রেসিপির বর্ণনা এবং পুষ্টিগুণ
চাল, ডাল সবজি এবং তেল ব্যবহার করে তৈরি করা সবজি খিচুড়ি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এটি একটি প্রধান খাবার যা শিশুদের প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদা পূরণ করার জন্য পর্যাপ্ত ক্যালোরি সরবরাহ করে । এছাড়াও চাল এবং ডালকে একত্রিত করার ফলে এদের সম্পূরক বৈশিষ্ট্যের কারণে এত আমিষের গুনগত মান বেড়ে যায়।
রান্নায় ব্যবহৃত তেলের কারণে শক্তির ঘনত্ব বেড়ে যায় এবং এটি সবজি হতে প্রাপ্ত ভিটামিন ও বিটা ক্যারোটিনের শোষণকে বাড়িয়ে দেয়।
প্রস্তুতকৃত খাবারের ওজনঃ ২৮০ গ্রাম (১ বাটি)
পরিবেশনের সংখ্যাঃ ৩
আয়রনের উৎসঃ ডাল, বাদাম, পালংশাক
বয়সসীমাঃ ৬-৮ মাস, ৯-১১ মাস, ১২-২৩ মাস।
খাবার প্রস্তুতে প্রয়োজনীয় সময়ঃ ২৫ মিনিট
প্রস্তুত প্রণালী
১। চাল এবং ডাল ভালোমত পরিষ্কার করে ধুয়ে ফুটানো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।। ১০ মিনিট পর ভালোমত পানি ঝরিয়ে নিন।
২। বাদাম হাল্কা ভেজে নিয়ে গুড়া করে নিন।
৩। সব শাকসবজি এবং পেঁয়াজ ভালোমত ধুয়ে কেটে নিন।
৪। একটি রান্নার পাত্রে তেল গরম করুন। তেল গরম হলে এতে পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা দিন।
৫। পেঁয়াজ এবং মশলা সামান্য ভেজে এতে চাল ডালের মিশ্রণ ঢেলে দিন। কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করুন। স্বাদ অনুযায়ী হলুদ গুড়া এবং সামান্য লবন যোগ করুন। আবার অল্প আঁচে কিছুক্ষন (১-২ মিনিট) নাড়াচাড়া করুন।
৬। চাল ডাল সামান্য ভাজা হলে এতে প্রয়োজনমত পানি (সম্ভব হলে গরম পানি) যোগ করুন। এবং রান্না হওয়ার জন্য পাত্রটি একটি পরিষ্কার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
৭। চাল এবং ডাল অর্ধেক সিদ্ধ হয়ে এলে এতে সবজিগুলো সব ঢেলে দিন। ভালোমত নাড়াচাড়া করুন যাতে সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশে যায়। পাত্রটি আবার ঢেকে দিন।
৮। সবগুলো উপকরণ ভালোমত সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে খিচুড়ি চামচ দিয়ে সামান্য ডলে নরম করে নিন এবং শিশুকে পরিবেশন করুন।
যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
শিশুকে নতুন খাবার দেওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখুন, শরীরের কোথাও র্যাশ, বমি বা ঢেকুরের পরিমাণ বেশি হচ্ছে কি না। বাচ্চার কান্নার পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে গেছে বা পেট ফুলেছে, প্রস্রাব-পায়খানায় পরিবর্তন অনুভব করলে সেই খাবার বন্ধ করতে হবে। অবস্থা বেগতিক মনে হলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
তথ্যসূত্রঃ
রেসিপি টি বাংলাদেশের জন্য পরিপূরক খাবার বিষয়ে ম্যানুয়াল উন্নয়ন গবেষণা থেকে তৈরি বুকলেট “৬-২৩ মাস বয়সী শিশুদের জন্য ঘরে তৈরি পরিপূরক খাদ্য প্রস্তুত প্রণালী” থেকে গ্রহন করা হয়েছে। গবেষণাটি বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত হয়েছে। গবেষণাটিতে টেকনিক্যাল সহায়তা প্রদান করেছে এফএও এবং আর্থিক সহায়তা করছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউএসএআইডি।