শিশুর হ্যান্ড, ফুট এন্ড মাউথ ডিজিজ বা হাত,পা ও মুখের রোগ

শিশুর হ্যান্ড, ফুট এন্ড মাউথ ডিজিজ বা হাত,পা ও মুখের রোগ

হ্যান্ড, ফুট এন্ড মাউথ ডিজিজ বা হাত, পা ও মুখের রোগ (HFMD)  কি? হাত, পা ও মুখের রোগ (HFMD) অত্যন্ত সংক্রামক একটি ব্যাধি। এন্টেরোভাইরাস পরিবারের কক্সাকি ভাইরাসের আক্রমণ এই রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। এই ভাইরাস ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সরাসরি ছড়িয়ে পরে অপরিষ্কার হাতের মাধ্যমে। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির লালা, মল ও নিঃশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। HFMD  হলে মুখে ফুসকুড়ি বা ঘা হয় এবং হাত পায়ে র‍্যাশ হয়। যেকোন বয়সের মানুষেরই এই রোগ হতে পারে তবে ৫ বছরের কম বয়সের শিশুদের বেশি হয়। এটি সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিজে নিজেই…

বিস্তারিত পড়ুন

৬-৯ মাস বয়সী শিশুর বিকাশে যেভাবে সাহায্য করবেন

৬-৯ মাস বয়সী শিশুর বিকাশে যেভাবে সাহায্য করবেন

৬-৯ মাসে পরিবর্তনীয় বৈশিষ্ট্য খুব শীঘ্রই সে তার প্রথম পা ফেলবে। আপনার কাজ হবে তার নিজস্ব ভঙ্গিতে তাকে একটা সঠিক পথ বেছে নিতে উৎসাহিত করা। আপনি এখন আরও ভাল করে বুঝতে পারবেন সে কিভাবে স্বাচ্ছন্দ্য পেতে পছন্দ করে- তাকে খাওয়ানো , তাকে জড়িয়ে ধরে রাখা বা দোল খাওয়ানো, তাকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নাকি স্ট্রলারে করে চুপচাপ বেড়াতে যেতে। আপনারা দুজনে কোন শব্দ উচ্চারণ না করে ও নিজেদের মধ্যে কথা বার্তা  বলতে শিখবেন। মনোযোগ সহকারে তার কথা শুনবেন। আপনি ও আপনার শিশু যত এক অপরকে চিনতে থাকবেন, আপনি ততই নিশ্চিত…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর মুত্রনালীর প্রদাহ | ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন

শিশুর ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা মুত্রনালীর প্রদাহ

ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা মুত্রনালীর প্রদাহ কি? আমাদের শরীরে কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ ও পানি শুঁষে নিয়ে ইউরিন তৈরি করে। প্রতিদিন এই ইউরিন আমাদের শরীর থেকে বেরিয়ে গিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কিডনি থেকে বেরিয়ে ইউরিন এক সরু টিউবের মধ্য দিয়ে গিয়ে ইউরিনারি ব্লাডারে জমা হয়। বাচ্চার বয়সের ওপর নির্ভর করে, কতটা ইউরিন ব্লাডারে জমা থাকবে। এরপর ব্লাডার থেকে জমা ইউরিন ইউরেথ্রার মধ্য দিয়ে গিয়ে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ইউরিনারি ট্র্যাক্টে এমনিতে কোনো ব্যাকটেরিয়া থাকে না। কোনো কারণে ব্যাকটেরিয়া ব্লাডারে ঢুকে গেলে ইউরিনারি ট্র্যাক্টে ইনফেকশন হতে পারে। ব্লাডার…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর মুখে থ্রাশ বা ইস্ট ইনফেকশন

শিশুর মুখে থ্রাশ বা ইস্ট ইনফেকশন

ছোটবেলায় শিশুদের যথাযথ যত্নের অভাবে শিশুদের মুখে অনেক ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। শিশুদের মুখের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে ওড়াল থ্রাশ বা ইস্ট সংক্রমণ সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। ওরাল থ্রাশ মায়ের জন্যও খুব চিন্তার ব্যাপার। ওড়াল থ্রাশ হলে তা বাচ্চার কাছ থেকে মায়ের স্তনে ও স্তনবৃন্তে ইস্ট সংক্রমণ করতে পারে। এতে নবজাতককে দুধ পান করানোর সময় মা ও ব্যথা অনুভব করতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে নবজাতকের চিকিৎসার পাশাপাশি মায়েরও চিকিৎসা নিতে হয়। ওড়াল থ্রাশ কি? এটি ক্যানডিডা অ্যালবিকানস নামের ইস্ট বা ফাংগাসের সংক্রমণে হয়ে থাকে। ওরাল থ্রাশ অনেক সময় গলা পর্যন্ত বিস্তৃত হতে…

