গর্ভাবস্থায় লিস্টেরিওসিস : সতর্ক থাকা জরুরী

Spread the love

লিস্টেরিওসিস (Listeriosis) কি?

লিস্টেরিওসিস রোগটির নাম শুনেছেন??

হয়তো,বেশীরভাগেরই উত্তর আসবে, না! পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত হাজার রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এর মধ্যে কয়টা সম্পর্কেই বা আমরা জানি? আর জানাটা আসলে সম্ভবও নয়। তবে এতোটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, লিস্টেরিওসিস রোগটি সম্পর্কে জানা আপনার বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জন্য খুবই জরুরী!

বিজ্ঞাপণ

এটা হল এমন এক ধরনের ভয়াবহ ইনফেকশন যেটা লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজিনেস  (listeria monocytogenes) নামক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত খাবার খেলে আপনার হতে পারে। মাটি,পানি সবখানেই থাকতে পারে এ ব্যাক্টেরিয়া।

মূলত কাঁচা শাক-সবজি,কাঁচা মাংস, দুধ এমনকি রেফ্রিজারেটরের কম তাপমাত্রায়ও এরা জন্মাতে পারে। মাত্র একহাজারটিরও কম সংখ্যক ব্যাক্টেরিয়া এসব খাবারের সাথে আপনার দেহে প্রবেশ করে আপনার অজান্তেই সৃষ্টি করতে পারে এ রোগ।

গর্ভকালীন সময়ে নারী এবং গর্ভের শিশুর, যাদের পাকযন্ত্র বেশ দুর্বল এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা বিশেষ করে এই ধরনের ইনফেকশনের ঝুঁকিতে থাকে। এই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার জন্য রক্তে ইনফেকশন, meningitis সহ অন্যান্য আরো ভয়াবহ জীবন নাশক সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় নারীরা এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হলে তাদের গর্ভকালীন জটিলতা বৃদ্ধি পায় এবং গর্ভের সন্তানও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়।  

তবে সৌভাগ্যের বিষয় এই যে, এই ধরনের রোগ তুলনামূলক ভাবে একটু বিরল। দ্য সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর আমেরিকায় প্রায় ২৫০০ মানুষ এই ব্যাকটেরিয়াতে আক্রান্ত হয়। 

লিস্টেরিওসিস কীভাবে আপনার গর্ভের শিশুর ক্ষতি করবে?

রোগ প্রতিরোধ জনিত কোন বড় ধরনের অসুখ যদি আপনার ইতোমধ্যেই না থাকে তাহলে Listeriosis আপনার শরীরে গুরুতর কোন প্রভাব নাও ফেলতে পারে। তবে এই ব্যাকটেরিয়া জনিত ইনফেকশন অর্থাৎ সংক্রমণটি আপনাকে শারীরিক ভাবে খুব একটা অসুস্থ না করলেও এই ধরনের ইনফেকশনের কারণে আপনার গর্ভের শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে এটা বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে এই রোগে যদি যথা সময়ে সঠিক চিকিৎসা না করা হয়ে থাকে।

Listeria আপনার প্লাসেন্টা অর্থাৎ গর্ভ-ফুলকে, এমনিওটিক ফ্লুয়িড, এবং গর্ভের শিশুকেও সংক্রমিত করতে পারে এবং এই সংক্রমণের কারণে গর্ভপাত সহ মৃত সন্তান প্রসব হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। সংক্রমণ হওয়ার পরে শিশু যদি বেঁচেও যায় তাহলেও প্রিম্যাচিউর বার্থ অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের আগেই গর্ভের সন্তান প্রসব হতে যেতে পারে।

এছাড়া এই সংক্রমণের কারণে অনেক শিশু বিভিন্ন রকম অসুস্থতা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করতে পারে অথবা জন্মের পরপরই তারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের সংক্রমণের ফলে নবজাতক শিশুর রক্ত সংক্রমণ, শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট, জ্বর, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষত সহ সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে সংক্রমণ বা মেনিনজাইটিস হতে পারে।

