গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ। কারণ, লক্ষণ ও করণীয়

গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ

উচ্চ রক্তচাপ বলতে কি বোঝায়? রক্তনালী বা ধমনীর দেয়ালের বিপরীততে রক্ত প্রবাহের ধাক্কাকেই রক্তচাপ বলে। রক্ত মানুষের হৃদপিণ্ড থেকে সারা শরীরে প্রবাহিত হওয়ার জন্য এ চাপের প্রয়োজন। তবে সেটি যখন বেশি থাকে, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলে। উচ্চ রক্ত চাপের কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। প্রতিটি হৃৎস্পন্দনের সময় একবার সর্বোচ্চ চাপ বা সিস্টোলিক ( যখন হৃদপিণ্ড সংকুচিত হয়ে ও রক্ত পাম্প করে)  এবং সর্বনিম্ন চাপ বা ডায়াস্টলিক চাপ হয় ( যখন হৃদপিণ্ড প্রসারিত হয় এবং হৃদপিণ্ড রক্ত পরিপূর্ণ হয় ) । হৃৎপিন্ডের সংকোচন প্রবণতাই রক্তচাপের…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন এবং তা থেকে স্বস্তির উপায়

গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন

গর্ভাবস্থায় শরীরের স্বাভাবিক সব প্রক্রিয়ার একটি বিরাট পরিবর্তন ঘটে। যার প্রভাবে স্তনবৃন্ত বা নিপল আকারে বড়, সংবেদনশীল এবং গাঢ় রং ধারণ করে। আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে তার প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্তন অতি সংবেদনশীল হয়ে যাওয়া, ব্যথা করা ও শিরশির করা। গর্ভাবস্থার তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহ থেকে আপনার এই অনুভূতিগুলো শুরু হবে। গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন কেমন হতে পারে? গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক কারনেই স্তনের আকৃতিগত পরিবর্তন দেখা দেয়। এটিই প্রকৃতির নিয়ম। ৬-৮ সপ্তাহের দিকে স্তন এর আকার বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হতে পারে যা পুরো গর্ভকালীন সময় ধরে চলে। এসময় স্তনের…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় নাভিতে এবং আশপাশে ব্যাথা হয় কেন?

গর্ভাবস্থায় নাভিতে ব্যাথা

গর্ভাবস্থায় মায়ের জরায়ুতে বেড়ে ওঠা শিশুর কারণে মায়ের শরীরে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়। এই পরিবর্তনগুলো আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক দুইধরনেরই হয়। গর্ভাবস্থায় নাভিতে ব্যাথা সাধারণত মায়ের শরীরের আভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের কারণে হয়। এই সময় কেউ কেউ নাভিতে এবং এর চারপাশে ব্যাথা ও জ্বলুনি অনুভব করতে পারেন। নাভির জায়গা ফুলেও যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় নাভিতে ব্যাথা কেন হয়? গর্ভাবস্থায় অনেক মায়েরাই নাভিতে ব্যাথা অনুভব করেন। বেশিরভাগ মায়েদের ক্ষেত্রে এ ব্যাথা মৃদু হয় এবং কোন ভয়ের কারণ থাকেনা তবে কিছু কিছু মায়দের ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যাথায় ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। গর্ভাবস্থায় নাভিতে ব্যাথা হওয়ার কারণগুলো…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় হঠাৎ পেট শক্ত হয়ে যাওয়া বা পেটে টান লাগা অনুভূতি কেন হয়?

গর্ভাবস্থায় হঠাৎ পেট শক্ত হয়ে যাওয়া বা পেটে টান লাগা অনুভূতি কেন হয়?

গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যাথা সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এই সময়ে বেশ কিছু কারণের জন্য পেটে ব্যথা হওয়া, পেট শক্ত হয়ে যাওয়া বা পেটে হঠাৎ টান লাগা অনুভূতি হওয়া  স্বাভাবিক। কারণ এসময়ে নারীদের দেহের অনেক অঙ্গের মাঝে পরিবর্তন ঘটে, জরায়ু আকারে বড় হয়ে যায়, লিগামেন্ট টান টান হয়ে যায়। বাচ্চার ওজন বহন করার কারনে এ সময় মায়েদের শরীরের পেশী, জয়েন্ট এবং শিরার উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে যার কারণে পাকস্থলীর আশপাশের জায়গাগুলোতে অস্বস্তি বোধ হয়। তবে তাই বলে সব ব্যাথাকেই স্বাভাবিক ভাবা উচিত নয়। যখন পেটে ব্যথা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, তখন অবশ্যই চিন্তার কারণ…

বিস্তারিত পড়ুন

গরমে গর্ভবতী মায়ের যত্ন

গরমে গর্ভবতী মায়ের যত্ন

গর্ভাবস্থায় এমিনিতেই মায়দের শরীরে রক্ত প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে গরম বেশী অনুভূত হয়। তার উপর যদি আসে গরম কাল তাহলে তো আর কথায় নেই। তবে ভয়ের কোন কারণ নেই। গর্ভাবস্থায় গ্রীষ্ম কাল খুব কঠিন বলে মনে হলেও নীচের টিপস গুলো গরমে গর্ভবতী মায়ের যত্ন নিতে সাহায্য করবে। পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করুন গরমে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা হয়ে থাকে, তা হল ড্রিহাইড্রেশন বা পানিশূনতা। অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়। যার কারণে ড্রিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা দেখা দিয়ে থাকে। তাই এইসময় স্বাভাবিক সময়ের থেকে বেশি পরিমাণে…

