শিশু যখন ছোট থাকে, তার শরীর এতটাই সংবেদনশীল থাকে যে, শরীরের তাপমাত্রা কখন যে কেমন আচরণ করে তা বলা মুশকিল। শিশুর মধ্যে যদি জ্বরের প্রাথমিক উপসর্গগুলো লক্ষ্য করে থাকেন, তবে দ্রুত সঠিক উপায়ে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা জরুরী। থার্মোমিটারের শিশুর জ্বর কত দেখাচ্ছে তার উপর ভিত্তি করেই আপনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি শিশুকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবেন কি না।
শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কত হলে সেটাকে ‘বেশী‘ বলা যায়?
স্বাভাবিকভাবে, শিশুর মুখের তাপমাত্রা ৩৬.৪ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড অথবা ৯৭.৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট থাকলে, সেটাকে শিশুর শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বলে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু শিশুর মলদ্বারের তাপমাত্রা যদি ৩৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড অর্থাৎ ১০০.৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট হয়, এটা খুব সম্ভবত জ্বরেরই লক্ষণ। বুঝতে হবে, শিশুকে তার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে।
[ আরও পড়ুনঃ শিশুর জ্বর । কখন স্বাভাবিক, কখন নয় ]
শিশুর শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করতে কোন ধরণের থার্মোমিটার ব্যাবহার করা হয়?
পূর্বে এনালগ থার্মোমিটারেই শিশুর তাপমাত্রা নির্ণয় করা লাগতো। তবে এখন বাজারে বিভিন্ন ধরণের ডিজিটাল থার্মোমিটার পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে সহজেই শরীরের তাপমাত্রা সঠিক ও নির্ভুলভাবে নিরুপন করা যায়। যেমন-
Multi-use digital thermometer- এই থার্মোমিটারে একটি ছোট্ট এলসিডি স্ক্রীণের সাথে একটি ধাতব স্ট্রিপ এবং হিট সেন্সর লাগানো থাকে। এই ডিজিটাল থার্মোমিটার দ্বারা শিশুর শরীরের তাপমাত্রা ঠিকঠাকভাবে স্ক্রীণে ডেসিমেল পয়েন্টে প্রদর্শন করে। মাল্টি ইউজ থার্মোমিটারের মাধ্যমে শিশুর মুখের, পায়ুপথের ও বগলের নিচের তাপমাত্রা পরিমাপ করা যায়।
Tympanic digital thermometer- এই বিশেষায়িত থার্মোমিটার কানের ভেতরের তাপমাত্রা নির্ণয় করতে সহায়তা করে। কানের পর্দা থেকে নির্গত হওয়া ইনফ্রারেড হিট ওয়েভের মাধ্যমে কানের তাপমাত্রা বের করা হয়।
Temporal artery digital thermometer- শিশুর কপালের পাশে যে ধমনী থাকে, তা থেকে নির্গত ইনফারেড হিট ওয়েভ নির্ণয়ের মাধ্যমেই শিশুর শরীরের তাপমাত্রা জানিয়ে দেয় এই থার্মোমিটার। বিশেষভাবে নির্মিত এ থার্মোমিটার সহজেই শিশুর কপালে রেখে দ্রুত শরীরের তাপমাত্রা কত, তা জানা যায়।
কিভাবে থার্মোমিটার ব্যাবহার করবেন ?
ডিজিটাল থার্মোমিটারের মাধ্যমে খুব দ্রুত সঠিক তাপমাত্রাটা জানা যায়, তাই শিশুর জ্বরের অবস্থা জানতে ডিজিটাল থার্মোমিটারই ব্যবহার করা উত্তম। আপনি যদি প্রথমবারের মতো থার্মোমিটার ব্যাবহার করতে যান, অবশ্যই আগে থার্মোমিটারের প্যাকেটে ‘ইউজার ম্যানুয়েল’টা পড়ে তারপর ব্যাবহার করুন, সেখানেই লিখা থাকবে কিভাবে ব্যাবহার করতে হবে এই মিটার।
শিশুকে গোসল করানোর পরপর তার জ্বর মাপলে সঠিক তাপমাত্রাটা না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। শিশুকে তার জন্যে আরামদায়ক কোন যায়গায় কিছুক্ষণ বসিয়ে, তারপরই থার্মোমিটার ব্যবহার করা জরুরি। বিভিন্ন রকম ডিজিটাল থার্মোমিটারের গঠন প্রক্রিয়া বিভিন্ন রকম হয়, তাই তাদের ব্যাবহারের প্রক্রিয়াটাও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
শিশুর পায়ুপথের তাপমাত্রা কিভাবে নির্ণয় করবো?
