গর্ভধারণের প্রস্তুতি

গর্ভধারণের প্রস্তুতি

বাচ্চা নিতে চাইলে করণীয়

বেশীরভাগ ক্ষেত্রে আমরা ধরে নিই বিবাহিত জীবন মানেই এক পর্যায়ে সন্তানের জন্ম দেয়া। কিন্তু সন্তান জন্ম দিতে যেসব ঝামেলা হয় এবং সন্তান জন্ম হলেও সেসব জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে সেগুলোর আলোকে সন্তান নেয়ার আগে গর্ভধারণের প্রস্তুতি ও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিলে বাবা মা হওয়ার ব্যাপারটা তুলনামুলক কম কষ্টের এবং নিরাপদ হয়।

অধিকাংশ দম্পত্তি জানেন না যে, গর্ভধারনের পরেই কেবল নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা ও মায়ের যত্ন নিতে হয় তা নয়, গর্ভধারনের আগেও আছে নানা কাজ ও বিষয়। এগুলো গর্ভধারনের প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন। এসব প্রস্তুতি এবং পরীক্ষা সন্তান নেয়ার কাজকে সহজ ও নিরাপদ করতে পারে।

কেউ না চাইলেও কোনো নিয়ম না মানলেও গর্ভধারণ করতে পারেন আবার অনেক দম্পতি সন্তান গ্রহণ করতে চান কিন্তু অজানা কারণে তা হয় না। কনডম ব্যবহার না করা বা পিল খাওয়া বন্ধ করে দিলেই একজন নারী প্রেগন্যান্ট হয়ে যাবেন তা কিন্তু নয়। নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন, স্বাস্থ্যকর খাবার-দাবার ইত্যাদি বিষয় ঠিক রাখা খুব জরুরী মা হতে চাইলে।

প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সাধারণ ধারণাও থাকে না অনেকের। মায়ের স্বাস্থ্য, চাহিদা মাফিক পুষ্টি, মানসিক সুস্থতা, যথাযথ পরিবেশ-  মাতৃজঠরে বেড়ে ওঠা ভ্রণের বৃদ্ধি ও বিকাশের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ-সবল শিশুর জন্ম নিশ্চিত করতে হলে গর্ভধারিণীর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা জরুরি। এজন্য চাই গর্ভধারণের প্রস্তুতি।

তবে এ প্রস্তুতি শুধু নারীর একার নয়, তার স্বামী এবং পরিবারেরও। গর্ভধারণ-পূর্ব পরামর্শ তাই অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। গর্ভধারণ-পূর্ব পরামর্শ এদেশে উপেক্ষিত একটি বিষয়। তবে আশার কথা হচ্ছে ধীরে ধীরে অনেক দম্পতি এ বিষয়টিতে আগ্রহী হচ্ছেন।

সুস্থ, স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের বিষয়টি যতটা না ভাগ্যের ব্যাপার, তার চেয়েও বেশি জড়িত দম্পতির সুপরিকল্পিত ভাবনার সঙ্গে। গর্ভধারণের আগে নিজের শরীরকে উপযুক্ত করতে হবে। এ জন্য মেনে চলতে হবে কিছু নিয়মকানুন। আমাদের এই বিভাগে বাচ্চা নিতে চাইলে করণীয় সেসব বিষয় নিয়েই আলোকপাত করা হয়েছে।

আপনি কি সন্তান নেয়ার জন্য সত্যিই প্রস্তুত

আপনি কি সন্তান নেয়ার জন্য সত্যিই প্রস্তুত !

আপনি নিশ্চয় যেকোন কাজ করার আগে দশবার ভেবে দেখেন। কোনটা ভালো? কেমন? কাজটা ঠিক হবে কিনা। এমন হওয়া আর করাটাই স্বাভাবিক এবং সঠিক। কিন্তু যখন কথা আসে আপনার জীবনের অন্যতম ...
গর্ভবতী না হয়েও প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ

গর্ভবতী না হয়েও প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ হওয়ার কারণ কি?

মাথা ঘোরা আর বমি বমি লাগা মানেই আমাদের দেশে প্রেগন্যান্ট বা গর্ভবতী হয়ে গেছে বলে মনে করা হয়।তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গর্ভবতী না হয়েও টেস্ট পজিটিভ আসতে পারে।প্রেগনেন্সি পরীক্ষায় ভুল ...
থ্যালাসেমিয়া ও গর্ভধারণ

থ্যালাসেমিয়া ও গর্ভধারণ । কিছু জরুরী বিষয়

থ্যালাসেমিয়া একধরণের রক্তের রোগ যা আমাদের শরীরে স্বাভাবিকের চাইতে কম লোহিত রক্তকণিকা এবং হিমোগ্লোবিন উৎপন্ন করে। থ্যালাসেমিয়ার কারণে শরীরে লোহিতকণিকার পরিমান কম থাকলে এবং এর আকার ছোট হলে এনেমিয়া হতে ...
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম | গর্ভধারণে কিভাবে প্রভাব ফেলতে পারে?

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম কি? পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম একধরনের হরমোনাল ইম্ব্যালান্স যা মহিলাদের হয়। প্রতি একশ জন নারীর মধ্যে আট থেকে দশ জনের এ সমস্যা থাকতে পারে। এই রোগে ডিম্বাশয়ে অনেকগুলো ...
ফাইব্রয়েড বা জরায়ুর টিউমার

ফাইব্রয়েড বা জরায়ুর টিউমার । গর্ভধারণে কি প্রভাব ফেলতে পারে?

ফাইব্রয়েড বা জরায়ুর টিউমার কি? ফাইব্রয়েড বা জরায়ুর টিউমার হলো নারীদেহের সাধারণ একধরনের টিউমার। গর্ভাবস্থায় শতকরা ১০ ভাগ নারীর দেহে ফাইব্রয়েড থাকতে পারে। ৩০ থেকে ৪০ বছরের নারীদের মধ্যে ফাইব্রয়েড ...
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

বেশিরভাগ মহিলা বিশেষ করে যারা প্রথমবার মা হতে যাচ্ছেন তারা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ নিয়ে বেশ কনফিউজড থাকেন। সাধারণত পিরিয়ড বা মাসিক মিস হলে তার ১ বা ২ সপ্তাহের মধ্যেই গর্ভধারণের ...