গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন

Spread the love

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকলে কি একটু বেশিই ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন?

আপনি যখন জানতে পারবেন যে আপনার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (gestational diabetes) হয়েছে তখন থেকে প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। তবে এই সমস্যার জন্য যদি আপনাকে ইনসুলিন অথবা অন্য কোন ধরনের ওষুধ গ্রহণ করতে হয় তাহলে আপনাকে হয়ত প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগতে পারে।

তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে আপনার গর্ভের শিশুর কি স্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি হচ্ছে কি না এটা জানার জন্য আপনাকে হয়ত একবার অথবা দুইবার আলট্রাসাউন্ড দিয়ে পরীক্ষা করা হতে পারে।

বিজ্ঞাপণ

এছাড়া আপনাকে যদি ওষুধের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় তাহলে প্রতি সপ্তাহে অন্তত এক অথবা দুইবার fetal nonstress পরীক্ষা করানো হতে পারে। গর্ভের শিশুর নড়াচড়া এবং হৃৎস্পন্দন পরীক্ষা করার জন্য এই পরীক্ষাটা বেশ নিরাপদ। 

আরেকটা ব্যাপার খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনি রুটিন চেকআপের কোন তারিখ অথবা এপয়েনমেন্ট মিস করতে পারবেন না, আপনাকে অবশ্যই সবগুলো তারিখেই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এমনকি যদি আপনি একদম সুস্থ অনুভব করেন তবুও আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। কেননা আপনি ও গর্ভের শিশু উভয়কেই ডাক্তার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবেন এবং আপনার উপর করা বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে আপনার চিকিৎসা পদ্ধতিতেও পরিবর্তন করা লাগতে পারে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকলে আপনাকে কি করতে হবে?

গর্ভকালীন সময়ে আপনার ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য প্রধান উপায় হল নিয়মিত রক্তের সুগার লেভেল পরীক্ষা করা। এর মাধ্যমে ডায়াবেটিস এর উপর আপনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার চিকিৎসা পদ্ধতিটি সঠিক উপায়ে হচ্ছে।

একটা বিশেষ ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে কীভাবে নিজের রক্তের সুগার লেভেল নিজেই পরীক্ষা করা যায় এটা আপনাকে ডাক্তার দেখিয়ে দিবে। তবে এ নিয়ে অত চিন্তার কিছু নেই, কেননা এই পদ্ধতিটা একদম সহজ।

আপনার আঙুলের মাথা থেকে একটা বিশেষ ধরনের সুঁই দিয়ে কোন প্রকার ব্যথা ছাড়াই এক ফোটা রক্ত বের করা হবে এবং সেই রক্ত বিশেষ যন্ত্রের মধ্যে দিলেই আপনার সুগার লেভেল বুঝা যাবে।

তবে অনেক নারীরাই প্রাথমিক অবস্থায় এই পরীক্ষা করার সময় একটু অস্বস্তিতে ভোগেন কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তারা অভ্যস্ত হয়ে পড়েন, কেননা আদতে এই পরীক্ষা করার সময় কোন ব্যথা লাগে না।

আপনাকে কতক্ষণ পরপর এই রক্ত পরীক্ষা করতে হবে সেটা আপনাকে ডাক্তারই বলে দিবেন। সাধারণত এই পরীক্ষা করতে হয় সকাল বেলায় নাস্তা ও পানি খাওয়ার আগেই একবার এবং প্রতি বেলায় খাবার খাওয়ার এক থেকে দুই ঘণ্টা পর একবার করে।

তবে রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে আনতে যদি আপনাকে জটিলতায় পড়তে হয় তাহলে হয়ত একটু বেশি বেশি এই পরীক্ষা করতে হতে পারে। আর যদি বেশীরভাগ সময়েই দেখা যায় যে আপনার রক্তের সুগার লেভেল স্বাভাবিক পর্যায়ে আছে তাহলে হয়ত আপনাকে এই পরীক্ষা কম করলেও চলবে।

এছাড়া গর্ভকালীন সময়ে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ডাক্তার হয়ত আপনার দৈনন্দিন অভ্যাসে এবং জীবন যাপনেও কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসতে বলতে পারেন। এই অভ্যাস পরিবর্তনগুলো আদতেই কাজ করছে কি না সেটা আপনার রক্তের সুগার লেভেল পরীক্ষা করার মাধ্যমেই বুঝতে পারবেন।

দৈনন্দিন অভ্যাসে আপনাকে কি ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসতে হতে পারে?

রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আপনাকে যে ধরনের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে তা নিম্নে বর্ণীত হলঃ

সুষম এবং পরিমিত খাবার গ্রহণ। পরিমিত এবং সুষম খাবারের অভ্যাস তৈরি করাই হল গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায়। চেষ্টা করুন প্রতিদিন তিন বেলা মাঝারী পরিমাণ খাবার এবং তার মাঝে দুই অথবা তিনবার হালকা নাস্তা খেতে।

খেয়াল রাখবেন খাবার তালিকায় যেন পূর্ণ শস্য, লিন প্রোটিন এবং শাক সবজি থাকে। একটা সুষম ও সহজ খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য আপনার ডাক্তার হয়ত আপনাকে কোন খাদ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে বলতে পারেন।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন। রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনেক ডাক্তারই হালকা ব্যায়াম করার জন্য পরামর্ষ দিয়ে থাকেন। প্রতি সপ্তাহে ত্রিশ মিনিট করে অন্তত পাঁচবার ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।

আপনি চাইলে অল্প বিস্তর হাঁটা হাঁটি করতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন অথবা গর্ভকালীন সময়ের জন্য বিশেষ ধরনের ইয়োগা ক্লাসে যোগদান করতে পারেন। তবে নতুন যে কোন ধরনের ব্যায়াম করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে আপনাকে।

আপনার রক্তে যদি সুগারের মাত্রা বেশি থাকে তাহলে আপনি কি করবেন?

রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকে, তারমধ্যে অন্যতম কারণ হল আপনার খাদ্যাভ্যাস। এছাড়া আপনি যদি ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন তাহলে সেই ওষুধ গ্রহণের সময়টাও রক্তে সুগারের মাত্রা কম বেশি হওয়ার উপর বেশ প্রভাব বিস্তার করে।

বেশীরভাগ সময়েই রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি হলেও কোন ধরনের লক্ষণ পরিলক্ষিত করা যায় না, তবে কোন ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত তৃষ্ণা এবং সেই সাথে একই পরিমাণে প্রস্রাবের বেগ আসতে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপণ

একটা ব্যাপার মনে রাখবেন, রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে শুরুতেই আপনাকে জানতে হবে আপনার শরীরের সুগার সুগার লেভেলের বৃদ্ধি ঠিক কী কারণে হচ্ছে এবং কখন হচ্ছে। এগুলো জানার পরে, আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুসারে খাদ্যাভ্যাস এবং ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন। এবিষয়ে নিচে কিছু টিপস দেয়া হোল- 

  • নিয়মিত আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করুন
  • একটা খাতার মধ্যে আপনি কি খাচ্ছেন, কখন ওষুধ নিচ্ছেন এবং কি পরিমাণ ব্যায়াম করছেন এসব প্রয়োজনীয় তথ্য টুকে রাখুন। এগুলো লেখার সাথে সাথে রক্তের সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করে আপনার ডাক্তারকে দেখাতে পারেন যে এসবের মধ্যে কি দুশ্চিন্তা করার মত আলাদা কোন প্যাটার্ন রয়েছে কি না। এছাড়া আপনি আরো বুঝতে পারবেন যে কোন ধরনের খাবার খেলে আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।
  • আপনার রক্তের সুগারের মাত্রার সাথে আপনার দৈনন্দিন অভ্যাসগুলোর একটা সমন্বয় ঘটানোর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য টুকে রাখা ডায়রি নিয়ে ডাক্তারের সাথে অথবা একজন খাদ্য ও পুষ্টিবিদ এর সাথে আলাপ করতে পারেন।

আপনার রক্তের সুগারের মাত্রা যদি কমে আসে তাহলে কি করবেন?

রক্তের সুগারের মাত্রা কমে আসলে সেটাকে ডাক্তারি ভাষায় Hypoglycemia বলা হয়ে থাকে। যারা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নিয়মিত ইনসুলিন অথবা ওষুধ গ্রহণ করেন তারা এই সমস্যায় ভোগার ঝুঁকিতে কিঞ্চিৎ বেশিই থাকেন। রক্তে সুগারের মাত্রা কমে আসলে তাৎক্ষনিক ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা খুবই জরুরী।

নিম্নে রক্তে সুগার কমে আসার কিছু লক্ষণ দেয়া হলঃ

  • ক্ষুধা ভাব।
  • মাথা ব্যথা।
  • মাথা ঝিমঝিম করা।
  • প্রচুর ঘামানো।
  • উদ্বেগ বেড়ে যাওয়া।
  • হৃৎস্পন্দন দ্রুত হয়ে যাওয়া।

যদি হুট করেই আপনার রক্তের সুগারের মাত্রা কমে যায় এইজন্য ডাক্তার হয়ত আপনাকে সবসময় সাথে গ্লুকোজ ট্যাবলেট অথবা ক্যান্ডি রাখার পরামর্শ দিতে পারেন। যদি এক সপ্তাহের মধ্যে দুইবার অথবা ততোধিক বার আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা কমে আসে তাহলে তাৎক্ষনিক ভাবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

আপনার কি ওষুধ গ্রহণ করা প্রয়োজন?

হয়ত আপনাকে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে, তবে গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়বেটিসে ভোগা ৮৫ ভাগ নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় সুষম ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমেই তারা এই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন।

আপনার দৈনন্দিন অভ্যাসে যথেষ্ট পরিবর্তন নিয়ে আসার পরেও যদি দেখা যায় যে আপনার ডায়াবেটিস কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না তাহলে ডাক্তার হয়ত আপনাকে ইনসুলিন অথবা মুখে খাওয়ার ওষুধ দিতে পারেন।

তবে ইনসুলিন কখনো ট্যাবলেটের মত করে খাওয়া যায় না, তাই আপনি কীভাবে ইনজেকশনের মাধ্যমে নিজেই ইনসুলিন নিতে পারবেন সেটা ডাক্তার আপনাকে দেখিয়ে দিবেন। প্রতিদিন আপনাকে তিন বেলা করে এই ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হতে পারে। ইনসুলিন নেয়া গর্ভাবস্থায় নিরাপদ।

যদি আপনি ইনসুলিন অথবা অন্য কোন ধরনের ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন তাহলে সেটা কখন এবং কি পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে সে সম্পর্কে অবশ্যই সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন। এছাড়া নিয়মিত রুটিন চেকআপের সবগুলো তারিখেই ডাক্তারের কাছে যাবেন, কেননা আপনার ওষুধ যে কোন সময়েই পরিবর্তন করতে হতে পারে।

তবে আরেকটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন, আপনি ওষুধ খাচ্ছেন তার মানে কিন্তু এই নয় যে আপনি এখন যে কোন ধরনের খাবার খেতে পারবেন। ওষুধ গ্রহণ করার পরেও আপনাকে একটা সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত রক্তের সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে।

ডায়াবেটিসের জন্য নেয়া পদক্ষেপগুলো মেনে চলাটা কীভাবে সুনিশ্চিত করবেন?

গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাটা আপনার জন্য কিছুটা কষ্টকরই হয়ে উঠতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠাটা খুবই স্বাভাবিক, বিশেষ করে গর্ভকালীন সময়ে যখন আপনি এমনিতেই বেশ ক্লান্ত এবং অবসাদগ্রস্ত থাকেন।

প্রাথমিক অবস্থায় নতুন ধরনের খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়ত কিছুটা বিরক্ত লাগতে পারে অথবা আপনার নিজেকে খুব শৃঙ্খলায় আবদ্ধ মনে হতে পারে, এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করার জন্য নিজেকে উৎসাহ দেয়াটাও অনেক সময় কঠিন একটা ব্যাপারে হয়ে দাঁড়ায়।

বিজ্ঞাপণ

কিন্তু মনে রাখবেন আপনার চিকিৎসার জন্য নেয়া পদক্ষেপগুলো মেনে চলার মাধ্যমেই কেবল মাত্র আপনি গর্ভকালীন সময়ে নিজের স্বাস্থ্য এবং গর্ভের শিশুর সুস্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করতে পারবেন, অন্যথা নয়।

নিজেকে বারবার মনে করিয়ে দিন এমন অবস্থায় আপনাকে আর খুব বেশীদিন কাটাতে হবে না। কেননা গর্ভকালীন সময়ে যখন আপনার ডায়াবেটিস হয় তখন সেটা সন্তান প্রসব হওয়ার সাথে সাথেই ঠিক হয়ে যায়।

সে যাই হোক, পরবর্তী সময়েও আপনার টাইপ ২ ডায়াবেটিকসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আর তাই গর্ভকালীন সময়ে যে দৈনন্দিন অভ্যাস গড়ে তুলছিলেন সেটার মধ্যে থাকলেই আপনি দীর্ঘ সময়ের জন্য সুস্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারবেন।

আপনার পরিবর্তিত অভ্যাস মেনে চলার জন্য নিম্নে কিছু পরামর্শ দেয়া হলঃ

  • আপনার সঙ্গী অথবা পরিবারের অন্য কাউকে এই অভ্যাসের সঙ্গে সংযুক্ত করুন। কেননা কোন অভ্যাস একা একা পালন করা থেকে দুইজন মিলে সেটা পালন করা অনেক ক্ষেত্রেই সহজ হয়ে উঠে। আপনার সঙ্গী অথবা পরিবারের অন্য কাউকে শরীর থেকে অতিরিক্ত সুগার কমিয়ে ফেলার জন্য আপনার সাথে সুষম এবং পরিমিত খাদ্য খেতে বলুন।
  • এমন ধরনের ব্যায়াম নির্ধারণ করুন যেটা আপনি বেশ পছন্দ করেন। এমন কোন ধরনের ব্যায়াম নির্ধারণ করুন যেটা করতে আপনার ভালো লাগে, অন্তত খারাপ যাতে না লাগে সেটা নিশ্চিত করুন। আপনি চাইলেই গর্ভকালীন সময়ের জন্য তৈরি বিশেষ ধরনের ইয়োগা ক্লাসে ভর্তি হতে পারেন অথবা বন্ধুদের সাথে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এই অভ্যাসের মাধ্যমে আপনি নিজেকে প্রফুল্ল মনে করবেন এবং নিয়মিত ব্যায়ামের কারণেই যে এমন হচ্ছে সেটা উপলব্ধি করতে পারবেন।
  • অন্যান্য অনেক উপায়ে নিজেকে উৎসাহী ও প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা করুন। আপনার যদি বিশেষ ধরনের খাবার যেমন চকোলেট , কেক অথবা সোডা খেতে ইচ্ছে করে তাহলে তার পরিবর্তে কি খাওয়া যেতে পারে সেদিকে মনোনিবেশ করুন। গর্ভকালীন সময়ে একটা ম্যাসাজ অথবা বন্ধুদের সাথে সুন্দর একটা সময় কাটানোর মাধ্যমে হতাশ হওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন।
  • যে কোন ধরনের সাহায্যের প্রয়োজন হলে সেটা বলুন। দৈনন্দিন অভ্যাসের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে যদি আপনার খুবই কষ্ট হয় সেটা নিয়ে ডাক্তারের সাথে আলাপ করুন। প্রয়োজন অনুসারে ডাক্তার আপনার বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করবেন যাতে করে আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং দৈনন্দিন অভ্যাসের ক্ষেত্রে আপনি উৎসাহী হয়ে উঠেন।

একটা ব্যাপার সবসময় মাথায় রাখতে হবে আপনাকে, আর সেটা হল এই যে ডাক্তাররা আপনাকে এত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে বলছে এগুলো সবই আপনি যাতে দীর্ঘ সময় সুস্থ থাকতে পারেন সে জন্য, আপনার ভালোর জন্য।

সবার জন্য শুভকামনা। 


Spread the love

Related posts

Leave a Comment