বিস্তারিত পড়ুন

নবজাতকের নাভি সংক্রান্ত কিছু জরুরী বিষয়

নবজাতকের নাভি সংক্রান্ত কিছু জরুরী বিষয়

সন্তানের সাথে মায়ের থাকে নাড়ির সম্পর্ক। এই নাড়িকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয়ে থাকে আম্বিলিকাল কর্ড (Umbilical Cord)। এটি আসলে মা এবং বাচ্চার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করে। মায়ের দিকের অংশটি লাগানো থাকে জরায়ুতে (গর্ভফুলে) এবং বাচ্চার অংশটি থাকে বাচ্চার নাভিতে। এই পথে মায়ের কাছে থেকে বাচ্চা গর্ভকালীন সময়ে পুষ্টি পেয়ে থাকে। জন্মের পর বাচ্চার দিকের অংশটি কিছু রেখে এটি কেটে ফেলা হয় এবং এই সময় প্রয়োজন সঠিক যত্নের। অনেক সময় অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় থাকেন নাভির যত্ন কিভাবে নিবেন? শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নাভির যত্ন নিয়ে অনেকে চিন্তিত থাকেন। কেউ ভাবেন তেল লাগিয়ে…

বিস্তারিত পড়ুন

শিশুর গুরুতর অসুস্থতার লক্ষন ও সনাক্তকরণ

শিশুর গুরুতর অসুস্থতার লক্ষন ও সনাক্তকরণ

বাড়ির ছোট বাচ্চাটি অসুস্থ হলে পরিবারের সকলেই দারুন চিন্তিত হয়ে পড়েন। সব থেকে দুশ্চিন্তা যে মায়েরই হয় তা তো বলাই বাহুল্য। ছোট শিশুরা শারীরিক অসুবিধার কথাগুলো পরিষ্কার করে আমাদের বলতে পারে না। তবে বাচ্চাকে দুর্বল দেখালে,খেতে না চাইলে,খেলা ধুলা না করলে ধরে নেয়া যায় যে বাচ্চার শরীরে কোন সমস্যা হচ্ছে। বাচ্চা অসুস্থ কি করে বুঝবেন তাই নিয়েই আজকের আলোচনা- বাবা কিংবা মা হিসেবে আপনি জানেন সুস্থ থাকলে আপনার সন্তানকে কেমন দেখায়, আর এজন্যই তার মেজাজ, আচরন, ক্রিয়াকলাপ এবং ক্ষুধায় খুব সামান্য পরিবর্তন হলে আপনি বুঝতে পারেন আপনার বাচ্চা হয়ত অসুস্থ…

বিস্তারিত পড়ুন

Retinopathy of prematurity (ROP) । প্রিম্যাচিওর শিশুদের অন্ধত্ব এর জন্য দায়ী ঘাতক ব্যাধি

প্রিম্যাচুয়র শিশুদের অন্ধত্ব এর জন্য দায়ী ঘাতক ব্যাধি

লিখেছেন ঃ Tamanna Jenifer আমার ছোট ছেলেটা সময়ের অনেক আগেই হয়েছে..যেখানে তার গর্ভে থাকার কথা ছিল ৪০ সপ্তাহ সেখানে সে গর্ভে ছিল মাত্র ৩১ সপ্তাহ ৪ দিন…যখন একটা শিশু সময়ের আগে জন্মায় তখন তখন তার সব অঙ্গ সঠিক ভাবে ম্যাচিয়ুর হয় না।এ রকমই একটা অঙ্গ হলো চোখ যা কিনা পরিপূর্ন ভাবে তৈরী হতে সময় লাগে প্রায় ৩৬ সপ্তাহ। তাহীম জন্মাবার পরই ওকে NICU তে থাকতে হয়েছে ১৩ দিন। এরপর যখন ওকে ছারলো আমরা তো ভীষন খুশিতে ওকে বাড়ি নিয়ে আসলাম।দিনে দিনে ওর আরো উন্নতি হচ্ছিল,চুষে খাওয়া শিখে ফেলল, ওজন বাড়ছিল,শব্দ হলে এদিক…