শিশুর বয়স তিন বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত পায়ুপথের তাপমাত্রা নির্ণয়ের মাধ্যমে শিশুর শরীরের একদম সঠিক তাপমাত্রা জানা সম্ভব। এছাড়া, শিশুর বয়স তিন বছর হওয়ার পরেও কাশি বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ওরাল থার্মোমিটার ব্যাবহার করা না গেলে, সেক্ষেত্রেও পায়ুপথের থার্মোমিটার ব্যবহার করা যায়।
ডিজিটাল থার্মোমিটারের মাধ্যমে কিভাবে পায়ুপথের তাপমাত্রা নির্ণয় করা যায়, তা নিচে দেওয়া হলো:
- কিছু তুলা এলকোহলে কিংবা ডেটলে চুবিয়ে তা দিয়ে প্রথমে থার্মোমিটার জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। থার্মোমিটারের যে অংশ শিশুর পায়ুতে প্রবেশ করাবেন, সে অংশে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিলে শিশুর অস্বস্থি লাগে না।
- শিশুকে তার পেটের উপর শুইয়ে দিন এবং আপনার সাথে যে আছে, তাকে বলুন শিশুকে আলতো করে ধরে রাখতে। শিশুকে চিৎ করিয়ে পিঠের উপরও শুইয়ে রাখতে পারেন, সেক্ষেত্রে তার পা উপরে তুলে ধরে রাখতে বলুন।
- থার্মোমিটার শিশুর পায়ুপথে আধা ইঞ্চি প্রবেশ করালেই চলে। তবে শিশুর বয়স যদি ছয় মাসের বেশী হয়, সেক্ষেত্রে সেটা ১ ইঞ্চিও হতে পারে। প্রবেশ করানোর পূর্বে থার্মোমিটারে মার্ক করে রাখতে পারেন যে কতটুকু প্রবেশ করাবেন।
- থার্মোমিটার পায়ুপথে কমপক্ষে ২ মিনিট ধরে রাখুন যতক্ষণ না থার্মোমিটার সিগনাল দিচ্ছে অথবা এলসিডি স্ক্রীনে তাপমাত্রা প্রদর্শন করছে।
- ধীরে ধীরে থার্মোমিটার বের করে আনুন এবং আবারো ডেটল কিংবা এলকোহল দিয়ে বিশুদ্ধ করে রাখুন।
শিশুর মুখের তাপমাত্রার চেয়ে পায়ুপথের তাপমাত্রা ০.৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট (০.৩ সেন্টিগ্রেড) থেকে ১.০ ডিগ্রী ফারেনহাইট (০.৬ সেন্টিগ্রেড) পর্যন্ত বেশী হতে পারে। শিশুর পায়ুপথের তাপমাত্রা যদি ১০০.৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট অর্থাৎ ৩৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের বেশী হয়, বুঝতে হবে শিশুর জ্বর চলছে।
শিশুর কপালের তাপমাত্রা কিভাবে নির্ণয় করবো?
টেম্পোরাল আর্টেরি থার্মোমিটারের মাধ্যমে সহজেই শিশুর কপালে থার্মোমিটার রেখে তাপমাত্রা বের করা সম্ভব। তিন মাস কিংবা এর চেয়ে বেশী বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে এই থার্মোমিটার বেশ ভালো কাজ করে। টেম্পোরাল আর্টেরি থার্মোমিটার ব্যাবহার করতে:
- প্রথমে শিশুকে আপনার কোলে বসিয়ে নিন।
- থার্মোমিটারের যে প্রান্তে সেন্সর আছে তা সরাসরি শিশুর কপালের মাঝখানে এনে রাখুন এবং স্ক্যান বাটন চাপ দিন। ধীরে ধীরে থার্মোমিটারের সেন্সরটি শিশুর পুরো কপালে ঠিক যেখানে চুল শেষ হয়েছে, তার নিচে নিচে ঘসে দিন। তারপর স্ক্যান বাটন ছেড়ে দেওয়ার সাথে সাথে স্ক্রীণে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা প্রদর্শন করবে।
সাধারণত শিশুর মুখের তাপমাত্রার চেয়ে কপালের তাপমাত্রা ০.৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট (০.৩ সেন্টিগ্রেড) থেকে ১.০ ডিগ্রী ফারেনহাইট (০.৬ সেন্টিগ্রেড) পর্যন্ত কম দেখায়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে একটু ব্যাতিক্রমভাবেই কপালের তাপমাত্রা ১০০.৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট অর্থাৎ ৩৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের বেশী হলে জ্বর বলে গণ্য করতে হবে যা সাধারণ হিসেবে আসে ৯৯.০ ডিগ্রী ফারেনহাইট (৩৭.৫ সেন্টিগ্রেড)।
শিশুর কানের তাপমাত্রা কিভাবে কিভাবে নির্ণয় করবো?