কখনো কখনো জন্মের পর নবজাতক সন্তান ও তার মা কে আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ মনে হতে পারে, তবে অচিরেই কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সাধারণত মেনিনজাইটিস এর মত সংক্রমণ দেখা যেতে পারে। এটাকে ডাক্তারি ভাষায় “Late-onset listeriosis” বলা হয়ে থাকে এবং এটা হয়ত জন্ম এবং প্রসবের সময় শিশুর মধ্যে সংক্রমণ হয়েছে ( কেননা একজন সংক্রমণ হওয়া নারীর সার্ভিক্সে, যৌনাঙ্গে অথবা জন্ম নালীতে এই ব্যাকটেরিয়া আশ্রয় নিতে পারে)।

এছাড়া নবজাতক শিশুর মধ্যে মা ব্যতীত অন্য কোন উৎস থেকেও হয়ত এই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে, যদিও এই ধরনের ঘটনা বেশ বিরল।

দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণ হওয়া শিশুরা বেশিরভাগক্ষেত্রই মারা যায় অথবা দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যায় ভোগে।

আপনি কীভাবে জানতে পারবেন যে আপনার লিস্টেরিওসিস হয়েছে কি না?

আপনি হয়ত নাও জানতে পারেন, কেননা অনেকের মধ্যে এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কোন ধরনের প্রাথমিক লক্ষণ দেখাই যায় না। অন্য অনেকের মধ্যে খুব সাধারণ কিছু লক্ষণ দেখা যায় যেমন জ্বর, ঠাণ্ডা, মাথা ব্যথা, কোমর ব্যথা অথবা পাকযন্ত্র জনিত কিছু সমস্যা লক্ষণ হিসেবে দেখা যেতে পারে।

তবে খুব কম সময়েই এই সংক্রমণ আপনার সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে আঘাত করবে। এমনটা যদি হয়ে থাকে তাহলে আপনি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়বেন এবং আপনার মধ্যে মাথা ব্যথা, ঘাড় ব্যথা, অবসাদ অথবা খিঁচুনি দেখা যেতে পারে।

এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ জনিত যে কোন ধরনের লক্ষণ আপনার মধ্যে দেখা গেলে সাথে সাথে আপনার ডাক্তারের সাথে আলাপ করুন।

যদি পাকস্থলী জনিত লক্ষণ দেখা গিয়ে থাকে তাহলে জেনে রাখবেন এই ধরনের লক্ষণ সংক্রমণ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সাধারণত দেখা যায়, কিন্তু অন্যান্য লক্ষণগুলো সংক্রমণ  হওয়ার প্রায় দুই থেকে ছয় সপ্তাহ পরেও দেখা যেতে পারে। এই ধরনের সমস্যা কি listeriosis এর জন্য হয়েছে কি না সেটা জানার জন্য আপনাকে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে।

লিস্টেরিওসিস এর চিকিৎসা কি?

আপনাকে IV এন্টি বায়োটিক দেয়া হবে, যেটা আপনার সংক্রমণের উপর কাজ করবে এবং আপনার শিশুকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য সাহায্য করবে। এই ধরনের সমস্যা দেখা গেলে, আপনার শিশু ঠিক কীভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা জানার জন্য আলট্রাসাউন্ড এর মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে।

সংক্রমণ হওয়া থেকে বেঁচে থাকার জন্য আপনি কি করতে পারেন?

খাদ্য জনিত এই ইনফেকশন থেকে বেঁচে থাকার জন্য নিম্নে কিছু নির্দেশনা দেয়া হলঃ

সকল ধরনের মাছ মাংস খুব ভালোভাবে রান্না করতে হবে। খাদ্যের তাপমাত্রা নির্ধারণ করার জন্য প্রয়োজনে থার্মোমিটার ব্যবহার করে মাংসের ভিতরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। বেশীরভাগ মাংসই সাধারণত ১৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে অথবা ১৮০ ডিগ্রিতে ভালোভাবে রান্না হয়ে যায়।

বিজ্ঞাপণ

যদি আপনি তাপমাত্রা পরীক্ষা করে রান্না না করতে পারেন তাহলে মাংস ভিতরের অংশ থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত গোলাপি ভাব চলে না যায় ততক্ষণ রান্না করুন। এছাড়া মাছের ক্ষেত্রে রান্নার সময় মাছের ভিতরের অংশ ঘোলাটে হয়ে আসলেই বুঝতে হবে যে সেটা রান্না হয়ে গেছে।

