে নিবে। তার থালায় নরম খাবারের ছোট ছোট দলা দিয়ে দেখুন। ওগুলো তুলে তুলে খেতে সে খুব মজা পাবে।
মনে রাখবেন মেয়েদের আর ছেলেদের সমান পরিমাণ খাবার প্রয়োজন হয়।এমন খাবার দিয়ে শুরু করুন যা সে মাড়ি দিয়ে চিবোতে পারবে বা সহজেই মুখের মধ্যে নাড়াচাড়া করতে পারবে।
এই বয়েসে বাচ্চাদের খুব কৌতূহল বাড়ে। সে হয়তো খেলনা ছুঁড়ে ফেলে বা তার বোনের চুল ধরে টান দেয়! আপনার বাচ্চা দুষ্টুমি করছে না, শুধু পরীক্ষা করে দেখছে সবকিছু। তার কিছুই খুব বেশিক্ষণ মনে থাকবে না, তাই এখন তার কাছে শাসনের বিশেষ মানে নেই।
তবে বাচ্চাকে সহজেই ভোলানো যায়। তাই আপনি পছন্দ করেন না এমন কোনো কাজ করা থামাতে হলে তাকে একটা খেলনা দেখাণ কিংবা একটা গান গেয়ে শোনান।
শিশুকে কতটা খাবার দিতে হবে?
ছেলে ও মেয়ে দুজনের সমান পরিমাণ খাবার প্রয়োজন৷ শিশুর প্রথম ৬ মাসে শুধু আপনার বুকের দুধ দরকার৷ এর পরে, আপনি আপনার শিশুকে যা খাবার দেন তার পরিমাণ ক্রমশ বাড়িয়ে দিতে পারেন৷ তবে ২ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত তার বুকের দুধ খাওয়া দরকার৷
এইভাবে ধীরে ধীরে তার খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হয়:
৬ মাস বয়স: এখনও আপনার শিশুর প্রধান খাদ্য হল বুকের দুধ, তবে এখন সে অন্যান্য খাবার খাওয়া শুরু করতে পারে৷ দিনে দুবার আপনার শিশুকে পরিবারের বাকি সবার খাবার ভালো করে চটকে খেতে দিন৷ প্রতিবারের আহারে ২ গ্রাস যথেষ্ট৷
মায়ের দুধ ছাড়ানোর জন্য মামুলী খাবার যেমন খিচুড়ি, ডালের পানি ও সব্জির পিউরি দিয়ে শুরু করুন৷ আপনি ও আপনার পরিবার যা খাচ্ছেন আপনার শিশুকে তাই দিতে পারেন তবে লক্ষ্য রাখুন সেসব যেন ভালো চটকে নেওয়া হয়৷ আপনার শিশুর খাবারে লবণ বা মশলা মেশাবেন না৷
৮ মাস বয়স: আপনার শিশুর দিনে ৩ বার খাবার খাওয়া দরকার৷ প্রত্যেকবারের আহারে সে যা খাবে তার পরিমাণ ক্রমশ বাড়িয়ে, প্রায় ৩ গ্রাস করে দিন৷
৯ মাস বয়স: এখন, ওর একবারের খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে অর্ধেক বাটি করে দিতে হবে৷ ওর বাকি ২ বারের খাবারে এখনও তাকে প্রায় ৩ গ্রাস খাবার খাইয়ে যান৷ এতদিনে সে নিজে তুলে খেতে শিখে যাবে৷ তাই সে যাতে নিজের হাতে খাবার মুখে তুলে খেতে পারে সেইজন্য ওকে রুটি, পাউরুটি বা সব্জি সিদ্ধ ছোট ছোট টুকরো করে খেতে দিন৷
১০ মাস বয়স: আপনার শিশুকে দিনে ২ বার করে অর্ধেক বাটি খাবার খেতে দিন৷ অন্য অবশিষ্ট খাবারের সময় ওর কয়েক চামচ খাবার খাওয়া যথেষ্ট৷