ছয় মাস বয়সী শিশুর কানের তাপমাত্রা বের করতে টাইমপ্যানিক থার্মোমিটার বেশ ভালো কাজ করে৷ ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের কানের ছিদ্র অনেক ছোট থাকে, তাই এই বয়সে টাইমপ্যানিক থার্মোমিটার ব্যবহার না করাই উচিত।
সঠিক তাপমাত্রা পেতে থার্মোমিটারটি ঠিকঠাকভাবে কানে বসানোটা জরুরি। শিশুর কানে যদি অনেক বেশী ময়লা থাকে, সেক্ষেত্রেও ভুল তাপমাত্রা প্রদর্শনের সম্ভাবনা থাকে।
শিশুর কানের সঠিক তাপমাত্রা পেতে:
- থার্মোমিটারের নির্দিষ্ট অংশটি কানে প্রবেশ করান। কতটুকু ঢুকাতে হবে সেটা থার্মোমিটারেই মার্ক করা থাকে, অতটুকুই ঢুকাবেন।
- একেক রকম থার্মোমিটারের একেক সময় লাগে সঠিক তাপমাত্রা পরিমাপ করতে। তাই ব্যাবহারের পূর্বে ইউজার ম্যানুয়ালটা পড়ে নিন, সেখানে যতক্ষণ রাখতে বলা হবে, ততক্ষণই রাখুন।
- যেহেতু এই থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করা অনেক সংবেদনশীল একটা কাজ, তাই একবার না মেপে সঠিক তাপমাত্রা পেতে কয়েকবার মাপুন।
মুখের তাপমাত্রার চেয়ে কানের তাপমাত্রা ০.৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট (০.৩ সেন্টিগ্রেড) থেকে ১.০ ডিগ্রী ফারেনহাইট (০.৬ সেন্টিগ্রেড) পর্যন্ত বেশী হতে পারে। তাই ১০০.৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট অর্থাৎ ৩৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড হলেই বুঝতে হবে শিশুর জ্বর এসেছে।
শিশুর বগলের তাপমাত্রা নির্ণয়
শিশুর যেকোন বয়সেই এই থার্মেমিটার ব্যবহার করা যায় তবে বগলে ব্যাবহারের জন্যে থার্মোমিটার অন্য থার্মোমিটারদের তুলনায় কম নির্ভরযোগ্য। তিন মাসের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এই থার্মোমিটার ব্যাবহার না করাই ভালো কারণ অনেক ক্ষেত্রেই এটা নির্ভুল ফলাফল দেখায় না।
শিশুর বগলের তাপমাত্রা জানতে:
- প্রথমের শিশুর জামাকাপড় খুলে তাকে কোলে বসিয়ে নিন।
- শিশুর বগল ভেজা থাকলে ভালোভাবে মুছে দিন। এলকোহল কিংবা ডেটল দিয়ে থার্মোমিটারের টিপটা বিশুদ্ধ করে নিন।
- শিশুর হাত একটু উপরে তুলে বগলের মাঝখানে থার্মোমিটারের টিপটা রেখে হাতটা আবার আলতোভাবে চেপে ধরে রাখুন।
- বিপ শব্দ হওয়া কিংবা স্ক্রীণে তাপমাত্রা প্রদর্শিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ধরে রাখুন।
- থার্মোমিটারটি রেখে দেওয়ার আগে আবার জীবাণুমুক্ত করে রাখুন।
শিশুর মুখের তাপমাত্রার চেয়ে বগলের তাপমাত্রা ০.৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট (০.৩ সেন্টিগ্রেড) থেকে ১.০ ডিগ্রী ফারেনহাইট (০.৬ সেন্টিগ্রেড) পর্যন্ত কম হতে পারে। তাই বগলের তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রী ফারেনহাইট (৩৭.২ সেন্টিগ্রেড) হলেই শিশুর জ্বর চলে এসেছে বুঝতে হবে।
শিশুর মুখের তাপমাত্রা কিভাবে পরিমাপ করতে হবে?