এইসব রান্নার মধ্যে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে, আর সেটা হল শুধুমাত্র স্বাদ পরীক্ষা করার জন্য হলেও পুরোপুরি রান্না হয়ে যাওয়ার আগে কোন কিছুই খাওয়া যাবে না।

পুরনো খাবার পুনরায় খাবার আগে ভালো করে গরম করে নিতে হবে। কেননা লিস্টেরিয়া নামক এক ব্যাকটেরিয়াটি রান্না করা খাবারের মধ্যেও সংক্রমণ হতে পারে এবং অন্যান্য অনেক ব্যাকটেরিয়া থেকে এটা বেশ আলাদা। কেননা এই সংক্রমণ ফ্রিজের মধ্যে রাখা খাবারেও হতে পারে, আর তাই পুরনো খাবার খেতে হলে প্রথমে এটা ১৬৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় গরম করে নিতে হবে।

এছাড়া আপনি যদি মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে ওভেনে দেয়ার সময় খাবার ঢেকে  দিন, এটা খাবারের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং নিরাপদ ভাবে খাবার গরম করতে সাহায্য করে। মাইক্রোওয়েভ এ গরম হয়ে গেলে খাবার বের করার আগে দুই এক মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন, এরপর খাবারটি ওভেন থেকে বের করুন, এতে করে খাবার ভালোভাবে রান্না হয়ে যায়।

এছাড়া আপনি পুরনো খাবার কি সঠিক তাপমাত্রায় গরম হচ্ছে কি না সেটা জানার জন্য খাবারের মধ্যে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

কৌটা এবং বাজারজাত তৈরি খাবার গরম না করে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। উপরের কারণের মতই বাজার জাত তৈরি মাংস, ফ্রোজেন খাবার, স্মোকড ফিশ ইত্যাদি গরম না করে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন ( এমনকি পিজ্জা এবং স্যান্ডুইচের ক্ষেত্রেও একই রকম পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে)।

তবে যে সব কৌটাজাত খাবার শেলফে রাখলেই হয়, ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন নেই সেগুলো গরম না করে খেলে কোন সমস্যা নেই। তবে বাজার থেকে তৈরি করা সালাদ পরিহার করুন, বিশেষ করে যেগুলোর মধ্যে চিকেন ও সিফুড রয়েছে। এছাড়া পটেটো সালাদ যেটা দীর্ঘ সময় বরফের মধ্যে না রেখে সাধারণ তাপমাত্রায় রেখে দেয়া হয় সেটা থেকে বিরত থাকুন এবং বুফেতে মাংস খাওয়ার সময় দেখে নিতে হবে যে সেটা পর্যাপ্ত পরিমাণে গরম আছে কি না।

তবে আপনি যদি নিশ্চিত থাকেন যে খাবার নিরাপদ উপায়ে তৈরি হয়েছে এবং সাধারণ তাপমাত্রায় দুই ঘণ্টার (অতিরিক্ত গরম আবহাওয়ায় এক ঘণ্টা) বেশি রেখে দেয়া হয়নি তাহলে সেটা খাওয়া আপনার জন্য নিরাপদ।

অপাস্তুরিত কাঁচা দুধ পান করা থেকে বিরত থাকুন। গরু এবং ছাগল উভয়ের দুধই অপাস্তুরিত এবং কাঁচা অবস্থায় পান করবেন না এবং সেগুলো দিয়ে যে খাবার তৈরি করা হয়েছে সেটাও পরিহার করুন। নরম চিজ যেমন feta, brie, অথবা camembert, blue veined cheese, অথবা mexican style cheese থেকে বিরত থাকুন, তবে খাবারের লেবেলে যদি লেখা থাকে যে এটা পাস্তুরিত দুধ থেকে তৈরি হয়েছে, তাহলে কোন সমস্যা নেই এটা আপনার জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।