১ বছর বয়স: ওর দিনে ৩ বা ৪ বার অর্ধেক বাটি খাবার খাওয়া ছাড়াও জলখাবার খাওয়া দরকার৷ তার পরের বছর থেকে ক্রমশ ওকে বাটি ভরে খেতে দিন৷
আপনার শিশুকে সুরক্ষিত রাখুন
নিচের ৪টি উপায়ে আপনি আপনার বাড়িতে আপনার শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন:
আপনার শিশু যেসব জিনিস তুলে নিতে পারে বাসায় সেগুলির প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখুন৷ নিশ্চিত হোন যে ছোট ছোট জিনিস যেমন কয়েন, যেগুলি ওর গলায় আটকে যেতে পারে সেসব যেন ওর নাগালের বাইরে থাকে৷ ছুরি, কাঁচি ও পেন এবং যা মুখে দেওয়া নিরাপদ নয় এমন সব জিনিস দূরে সরিয়ে রাখুন৷
কোনো জিনিস যাতে আপনার শিশুর উপরে এসে না পড়ে সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখুন৷ সবকিছু সুরক্ষিত অবস্থায় আছে কিনা দেখে নিন৷ বিদ্যুতের তার বা অন্য কোনো রশি বা দড়ি ভাল করে গুটিয়ে, ওর নাগালের বাইরে সরিয়ে রাখা উচিত! যদি আপনি ল্যাম্প, বা টেবিল বা মেঝেতে দাঁড় করানোর পাখা ব্যবহার করেন, তাহলে সেগুলো সুরক্ষিত আছে কিনা দেখে নিন৷
আপনার শিশুকে পানি ও আগুন থেকে দূরে রাখুন৷ আপনার শিশু সব কিছু অনুসন্ধান করতে চায়; জ্বলন্ত শিখা স্পর্শ করলে ওর হাত পুড়ে যেতে পারে৷ আপনি যখন রান্না করবেন তখন যেন সে কোনো গরম জিনিস স্পর্শ না করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন৷ গন্ডি তৈরী করে দেওয়ার চেষ্টা করুন৷ ওকে পানির বড় বড় পাত্র থেকে দূরে রাখুন৷ ঐগুলি শক্ত ঢাকনা দিয়ে রাখুন যাতে ও ঐগুলির ভিতরে পড়ে না যায়৷
মনে রাখুন, যখন আপনার শিশু দাঁড়াতে ও হাঁটতে শুরু করবে তখন হয়ত ও বেয়ে বেয়ে চড়তে চাইবে! লক্ষ্য রাখুন বিপজ্জনক জিনিসপত্র তার যেন ওর নাগালের বাইরে থাকে, এবং ও যাতে চেয়ার ও টেবিল থেকে পড়ে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন৷
আমার শিশু কখন উঠে দাঁড়াতে পারবে?
৮ এবং ১০ মাস বয়সে পৌঁছে বেশির ভাগ শিশু প্রথম উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করে৷ আপনার শিশু হয়ত আপনার হাত, বা দেওয়াল বা আসবাবে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে৷
প্রথমে আপনার শিশুকে আপনাকে ধরে বা শক্ত আসবাব ধরে দাঁড়াতে হবে৷ ১১ মাস বয়সে হয়ত আপনার সাহায্য ছাড়াই সে দাঁড়াতে পারবে৷ এরকম করলে ওর প্রচুর প্রশংসা করুন, ওকে আদর করুন৷ আত্মপ্রত্যয় ক্রমশ বাড়তে থাকলে আপনার শিশু আসবাবপত্র ধরে ধরে হাঁটাচলা শুরু করে দেয়৷ এটা করতে পারলে ও খুব শিগগীর হাঁটতে শিখে যায়!
হয়ত আপনার শিশু সহজেই দাঁড়াতে পারবে কিন্ত আবার বসতে তার অসুবিধা হতে পারে! দাঁড়িয়ে থাকার অবস্থা থেকে বসে পড়ায় আপনি আপনার শিশুকে সাহায্য করতে পারেন৷ ওকে টেনে তুলে আবার বসিয়ে না দিয়ে বরং কীভাবে হাঁটু ভাঁজ করতে হয় তা ওকে দেখিয়ে দিন৷ এরপর এটা চেষ্টা করতে ওকে উৎসাহ দিন! কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যে ও নিজের হাঁটু মুড়ে বসতে শিখে যায়৷
যখন আপনার শিশু চলাফেরা করতে শিখবে তখন ওর সাথে থাকুন, যাতে যদি সে পড়ে যায়, তাহলে যেন তার ব্যথা না লাগে আপনি তা নিশ্চিত করতে পারেন৷
মনে রাখতে হবে সব শিশুর বিকাশের গতি আলাদা, কয়েকজনের অন্যদের তুলনায় দ্রুত বিকাশ হয়৷ আপনার শিশুর বিকাশের ব্যাপারে যদি আপনার চিন্তা হয় তাহলে স্বাস্থ্য কর্মীর সঙ্গে কথা বলুন৷
শিশুর মাইলস্টোন ঃ সপ্তম মাস
- শিশুহাসবে, কিছু বলার চেস্টা করবে।
- গড়াগড়িকরবে।
- কোনকিছুতে বাধা দিলে বা ‘না’ বললে বুঝতে পারবে।
- চারপাশেরজিনিস চিনতে শিখবে।
- এই বয়সে শিশুরা উবু হয়ে শুয়ে থাকলেমাথা ও বুক উপরে তুলতে পারা উচিৎ।
- শিশুরা এই বয়সে বিভিন্ন জিনিস ধরার চেষ্টা করে এবং ধরে ঝাঁকাতে চেষ্টা করে।
- কোন জিনিস এক হাত থেকে অন্য হাতে নিতে পারবে।
- এই বয়সে শিশুরা দুদিকে ঘাড় ঘোরাতে পারে।
- অন্যের সাহায্য নিয়ে বসতে পারে।
- শিশুদের এক ধরণের প্রবণতা তৈরি হয় সেটি হল হাত ও মুখ দিয়ে সব জিনিস যাচাই করার চেষ্টা।
- এমনকি শিশুরা ধীরে ধীরে শব্দ ও মুখের ভাব অনুকরণ করা শুরু করে।
- শিশুরা নিজের নাম শুনলে বা পরিচিত মুখ দেখলে এক ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখায়।
- দাঁর করালে পায়ের উপর ভর দিতে পারে
- অন্যদের মুখভঙ্গী দেখে অনুভুতি পড়ার চেষ্টা করা শুরু করে।
- মা অথবা যিনি সর্বাধিক যত্ন নেন (খাবার খেতে দেন) তার সাথে অন্যদের পার্থক্য করতে শেখে।
- উজ্জ্বল রঙের বস্ত ও এর নড়াচড়ার দিকে খেয়াল করে এবং সাড়া দেয়।
- শব্দের দিকে ঘুরে তাকায়।
- অন্যের চেহারার দিকে আগ্রহ নিয়ে তাকায়।
- আপনি তার দিকে তাকিয়ে হাসলে সেও ফিরতি হাসি দেয়।
বিপদ চিহ্ন
- জড়সড় বা নিস্তেজ থাকা।
- চলন্ত কিছুর দিকে দৃস্টি না দেয়া।
- মাথার ভারসাম্য বজায় রাখতে না পারা
- কারও দিকে তাকিয়ে না হাঁসা।
- আকর্ষনীয়কিছু দেখলে আগ্রহী না হওয়া
- কোন ধরনের শব্দ না করা
- দাঁর করিয়ে দিলে পায়ে ভর দিতে না পারা।
- কোন কিছু হাত দিয়ে মুখের কাছে আনতে না পারা
- যিনি সর্বাধিক যত্ন নেন (খাবার খেতে দেন) তার প্রতি কোন আগ্রহ না দেখানো
- কোন শব্দে প্রতিক্রিয়া না দেখানো।
- কোন দিকে গড়াগড়ি দিতে না পারা।
এ সময় কি কি মাইলস্টোন আপনার শিশু অর্জন করতে যাচ্ছে তা জানার সাথে সাথে ভুলে যাবেন না যে এট শুধু মাত্র একটা গাইডলাইন। প্রতিটি শিশুই ইউনিক ( স্বকীয় ) এবং তার বেড়ে ওঠার গতিও ভিন্ন।যে শিশুটি অন্যদের থেকে প্রথমে বসতে শিখেছে সে হয়ত সবার শেষে হামাগুড়ি দিতে শিখবে। অথবা ১৮ মাস বয়সী যে শিশুটি শব্দ ও অঙ্গাভঙ্গির মাধ্যমে এখনো ভাবের আদান প্রদান করছে সে হটাৎ করেই দুই বছর বয়সে ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাক্য বলা শুরু করতে পারে।
এই টাইমলাইন সিরিজ যেন আপনার কোন রকম দুঃশ্চিন্তার কারন না হয় খেয়াল রাখবেন। প্রতিটি টাইমলাইনকে একটি গাইড হিসেবে ধরে নিতে হবে ।নবজাতক এর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোন আশঙ্কা বা জিজ্ঞাসা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।