শিশুর বয়স চার বছরের বেশী হলে, সে যখন থার্মোমিটারটি নিজে নিজে মুখের ভেতর ধরে রাখার মতো সক্ষমতা ও বুদ্ধি অর্জন করে ফেলবে, তখনই তাকে মুখের থার্মোমিটার দেওয়া উচিত। আপনি যদি স্ট্যান্ডার্ড ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করে থাকেন, সেক্ষেত্রে পায়ুপথ এবং মুখের জন্যে আলাদা আলাদা থার্মোমিটার ব্যাবহার করতে হবে।
তবে একটা জিনিস অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, যখন শিশুর শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে, তার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে যেন শিশুকে খুব ঠান্ডা কিংবা গরম কিছু খাওয়ানো না হয়, তাতে ভুল ফলাফল আসার সম্ভাবনা থাকে।
মুখে থার্মোমিটার দিয়ে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা মাপতে নিম্নোক্ত পন্থা অবলম্বন করুন:
- বরাবরের মতো এলকোহল কিংবা জীবানুনাশক দিয়ে থার্মোমিটারটি বিশুদ্ধ করে নিন এবং শিশুর জিহবার নিচে রেখে মুখ বন্ধ করে রাখতে বলুন। একটা ব্যাপার অবশ্যই খেয়াল রাখুন, শিশু যাতে দাঁতে দাঁত চেপে নয়, বরং ঠোঁটে ঠোঁট চেপে থার্মোমিটারটি ধরে রাখে।
- যদিও শিশু একা একা মুখে থার্মোমিটারটি ধরে রাখার মতো সক্ষম হলে তবেই তার মুখে থার্মোমিটারটি দেবেন, কিন্তু তবুও তাকে রুমে একা রেখে চলে যাবেন না।
- থার্মোমিটারটি মুখে তিন মিনিট ধরে রাখুন, তারপর যে তাপমাত্রাটা দেখাবে তা টুকে রাখুন।
- তাপমাত্রা মাপা শেষ হলে তা আবার জীবাণুমুক্ত মুক্ত করে নিরাপদ জায়গায় রেখে দিন।
শিশুর শরীরের তাপমাত্রা সঠিক ও নির্ভুল পেতে কি করা যায়?
থার্মোমিটারের প্যাকেটের সাথে দেওয়া ইউজার ম্যানুয়াল সঠিক ধাপে ধাপে অনুসরণের মাধ্যমেই সঠিক ফলাফল পাওয়া সম্ভব। তবে এগুলো ছাড়াও আরো কিছু বিষয় নজরে রাখতে হবে, যেমন –
- গোসলের পরপর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা বেড়ে যায়৷ তাই গোসলের কমপক্ষে ১৫ মিনিট পর শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে তাপমাত্রা পরিমাপ করা উচিত।
- শিশু বেশ গরম কিংবা ঠান্ডা কিছু খাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে তাপমাত্রা পরিমাপ করা উচিত নয়।
- শিশু যদি অনেক বেশী কাপড় চোপড় দ্বারা ঢাকা থাকে, তবে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করার আগে শিশুকে একটু খোলামেলা রেখে শরীর স্বাভাবিক করে নিন।
খেয়াল করুন
থার্মোমিটার ব্যাবহারের পূর্বে এবং পরে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখুন:
- কোন প্রকারের ইনফেকশন এড়াতে মুখের এবং পায়ুপথে ব্যবহারের জন্যে আলাদা আলাদা থার্মোমিটার ব্যাবহার করুন।
- সঠিক ফলাফল পেতে থার্মোমিটারের প্যাকেটের সাথে দেওয়া ইউজার ম্যানুয়ালটি অবশ্যই অনুসরণ করুন।
- থার্মোমিটার অবশ্যই শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন।
- থার্মোমিটার ব্যাবহারের পূর্বে ও পরে একে এলকোহল কিংবা জীবাণুনাশক দিয়ে বিশুদ্ধ করে তবেই ব্যাবহার করুন।
শিশুর শরীরের সঠিক তাপমাত্রা জানা বেশ জরুরি একটি কাজ যা ডিজিটাল থার্মোমিটারের মাধ্যমে বেশ সহজেই বের করা সম্ভব। সঠিক তাপমাত্রা জেনে দেখে নিন শিশুর জ্বর আছে কিনা আর তারপরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিন।
সবার জন্য শুভকামনা।