স্তন অতিমাত্রায় পূর্ণ হয়ে যাওয়া : ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্ট (Breast engorgement)

Spread the love

ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্ট (breast engorgement) মানে কি?

অধিক দুধ জমে স্তন অত্যাধিক পরিপূর্ণ হয়ে গেলে তাকে ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্ট বলা হয়। বেশী দুধ জমে স্তন ফুলে যাওয়াটা তেমন অস্বাভাবিক কিছু না তবে কখনো কখনো মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে বেশ সমস্যা তো করেই পাশাপাশি মায়ের স্বাস্থ্যও হুমকির মুখে পড়তে পারে।

শিশু জন্ম হওয়ার দ্বিতীয় দিন থেকে পঞ্চম দিনের মধ্যে মায়ের শরীর অনেক বেশী পরিমাণ দুধ উৎপাদন করা শুরু করে, তাই এই সময়ে স্তন বেশ বড়, ভারী এবং টান-টান হয়ে যায়। এছাড়া অতিরিক্ত রক্ত এবং ব্রেস্ট টিস্যুর লিম্প ফ্লুইডের কারণেও স্তন একদম ফুলে থাকে। এ ফুলে থাকাটা ডেলিভারির ২ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে এবং এরপর ধীরে ধীরে আপনার স্তন বেশ হালকা লাগতে শুরু করবে এমনকি বুকের দুধের যোগান বেড়ে গেলেও আর তেমন কোন সমস্যা হবে না।

বিজ্ঞাপণ

কিন্তু আপনার স্তন যদি অস্বস্তিকর রকমের পূর্ণ, প্রসারিত হয় এবং স্তন কাঁপতে থাকা, ব্যাথা হওয়া, উষ্ণ হয়ে যাওয়া প্রভৃতি ঘটে থাকে- সেক্ষেত্রে খুব সম্ভবত আপনার স্তন এনগোর্জড হয়ে গিয়েছে। এর ফলে নিপল প্রায় সমান হয়ে যায়, এবং কখনো কখনো ফোলাটা এত বেড়ে যায় যে স্তনের ত্বক অনেকটা চকচকে হয়ে যায়। স্তনের এ ফোলাটা একদম আপনার বগল পর্যন্ত যেতে পারে যার ফলে বগলের নিচের যায়গাটা নরম হয়ে যায় এবং ফুলে যায়। এমন সময় জ্বর উঠাও ঠিক অস্বাভাবিক নয়।

স্তন অত্যাধিক ফুলে গেলে শিশুর জন্যে ঠিকঠাক ভাবে দুধ পান করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্ট হলে স্তনের এরিওলা (নিপলের চারপাশের গোলাকার অংশ) শক্ত হয়ে যায়, যার কারণে শিশু গভীরভাবে স্তনে চুমুক দিতে পারে না। এর ফলে নিপলে ব্যাথাসহ বুকের দুধের উৎপাদন কমে যেতে পারে। কারণ এটা তো নিশ্চয়ই জানা আছে, দুধের উৎপাদন ব্যাপারটি অনেকটা চাহিদা ও যোগানের হিসেবের মতোই।

যদি ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্টের সঠিক চিকিৎসা না করা যায়, সেক্ষেত্রে স্তনে ইনফেকশন হওয়া, নালী জমাট বেধে যাওয়া প্রভৃতি ঘটতে পারে এমনকি ব্রেস্ট টিস্যুর স্থায়ী কোন ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে।

[ আরও পড়ুনঃ শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো সংক্রান্ত কিছু সমস্যা ও সমাধান ] 

ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্ট বা স্তনে দুধ জমে যাওয়া কেন হয়?

শিশু জন্ম হওয়ার প্রথম কয়েকদিনে শিশুকে নিয়মিত এবং স্তন সম্পূর্ণভাবে খালি হওয়ার আগ পর্যন্ত বুকের দুধ পান করাতে হয়। যদি আপনার পক্ষে তা করা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্ট হতে পারে। অবশ্য কিছু কিছু মায়েরা তাদের শিশুকে যত ভালোভাবেই দুধ পান করিয়ে থাকেন না কেন, তাদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্ট হয়ই।

সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার কিংবা প্রসবের সময় মা’কে IV এর মাধ্যমে যে স্যালাইন দেওয়া হয় সে পানি জমেও এনগোর্জমেন্ট হতে পারে। প্রস্রাব এবং ঘামের মাধ্যমে এই পানি বেড়িয়ে গেলে তবেই স্তনের ফোলাটা কমে যেতে পারে তবে এটা হতে কিছু সময় তো লাগবেই। ডেলিভারির আট নয়দিন পরেও শরীরে আইভি স্যালাইনের পানি থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

দুধ যে নালী দিয়ে বের হয়, সেই নালী বাধাপ্রাপ্ত হলে তবেও এনগোর্জমেন্ট হতে পারে। যেসব নারীরা স্তন বড় করার সার্জারি করে থাকেন এবং ইমপ্ল্যান্টটা এত বেশী যায়গা দখল করে ফেলে যে স্তনের ভেতরে অতিরিক্ত রক্ত, দুধ এবং লিম্প স্থান করে করে নেওয়ার জন্যে আর যথেষ্ট যায়গা থাকে না – তাদের ক্ষেত্রে এমনটি হতে পারে।

আপনি অনেকদিন দুধপান করানোর পর হঠাৎ করে বন্ধ করে দিলে কিংবা শিশু কোন কারণে (হয়ত শিশু অসুস্থ কিংবা সে বুকের দুধের চেয়ে শক্ত খাবার বেশী পছন্দ করছে) পূর্বের তুলনায় কম দুধ পান করলে তবেও এনগোর্জমেন্ট হতে পারে।

শিশুকে স্থায়ীভাবে বুকের দুধ পান বন্ধ করানোর সময় কিভাবে ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্ট এড়ানো যায় তা এই লেখাটি থেকে জেনে নিন।

ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্ট প্রতিরোধে কি করতে পারি?

শিশুকে বুকের দুধ পান করানো যত দ্রুত এবং ভালোভাবে শুরু করা যায়, ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্ট থেকে বাচার সম্ভাবনা ততই বেশী। এনগোর্জমেন্ট প্রতিরোধে নিম্নোক্ত পন্থাগুলো অবলম্বন করতে পারেন।

যদি সম্ভব হয় শিশু জন্ম হওয়ার ১ ঘন্টার মধ্যে তাকে বুকের বুকের দুধ পান করানো শুরু করে দিন। আপনার সাথে থাকা নার্স কিংবা মেডিকেল টিম আপনাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে পারে।

দিনে অন্ততপক্ষে ৮ থেকে ১২ বার শিশুকে বুকের দুধ পান করান। ঘড়ি দেখে শিডিউল করে নয়, শিশু কখন খেতে চাচ্ছে সেটা খেয়াল করুন। শিশু তো মাত্র পৃথিবীতে এলো, এখনই তাকে একদম ঘড়ির কাটা ধরে কিংবা ক্ষুধা লেগে শিশু কখন কান্না করবে তার জন্যে অপেক্ষা করে খাওয়ানোটা কি ঠিক কাজ হবে?

শিশুকে বুকের দুধ পানে উৎসাহিত করতে শিশুকে আদরভরে এমনভাবে জড়িয়ে ধরুন যাতে করে শিশুর ত্বক আপনার ত্বকে স্পর্শ করে। একবার শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর তিন ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও শিশু যদি ঘুম থেকে না উঠে, সেক্ষেত্রে তাকে বুকের দুধ পান করাতে জাগিয়ে তুলতেই পারেন।

শিশু ঠিকঠাকভাবে স্তনে চুমুক দিয়ে স্তনে থাকা পুরো দুধটুকু খেতে পারছে কিনা তা নিশ্চিত হোন। এ ব্যাপারে আপনার ডাক্তার কিংবা হাসপাতালে সাথে থাকা নার্স আপনাকে সহায়তা করতে পারেন।

এক স্তনের দুধ পুরোটা শেষ করিয়ে তবেই শিশুকে অপরটি দিন। এক স্তনের দুধ শেষ করতে শিশুভেদে ১০ থেকে ২০ মিনিটের মতো সময় লাগে।

শিশুকে প্রত্যেকবার দুধ পান করানোর সময় সে কতক্ষণ ধরে পান করছে সেটার হিসাব লিখে রাখুন। এই হিসেবের মাধ্যমে ডাক্তার সহজেই বুঝতে পারবেন যে শিশু দিনে কতটুকু দুধ পান করছে। শিশু যদি কম সময় ধরে দুধপান করে কিংবা কোন বেলায় না খায়, সেক্ষেত্র ডাক্তার হয়তো রয়ে যাওয়া বুকের দুধ হাতে চেপে কিংবা পাম্পের মাধ্যমে বের করে ফেলার পরামর্শ দিতে পারেন।

