রেসিপির বর্ণনা ও পুষ্টিগুণ
চিড়ার পোলাও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি সরবরাহ করে যেগুলো তিন শ্রেণীর খাদ্য থেকে আসে। এখানে ব্যবহৃত চিড়া, যা শস্য জাতীয় খাদ্যের প্রতিনিধি, খুব সহজেই হজম হয় এবং এতে অধিক পরিমানে শর্করা আছে যা তাৎক্ষনিক শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও চিড়া ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর একটি ভালো উৎস। এই রেসিপিতে ব্যবহৃত ডিম উত্তম আমিষ সরবরাহ করে। এটি দেহের কোষ তৈরিতে সাহায্য করা ছারাও শক্তি এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সরবরাহ করে। এই রান্নায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সবজি ভিটামিন, খনিজ ও আঁশযুক্ত খাবারের ভালো উৎস। খাবার তেল খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধি করতে ব্যবহার করা হয় যা শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে, সুগন্ধ বৃদ্ধি করে এবং তেলে দ্রবীভূত ভিটামিন পরিশোষনের পরিমান বাড়িয়ে দেয়। (উদাহরনঃ গাজরের বিটা ক্যারোটিন)
মোট রান্নার ওজনঃ ২৩০ গ্রাম (১ বাটি)
পরিবশনের সংখ্যাঃ ২
প্রয়োজনীয় সময়ঃ ২৫ মিনিট
আয়রনের উৎসঃ চিড়া, ডিম, পালংশাক
বয়সের বিভাগঃ ৯-১১ মাস, ১২-২৩ মাস।
প্রস্তুত প্রনালী
১। চিড়া ভালমত পরিষ্কার করে ধুয়ে ফুটানো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ভালোমত পানি ঝরিয়ে নিন।
২। সব শাক সবজী এবং পেঁয়াজ ভালোমত ধুয়ে কেটে নিন।
৩। একটি রান্নার পাত্রে তেল গরম করুন, তেল গরম হলে এতে পেঁয়াজ কুচি ছেরে দিন।
৪। পেঁয়াজ সামান্য বাদামী হলে সবজীগুলো ঢেলে দিন। কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করুন। স্বাদ অনুযায়ী লবন যোগ করুন। সবজী রান্না হওয়ার জন্য পাত্রটি ধেকে দিন।
৫। ভালোমত সিদ্ধ হয়ে গেলে এতে একটি ডিম ভালোমত ফেটে ঢেলে দিন। দ্রুত নাড়তে থাকুন যাতে ডিম ভালোভাবে সবজির সাথে মিশে যায়।
৬। পানি ঝরানো চিড়াগুলো এতে দিয়ে দিন। ভালোমত নাড়াচাড়া করুন যাতে সব উপকরণ একসাথে মিশে যায়।
৭। অল্পআঁচে কিছুক্ষণ (৫ মিনিট) রান্না করুন। চিড়ার পোলাও পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
শিশুকে নতুন খাবার দেওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখুন, শরীরের কোথাও র্যাশ, বমি বা ঢেকুরের পরিমাণ বেশি হচ্ছে কি না। বাচ্চার কান্নার পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে গেছে বা পেট ফুলেছে, প্রস্রাব-পায়খানায় পরিবর্তন অনুভব করলে সেই খাবার বন্ধ করতে হবে। অবস্থা বেগতিক মনে হলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
তথ্যসূত্রঃ
রেসিপি টি বাংলাদেশের জন্য পরিপূরক খাবার বিষয়ে ম্যানুয়াল উন্নয়ন গবেষণা থেকে তৈরি বুকলেট “৬-২৩ মাস বয়সী শিশুদের জন্য ঘরে তৈরি পরিপূরক খাদ্য প্রস্তুত প্রণালী” থেকে গ্রহন করা হয়েছে। গবেষণাটি বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত হয়েছে। গবেষণাটিতে টেকনিক্যাল সহায়তা প্রদান করেছে এফএও এবং আর্থিক সহায়তা করছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউএসএআইডি।