গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি কেন খাবেন ? ডাবের পানির উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি

ডাবের পানির পুষ্টিগুণ  ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লোবিন, ভিটামিন সি এবং ইলেক্ট্রোলাইট আছে। শুধু তাই নয় এতে রয়েছে ফাইবার, সোডিয়াম, প্রোটিন এবং অল্প পরিমাণে চিনি। এই একটি পানীয় থেকে একজন গর্ভবতী নারী তার প্রয়োজনীয় সব উপাদান পেয়ে থাকে। একজন গর্ভবতী নারীর অবশ্যই গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়া উচিত। ডাবের পানি যে কোন সময় খাওয়া যায় তবে সবচাইতে ভালো হয় যদি ভোরে খাওয়া যায়। এ সময় ডাবের পানি ইলেক্ট্রোলাইট এবং পুষ্টি শরীরে ভালো ভাবে শোষিত হয় কারণ সকালে পাকস্থলী খালি থাকে। এক কাপ ডাবের পানির পুষ্টিগুণ নিম্নরূপ- গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় ঠাণ্ডা পানি খেলে কি বাচ্চার কোন ক্ষতি হয়?

গর্ভাবস্থায় ঠাণ্ডা পানি খেলে কি বাচ্চার কোন ক্ষতি হয়?

গর্ভাবস্থায় ঠাণ্ডা পানি খেলে কি বাচ্চার কোন ক্ষতি হয়? মায়ের শরীরে খাদ্যনালীর সাথে জরায়ুর কোন সরাসরি যোগাযোগ নেই। মায়ের শরীর থেকে বাচ্চা যে পানি, অক্সিজেন বা পুষ্টি পায় তা মায়ের রক্ত থেকে বাচ্চার রক্তে প্লাসেন্টার মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। মা যখন কিছু খায় তখন তা মায়ের খাদ্যনালীর মাধ্যমে মায়ের পাকস্থলীতে যায়। সেখানে খাবারের পুষ্টি –  ফ্যাটি অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, মিনারেল ও ভিটামিন হিসেবে শোষিত হয়। এই পুষ্টিগুলো প্লাসেন্টা গ্রহন করে এবং রক্তের মাধ্যমে ভ্রূণের সব অঙ্গে সরবরাহ করে। খাদ্যের যেসব অংশ ভ্রূণের দরকার হয়না তা আবার প্লাসেন্টার মাধ্যমে মায়ের রক্তে…

বিস্তারিত পড়ুন

স্বাভাবিক প্রসবে কাটা ছেড়া | এপিসিওটমি

স্বাভাবিক প্রসবে কাটা ছেড়া বা এপিসিওটমি

এপিসিওটমি কি? অনেক সময় প্রসব চলাকালীন সময়ে ডাক্তার মায়ের যৌনাঙ্গের কিছু জায়গা (পেরিনিয়ামের বা যোনির শুরু থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত টিস্যু)  কেটে দিতে পারেন যেন যোনিপথ বড় হয়ে আসে। এতে বাচ্চা সহজেই বেরিয়ে আসতে পারে। একে এপিসিওটমি (Episiotomy) বলে। আমাদের দেশে একে অনেক সময় “সাইড কাটা” নামেও অভিহিত করা হয়। অনেক সময় কেটে না দিলে এই জায়গাটা চাপে এমনিতেই ছিড়ে যায়, যার জন্য সেলাই দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। প্রসবের কোনও পর্যায়ে এপিসিওটমি প্রয়োজন হলে ডাক্তার আপনার সম্মতি নিয়ে তবেই এপিসিওটমি দিবেন। এপিসিওটমি কেন লাগতে পারে? একসময় অনেক ডাক্তাররাই প্রসবের সময় পেরিনিয়াম কাট…

বিস্তারিত পড়ুন

বাচ্চাকে জোর করে খাওয়ানোর কুফল

বাচ্চাকে জোর করে খাওয়ানোর কুফল

সব শিশুদের মধ্যে একটা সাধারণ সমস্যা দেখা যায়। সেটা হলো খাবার নিয়ে বায়নাক্কা করা! কোনো কোনো শিশু নিজের পছন্দের খাবার ছাড়া আর কিছুই খেতে চায় না। আবার কোনো শিশু সব কিছুতেই নাক সিঁটকায়। কেউ আছে খায় বটে, তবে পুরো খাবার না খেয়েই উঠে পড়ে। মোটকথা, বেশির ভাগ বাচ্চারাই খাবার নিয়ে ঝামেলা করে! বাচ্চা কেন খেতে চায়না? বেশির ভাগ মায়েরই অভিযোগ—বাচ্চা খেতে চায় না। কিছু কিছু রোগের কারণে শিশুদের রুচি কমে যেতে পারে, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অত জটিল কিছু নয়। অনেক ক্ষেত্রেই এ বিষয়ে মা-বাবার উৎকণ্ঠা থাকে। হয়তো শিশু…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় পাইকা (Pica) বা অখাদ্য খাওয়ার তীব্র ইচ্ছা

গর্ভবতী নারীদের আচারসহ নানা জাতীয় খাদ্য খাওয়ার আকাঙ্খা জাগে। আবার কারো কারো শোনা যায় বরফ, মাটি, ছাই ইত্যাদি অখাদ্য খাওয়ারও তীব্র ইচ্ছা তৈরি হয়। এই প্রবণতাকে পাইকা (Pica)  বলে। প্রবণতাটি গ্রামাঞ্চলে বেশি দেখা যায়। অজ্ঞতা এ ধরনের প্রবণতাকে আরো উস্কে দেয়। পাইকা বলতে মূলত বোঝায় পুষ্টিগুণবিহীন কোনো বস্তু খাওয়ার তীব্র ইচ্ছা এবং সেই বস্তু ক্রমাগত খেতে থাকা। তবে কারো এই ধরনের অভ্যাসকে পাইকা ডিজঅর্ডার বলে ঘোষণা করতে হলে এই অভ্যাসের স্থায়ীত্বকাল অবশ্যই এক মাসের বেশি হতে হবে। গর্ভাবস্থায় কিছু কিছু মায়েদের এ ধরনের ইচ্ছা জাগা স্বাভাবিক তবে বেশিরভাগ মায়েদেরই আচার…

বিস্তারিত পড়ুন

বাচ্চার বিছানায় প্রস্রাব করা বা বিছানা ভেজানো । কারণ ও করণীয়

বাচ্চার বিছানায় প্রস্রাব করা বা বিছানা ভেজানো

সময়ের সাথে সাথে বেড়ে ওঠা শিশু নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে শেখে। প্রস্রাবের বেগ হলে বাথরুমে  যেতে হবে, এটি দুই থেকে চার বছর বয়সেই শিশুরা শিখে ফেলে। আবার অনেকেই দিনে ঠিকঠাক হলেও রাতে ঘুমের মাঝে বিছানা ভেজায়। বয়সের সঙ্গে এ সমস্যা দূর হয়। মেয়েদের থেকে এই সমস্যা ছেলেদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। বিছানায় প্রস্রাব করা সমস্যাটিকে ডাক্তারি পরিভাষায় নকচারনাল এনুরেসিস (Nocturnal enuresis) বলে। সাধারণত শিশুরা জন্মের পর দু’তিন বছর পর্যন্ত ঘুমের মধ্যে বিছানায় প্রস্রাব করে থাকে। এটি কোনও রোগ নয়। এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা অর্জন সব শিশুর একই বয়সে…

বিস্তারিত পড়ুন

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের রোজা রাখা কি উচিত?

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের রোজা রাখা কি উচিত?

অনেক মা মনে করেন, রোজা অবস্থায় শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ালে শিশুরা কম দুধ পায় এবং পুষ্টিহীনতায় ভুগতে পারে অথবা রোজার ফলে মার শরীর অসুস্থ হবে ইত্যাদি। যে মায়েদের শিশুরা স্তন বা বুকের দুধ পান করে রমজান মাসে সেই মা’দের বেশ চিন্তিত দেখা যায়। কি ভাবে তার শিশুকে স্তন দান করবেন? রোজা রেখে শিশুকে স্তন দান করা যাবে কি না? রোজা রাখার ফলে বুকের দুধ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে কি না? এমন অনেক প্রশ্ন করতে শোনা যায়। তাই এসব প্রশ্ন নিয়েই আজকের আলোচনা। বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করান এমন মহিলাদের কি…

বিস্তারিত পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন আপনার বাচ্চা সলিড বা বাড়তি খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত?

কিভাবে বুঝবেন আপনার বাচ্চা সলিড খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত?

কিভাবে বুঝবেন বাচ্চা সলিড খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত? আপনার বাচ্চার জন্য সলিড খাবার খাওয়া শুরু করা একটা বড় পদক্ষেপ। যখন বাচ্চার বয়স ৬ মাস হয়ে যায় তখন বাচ্চার কিছু আচরণ দেখে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার শিশু সলিড খাবার খাওয়ার জন্য তৈরী কিনা৷ যে শিশু সলিড খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে সে সাধারণত এই কাজগুলি করতে পারে: সে মাথা উপরদিকে তুলতে পারে৷ সলিড খাবার খাওয়ার জন্য বাচ্চার দৃঢ়ভাবে মাথা সোজা করে রাখতে পারাটা জরুরী। হেলান দেওয়ার সুবিধা পেলে, সে ভালো করে বসতে পারে৷ প্রথমে হয়ত আপনার শিশুকে কোলে নিয়ে বসাতে…

বিস্তারিত পড়ুন

কোন বয়স থেকে বাচ্চাকে গরুর দুধ খাওয়ানো শুরু করা উচিত?

কোন বয়স থেকে বাচ্চাকে গরুর দুধ খাওয়ানো শুরু করা উচিত?

আজকালকার বাবা-মায়েরা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত সচেতন হলেও অনেক বিষয় নিয়েই তারা ভাল-মন্দের মধ্যে ফারাক করতে পারেন না। অনেক বাবা মা তাদের সন্তান জন্ম নেওয়ার কয়েক মাস পর থেকেই গরুর দুধ খাওয়াতে শুরু করে দেন। কিন্তু এত কম বয়সে বাচ্চাকে গরুর দুধ খাওয়ানো ঠিক কি? এই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হল এই প্রবন্ধে। বাচ্চার বয়স অন্তত ১২ মাস হওয়া পর্যন্ত গরুর দুধ দেয়া থেকে বিরত থাকা উচিত কেন? গরুর দুধ এক বছরের কম বয়সী শিশুদের মোটেও দেয়া উচিত নয়। এটা এমন একটি খাদ্য যাতে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম ও…

বিস্তারিত পড়ুন

বাচ্চাকে কখন থেকে খাবার পানি দেয়া উচিত?

বাচ্চাকে কখন থেকে খাবার পানি দেয়া উচিত?

বাচ্চাকে কখন থেকে খাবার পানি দেয়া উচিত? সাধারণভাবে বলতে গেলে বাচ্চাকে তার ৬ মাস বয়স পর্যন্ত পানি দেয়া উচিত নয়। কারণ এ সময় পর্যন্ত বাচ্চা বুকের দুধ বা ফর্মুলা থেকে তার তরলের চাহিদা পুরোপুরি পূরণ করে নেয় এমনকি গরম আবাহাওয়াতেও। আসলে মায়ের বুকের দুধ কিংবা ফরমুলাতে পানিয় অংশ থাকে বেশী, যা বাচ্চাকে হাইড্রেটেড রাখে, অতিরিক্ত পানির প্রয়োজন পড়ে না। বাচ্চার প্রথম ছয় মাস (বা ছয়মাসের কাছাকাছি) মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এরকম শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো হলে (Exclusive Breastfeeding) কোন অতিরিক্ত পানির প্রয়োজন নেই। ভীষন গরমের সময়ও এটা প্রযোজ্য। যেসব…

বিস্তারিত পড়ুন