বিস্তারিত পড়ুন

নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানো সংক্রান্ত নির্দেশিকা

নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানো সংক্রান্ত নির্দেশিকা

শিশুর যথাযথ পুষ্টির জন্য মায়ের বুকের দুধের কোন বিকল্প নেই।বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে মা ও শিশুর মধ্যে গড়ে উঠে এক স্বর্গীয় নিবিড় সম্পর্ক। শিশুকে দুধ খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে মা তার মাতৃত্ব পুরোপুরি উপভোগ করেন। বুকের দুধ আপনার শিশুকে যোগাবে জীবনের সম্ভাব্য সবচেয়ে ভাল শুরু। বুকের দুধ ওদেরকে দেয় সবচেয়ে বেশী পুষ্টি, ওদের বিকাশে সাহায্য করে এবং ওদের অসুখবিসুখ হবার এবং সংক্রমণে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমায়। শাল দুধের উপকারিতা প্রসবের পরে মায়ের বুকে প্রথম যে দুধ আসে তাকে শালদুধ বলে। শালদুধ ঘন, আঁঠালো এবং একটু হলুদ রংয়ের হয়ে থাকে। শিশুকে শাল দুধ…

বিস্তারিত পড়ুন

নবজাতক শিশুর সাধারণ বৈশিষ্ট্য এবং সমস্যাসমূহ

নবজাতকের বৈশিষ্ট্য 

নবজাতকের বৈশিষ্ট্য  পরিবারের সবাইকে আনন্দের বন্যায় ভাসিয়ে আগমন ঘটে একটি শিশুর। ভূমিষ্ঠ হওয়ার মুহূর্ত থেকে প্রথম যে প্রশ্নটা সবাইকে তাড়া করে—নবজাতক কি সুস্থ স্বাভাবিক হয়েছে? একটি শিশুর জন্মের পর পরই কিছু পর্যবেক্ষণ করে তা বোঝা যেতে পারে। যেমন- ওজন স্বাভাবিকভাবে গর্ভকাল ৩৭ থেকে ৪২ সপ্তাহ পার করেই একটি সুস্থ শিশু জন্ম নেয়। জন্মের সময় তার স্বাভাবিক ওজন আড়াই থেকে চার কেজি হওয়ার কথা। উচ্চতা স্বাভাবিক শিশু জণ্মের সময় মোটামুটি ভাবে ৫০ সেন্টিমিটার বা ২০ ইঞ্চির মতো লম্বা হয়৷ শরীরের অনুপাত শিশুর মাথা শরীর হাত-পা-এর অনুপাত বড়দের শরীরের তুলনার অন্যরকম হয়৷…

বিস্তারিত পড়ুন

৩-৬ মাস বয়সী শিশুর বিকাশে যেভাবে সাহায্য করবেন

৩-৬ মাস বয়সী শিশুর বিকাশে যেভাবে সাহায্য করবেন

৩-৬ মাসে পরিবর্তনীয় বৈশিষ্ট্য জন্মের সময় শিশুদের মস্তিষ্ক সম্পূর্ণভাবে পরিণত থাকেনা। শিশুরা যখন বিভিন্নধরনের শব্দ, ঘ্রাণ, দেখার জিনিস, স্নেহ এবং প্রীতি পূর্ণ স্পর্শের অভিজ্ঞতা লাভ করে, তখন তাদের মস্তিষ্ক এ-সবের সাথে সমন্বয় সাধন করে যার মাধ্যমে তারা ভাষা শেখে, সমস্যা সমাধান করতে, এমনকি পরবর্তী জীবনে গণিত সংক্রান্ত বিষয়সমূহ সমাধান করতে শেখে। আপনার ও প্রাপ্ত বয়স্ক যারা শিশুদের দেখাশোনা করেন তাদের সাথে পারশপরিক সম্পর্ক শিশুদের মনের মাঝে সামাজিক ও মানসিক আবেগ জাগিয়ে তোলে। আপনি যখন কথা বলেন, গান করেন, জড়িয়ে ধরেন এবং আপানার শিশুর ডাকে সাড়া দেন, আপনি তার পূর্ণতা বিকাশে…

বিস্তারিত পড়ুন