তবে আমেরিকান চিজ এবং শক্ত চিজ সাধারণত খাবার জন্য নিরাপদ বলে গণ্য করা হয়ে থাকে। একই সাথে দই এবং বাটারমিল্কও বেশ নিরাপদ। তবে সবকিছুতেই নিরাপদ থাকার জন্য সকল দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ার পূর্বে লেবেল দেখে নিশ্চিত হয়ে নিন যে এটা পাস্তুরিত দুধ থেকে তৈরি করা হয়েছে কি না।

সকল খাবার ধুয়ে খাবেন। সকল ধরনের ফল এবং সবজী খাবার পূর্বে প্রথমে ভালো করে ধুয়ে নিন।

স্প্রাউটস থেকে দূরে থাকুন। গর্ভধারণ করার আগে পর্যন্ত এবং সন্তান প্রসবের পর আপনি কাঁচা স্প্রাউটস খেতে পারেন। (তবে জেনে রাখুন ২০০৮ সালের মার্চ মাসে স্প্রাউটস এর কারণে অনেকেই লিস্টেরিওসিসে আক্রান্ত হয়েছেন)

বিজ্ঞাপণ

রেডি টু ইট অবস্থায় থাকা খাবারে যদি সংক্রমণ হওয়ার আশংকা থাকে তাহলে সেগুলো পরিহার করুন। এছাড়া আগের যে কোন খাবারের ক্ষেত্রে যদি আপনার মনে হয় এতে সংক্রমণ হতে পারে তাহলে সেগুলো নতুন খাবার থেকে একদম আলাদা করে রাখুন। সংক্রমিত খাবারের সাথে যদি স্পর্শ লেগে থাকে তাহলে নতুন খাবার প্রস্তুত করার পূর্বে কাউন্টার, কাটিং বোর্ড, প্লেট এবং আপনার হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।

স্পঞ্জ এবং ডিশওয়াশার নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। মনে রাখবেন, প্লেট ধোয়ার কাপড় এবং স্পঞ্জে প্রচুর পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া হতে পারে। তাই এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন। এছাড়া ধুয়ে রাখা সবকিছু খুব ভালো করে মুছে শুকনো করে রাখুন, এরসাথে আপনার হাতও পরিষ্কার কাপড় অথবা টিস্যু দিয়ে ভালো করে মুছে রাখতে ভুলবেন না।

দীর্ঘ সময় ধরে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় খাবার রেখে দিবেন না। রেডি টু ইট এবং অন্যান্য খাবার কেনার পরপরই যতটা সম্ভব শেষ করে ফেলুন, বিশেষ করে যদি আপনি কৌটাটি খুলে থাকেন। এক্সপায়ার তারিখ অতিক্রম না করলেও, কৌটা খুলে ফেললে সে খাবার রেখে দেয়া নিরাপদ নয়, কেননা এই তারিখ আদতে বন্ধ থাকা কৌটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

আপনার ফ্রিজ এবং ফ্রিজের তাপমাত্রা পরীক্ষা করুন। আপনার খাবারের মধ্যে সংক্রমণ না হওয়ার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করুন, নিশ্চিত হন যে আপনার ফ্রিজের সাধারণ অংশের তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট দেয়া আছে এবং বরফ অংশের তাপমাত্রা শূন্যের নিচে দেয়া আছে। তাপমাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহার করে ফ্রিজ এবং ফ্রিজের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে দেখুন।

মনে রাখবে একটা ঠাণ্ডা ফ্রিজ খাবার নিরাপদ রাখার জন্য অবশ্যই সাহায্য করে তবে এটা একদম শতভাগ নিরাপদ নয়। কেননা লিস্টেরিয়া হল এমন এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যেটা ঠাণ্ডা তাপমাত্রার মধ্যেও বংশ বৃদ্ধি এবং সংক্রমণ করতে পারে। এজন্যই ফ্রিজের মধ্যেও যদি কোন খাবার রেখে দেন, সেটা খাওয়ার আগে ভালো করে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরম করে নিন। এছাড়াও আরো নিরাপদ থাকার জন্য আপনার ফ্রিজটিও সর্বদা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।

সবার জন্য শুভকামনা।  


Spread the love

Related posts

Leave a Comment