বিস্তারিত পড়ুন

প্রসব পরবর্তী সহবাস । যে বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত

প্রসব পরবর্তী সহবাস

সন্তান জন্মদানের পর অনেক মা’ই শারীরিক এবং মানসিক ভাবে ক্লান্ত বোধ করেন, অনেকের ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্কের তেমন সুযোগও ঘটে না। হয়তো আপনি এবং আপনার সঙ্গী এই পরিস্থিতিতেও খুশি থাকতে পারেন, কিন্তু আপনার প্রসব পরবর্তী সহবাস যদি একটি সমস্যায় পরিণত হয়, তাহলে কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসা জরুরী। যৌনমিলনের অভাব কিংবা আনন্দহীন সহবাস অনেক হতাশা ও দুশ্চিন্তার জন্ম দেয় এবং একটি সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। প্রসব পরবর্তী সহবাস কখন নিরাপদ?  প্রসবের পর রক্তপাত বন্ধ হওয়া পর্যন্ত সহবাস করা উচিৎ নয়। এই রক্তপাত সাধারণত প্রসবের পর ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। এ…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় হেপাটাইটিস বি : সতর্ক থাকা জরুরী

গর্ভাবস্থায় হেপাটাইটিস-বি । সতর্ক থাকা জরুরী

হেপাটাইটিস বি কি? লিভারের সাথে সম্পর্কিত একটি রোগ হলো ‘হেপাটাইটিস’। চিকিৎসাবিজ্ঞানে লিভার বুঝাতে ‘হেপাটো’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। হেপাটোসাইট মানে লিভারের কোষ, হেপাটিক মানে লিভার সম্পর্কিত কোনো কিছু, হেপাটাইটিস মানে লিভারে কোনো জীবাণু দ্বারা আক্রমণ। হেপাটাইটিস রোগটি হয়ে থাকে হেপাটাইটিস ভাইরাস দ্বারা। যেহেতু আক্রমণটা হয়ে থাকে লিভারের উপর, সেহেতু একে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। হেপাটাইটিস ভাইরাস রয়েছে বিভিন্ন  ধরনের; এ, বি, সি, ডি, ই। হেপাটাইটিস ভাইরাসগুলোর মধ্যে ‘এ’ ও ‘ই’ ভাইরাস স্বল্পমেয়াদী লিভার প্রদাহ করে এবং ‘বি’ ও ‘সি’ দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ করে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে আমাদের দেশে বি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সাধারণ…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় জ্বর | কখন স্বাভাবিক, কখন নয়

গর্ভাবস্থায় জ্বর । কখন স্বাভাবিক কখন নয়

গর্ভবতী মায়ের জ্বর আসলে প্রথমেই মনে যে প্রশ্নটা আসে তা হলো  গর্ভের বাচ্চা ঠিক আছে কিনা। কিন্তু প্রথমেই যেটা দরকার তা হলো ডাক্তারের সাথে কথা বলে জ্বর নামানোর ব্যাবস্থা করা। এরপরের কাজ হোল কি কারণে জ্বর হলো তা খুঁজে বের করা। কারণ গর্ভাবস্থায় জ্বর বেশিরভাগ সময়ই অন্য কোন উপসর্গের লক্ষণ যা গর্ভের বাচ্চার ক্ষতির কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় জ্বর কিভাবে গর্ভের বাচ্চাকে প্রভাবিত করতে পারে? যখনই একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রী থেকে বেড়ে জ্বরের কাছাকাছি চলে যায় তখনি বুঝতে হবে যে মায়ের শরীর কোন ইনফেকশনের সাথে লড়াই করছে।…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থায় মায়ের পেটের আকার । কখন দুশ্চিন্তার, কখন নয়

গর্ভাবস্থায় মায়ের পেটের আকার

বেশিরভাগ গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রেই যখনই কেউ তার গর্ভাবস্থার খবর জানতে পারে তখন থেকেই শুরু হয় নানা ধরনের উপদেশ। আশেপাশের সবাই হয়ে ওঠেন গর্ভধারণ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। সবার নজর থাকে মায়ের পেটের দিকে। মায়ের পেট বড় নাকি ছোট তা নিয়ে শুরু হয় বিস্তর গবেষণা এবং নিজেদের সাথে তুলনা। এসব শুনতে শুনতে দেখা যায় মা তার নিজের গর্ভধারণ নিয়েই দুশ্চিন্তা গ্রস্থ হয়ে পড়েন। আমাদের কাছে নিয়মিত যেসব প্রশ্ন আসে তার মধ্যে অন্যতম হলো- পেট বেশী বোঝা না যাওয়া কি কোন সমস্যা কিনা। তাই আজকের আলোচনা গর্ভাবস্থায় মায়ের পেটের আকার  কেমন হতে পারে তা…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভে যখন যমজ শিশু । কিছু জরুরী বিষয়

গর্ভে যখন যমজ শিশু । কিছু জরুরী বিষয়

যমজ সন্তান হলো একই গর্ভধারনে সৃস্ট দুটি সন্তান।যমজ মনোজাইগোটিক (“অভিন্ন”) হতে পারে, অর্থাৎ তারা একটিমাত্র জাইগোট থেকে বড় হতে পারে পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে দুটি এমব্রায়োস গঠন করে, অথবা ডিজাইগোটিক (“ভ্রাতৃসম”), অর্থাৎ তারা আলাদা ডিম্বক থেকে বড় হয়, প্রত্যেকটি নিষিক্ত হয় আলাদা শুক্রানু দ্বারা। যমজ সন্তান কেন হয়? এ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। গর্ভে একের অধিক সন্তান ধারণ করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত কারণে এটি হতে পারে। এটি প্রকৃতি প্রদত্ত বা গড গিফটেড বলা যেতে পারে। দুই রকমের যমজ সন্তান হতে পারে। অভিন্ন যমজ শিশু (আইডেন্টিক্যাল টুইন) একটি…

বিস্তারিত পড়ুন