প্রেগন্যান্সি যেমন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময়, তেমনই অন্যতম কঠিন সময়। এই সময় শরীর কখনও ভাল থাকে, কখনও খারাপ। তেমনই চলতে থাকে মুডেরও খামখেয়ালিপণা। সুস্থ মা মানে সুস্থ সন্তান। সেটার জন্য শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। একটা প্রচলিত ধারণা আছে যে গর্ভাবস্থায় একজন নারীকে সবসময়ই খুব হাসি-খুশি থাকতে হবে। আপনি সন্তানসম্ভবা জানার পর আপনার আশেপাশের মানুষও চাইবে আপনি ভালো মেজাজে থাকুন, আপনার শিশুকে নিয়ে ভালো চিন্তা করুন। তাদের কথা শুনতে শুনতে আপনারও হয়তো মনে হবে যে সবসময়ই ভালো থাকতে হবে। কিন্তু, এটাও সত্য যে এই নয়টা মাসেও অন্য…
বিস্তারিত পড়ুনYear: 2018
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি বা হাইপারএমেসিস গ্রাভিডেরাম
হাইপারএমেসিস গ্রাভিডেরাম কি? এতবড় নামটাকে ভেঙে ভেঙে বললে এসে দাঁড়ায়, হাইপার (তীব্র), এমেসিস (বমি),গ্রাভিডেরাম (গর্ভধারণ)। সুতরাং, গর্ভাবস্থায় কোনও মহিলা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বমি করেন, সেই অসুখকে বলে হাইপারএমেসিস গ্রাভিডেরাম। সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সকালের দিকে। ক্লান্তি যেন যেতেই চায় না। শুরু হয় বমি। সব পানি বেরিয়ে গিয়ে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। পুষ্টির অভাব তৈরি হয়। প্রচণ্ড ক্লান্ত লাগে। বংশগত কারণে হতে পারে। আবার হরমোনের হেরফেরের কারণেও হতে পারে বমির কষ্ট। অনেকসময় ওজন বেশি থাকলেও হাইপারএমেসিস গ্রাভিডেরাম সমস্যা দেখা দিতে পারে গর্ভবতীর শরীরে। গর্ভাবস্থায় বমি হয় অনেকেরই। প্রতি ১০০ জন…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ আসে কেন?
গর্ভধারণ একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ব্যাপার। স্বাভাবিক হলেও এ সময় শরীরে কিছু পরিবর্তন ঘটে। সে জন্য গর্ভকালীন কিছু সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এগুলো তেমন উদ্বেগের বিষয় নয়, সহজে এসবের সমাধান সম্ভব। তবে অনেক সময় কিংবা অনেকের ক্ষেত্রে এসব সাধারণ সমস্যাও বেশ কষ্ট দেয়। গর্ভাবস্থায় যেসব সাধারন সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম হলো ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ। গর্ভাবস্থার একেবারে শুরু থেকেই এর উপসর্গ দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় জরায়ু বড় হয় এবং প্রস্রাবের থলিতে বাড়তি চাপ প্রয়োগ করে। এ কারণে প্রস্রাবের থলি পূর্ণ হওয়ার আগেই প্রস্রাবের চাপ অনুভূত হয়। সে কারণে…
বিস্তারিত পড়ুনপ্রি-ম্যাচিওর বা সময়ের আগেই জন্ম নেয়া বাচ্চার যত্ন
বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা, মা কিংবা শিশুর কোন ধরণের সমস্যাসহ বিভিন্ন কারণেই শিশু নির্ধারিত সময়ের আগেই পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখতে পারে। কিন্তু যেহেতু তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই পৃথিবীতে আসে তাই তাদের যত্ন-আত্তি, তাদের দেখাশোনা সবকিছুই একটু অন্যরকম হয়। সাধারনত এদের প্রি-ম্যাচিউর বাচ্চা বলা হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থার ৩৭ সপ্তাহ আগে জন্ম নেয়া শিশুকে প্রিম্যাচিউর বাচ্চা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত গর্ভকাল ৪০ সপ্তাহ হলে জরায়ুতে ভ্রুণ যথেষ্ট বিকাশ লাভ করে। এসময় ভ্রুণ শিশুর ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গ পরিপূর্ণতা লাভ করে। ফলে সন্তান প্রসবের পর মাতৃজঠর থেকে বেরিয়ে এসে শিশু যে পরিবেশ পায়…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় কোমর ব্যাথা : কারণ ও প্রতিকার
গর্ভাবস্থায় প্রায়শই শোনা যায় মা বিভিন্ন রকমের ব্যথায় ভুগছেন। এসব ব্যথা তার মাতৃত্ব কালীন সময়কে কঠিন করে তোলে।গর্ভাবস্থায় নারীদের মাজা বা কোমর ব্যথা একটি পরিচিত সমস্যা। প্রতি চার জনে তিন জন মহিলা গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যাথা সমস্যায় ভুগে থাকেন । এ সমস্যা সাধারনত গর্ভাবস্থার শেষ দিকে বিশেষ করে তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে বেশী দেখা যায় এবং মায়ের জরায়ুর যে পাশে বাচ্চা অবস্থান করে সেদিকে ব্যাথা বেশী অনুভূত হয়। গর্ভাবস্থায় কোমরে এ ধরনের ব্যাথা কারও কারও জন্য তেমন সমস্যার কারণ নাও হতে পারে আবার কারও জন্য এটা খুবই মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। গর্ভাবস্থায় কোমরে…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় কিভাবে শোওয়া বা ঘুমানো নিরাপদ ?
গর্ভবতী মহিলাদের একটি অন্যতম বড় সমস্যা হল ঘুমাতে এসে বিছানায় আরাম না পাওয়া। এর কারণ হিসেবে মায়ের শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন এবং মানসিকভাবে কিছুটা উত্তেজিত কিংবা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকা বিষয়গুলোকে দায়ী করা যায়। এছাড়াও মায়ের ঘুমানোর ভঙ্গিরও এর উপর বেশ প্রভাব আছে। স্বাভাবিক অবস্থায় কিভাবে গর্ভধারণের আগে ঘুমাতেন তার উপর নির্ভর করে গর্ভাবস্থায় মায়ের শোওয়ার অবস্থান পরিবর্তন করতে হতে পারে। চলুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কোন ভঙ্গিতে শোওয়া নিরাপদ এবং কোন ভঙ্গি ঝুঁকিপূর্ণ সে সম্পর্কে- চিৎ হয়ে বা পিঠে ভর দিয়ে শোওয়া গর্ভাবস্থার ১৫ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে মায়ের জরায়ুর বেশ অনেকটুকু বৃদ্ধি…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় মায়ের সর্দি কাশি । কারণ, লক্ষন ও প্রতিকার
গর্ভকালীন সময়টি মা ও অনাগত সন্তান উভয়ের জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় মায়ের বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ সন্তানের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।সাধারণত সর্দি লাগলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলেই তা সেরে যায়। কিন্তু ভাইরাসজনিত সর্দি লাগলে গর্ভবতী মায়ের জ্বর হতে পারে। এমনকি ফুসফুসে প্রদাহও হতে পারে। এছাড়া মায়ের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ হলে শিশুর শারীরিক গঠনেরও ক্ষতি হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সর্দি-কাশি এক সপ্তাহের মধ্যেই কোনো ওষুধ ছাড়াই নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। বাচ্চার শরীরের উপর এর কোনো প্রভাব পড়ে না। গর্ভাবস্থায় সর্দির কারণ প্রকৃতপক্ষে ২০০ এর চাইতে বেশী ধরনের ভাইরাস সাধারন সর্দি…
বিস্তারিত পড়ুন