শিশুর জন্মের প্রথম মাসেই তাকে ফীডার বা বোতলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটা ঠিক হবে না, অবশ্য যদি কোন কারণে ডাক্তার মনে করেন যে তাকে ফিডার দেওয়া উচিত- তাহলে ভিন্ন কথা। বুকের দুধ পান করতে শিশুর চোয়ালের যে মাংসপেশি কাজ করে, বোতলের নিপলের ক্ষেত্রে কাজ করে অন্য আরেকটি। আর তাইতো শিশুকে যদি প্রথমে বোতলে অভ্যাস করে ফেলেন, তাহলে তার জন্যে ঠিকঠাক বুকের দুধ পান করা কষ্টকর হয়ে পড়তে পারে।

ডাক্তার যদি শিশুকে বোতলের মাধ্যমে খাওয়াতে বলেন, সেক্ষেত্রে ফর্মুলা দুধের পরিবর্তে হাতে চেপে কিংবা পাম্প করে বের করা বুকের দুধই দিন। আর যদি সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ফর্মুলা দুধই খাইয়ে থাকেন, তাহলে এনগোর্জমেন্ট এড়াতে এবং আপনার বুকের দুধের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে প্রত্যেকবার ফর্মুলা খাওয়ানোর সময় পাম্প করে বুকের দুধ বের করে নিন।

ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্ট হলে স্তনকে কিছুটা স্বস্তি দিতে কি করতে পারি?

ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্ট হলে নিম্নোক্ত পন্থাগুলো অবলম্বন করতে পারেন যার মাধ্যমে আপনি কিছুটা স্বস্তি তো পাবেনই, এছাড়াও আপনার এবং আপনার শিশু উভয়ের জন্যেই দুধপান করানোটা বেশ আরামদায়ক হবে।

বিজ্ঞাপণ

চেপে কিছু দুধ বের করে দিন। আপনার স্তন যদি অস্বস্তিকর রকমের পূর্ণ হয়ে যায় এবং আপনার শিশু এখনো দুধ পান করতে প্রস্তুত না হয়, সেক্ষেত্রে আপনি হাতে চেপে কিছু দুধ বের করে দিতে পারেন। এটা আপনাকে বেশ কিছুটা আরাম দেবে। তবে অনেক মায়েদের কাছে এই কাজটা কিছুটা অস্বস্তিকর লাগতে পারে কিন্তু কিছু দুধ বের করে দেওয়ার পর স্তনের টান টান ব্যাপারটি কমে গেলে অনেকটাই হালকা লাগবে৷ আবার এটি করার সময় ব্যাথাও হতে পারে। মূলত এনগোর্জমেন্টের কারণেই ব্যাথাটি হয়।

বার বার শিশুকে বুকের দুধ পান করান৷ একবার খাওয়ালে, ২ ঘন্টার ব্যাবধানে আবার খাওয়ান। চেষ্টা করুন এই ব্যাবধান যাতে কোন ভাবেই তিন ঘন্টার বেশি না হয়।

গরম সেক দিন। শিশুকে দুধ পান করানোর আগমুহূর্তে, বুকের দুধের চলন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে গরম কোন কাপড় দিয়ে স্তনের উপরে সেক দিতে পারেন।  দ্রুত একটা হট শাওয়ারও নিয়ে আসা যায়।

তবে অবশ্যই গরম সেক কোনভাবেই তিন মিনিটের বেশি সময় ধরে রাখা যাবেনা। গরম বেশী হয়ে গেলে ফোলা আরো বেড়ে যেতে পারে এবং দুধ নিঃসরণও কঠিন করে ফেলতে পারে।

শিশুর দুধ পান করা সহজ করতে স্তন কিছুটা নরম করা। শিশুর যদি স্তনে ঠিকঠাক চুমুক দিতে অসুবিধা হয়, সেক্ষেত্রে চাপ দিয়ে কিছু দুধ বের করে দিন যাতে অন্তত নিপলের চারপাশটা কিছুটা নরম হয় এবং শিশুর জন্যে চুমুক দেওয়া আরামদায়ক হয়।

স্তনে ম্যাসাজ করে দিন। শিশুকে যখন বুকের দুধ পান করাবেন, সেই স্তনটা আলতোভাবে ম্যাসাজ করে দিন। এতে দুধের চলন প্রক্রিয়া গতিশীল হবে, পাশাপাশি স্তনের টানটান ভাব এবং অস্বস্তি কিছুটা লাঘব হবে।

অল্প অল্প করে পাম্প করুন। আপনি যদি শিশুকে প্রতি ২/৩ ঘন্টা পর পর দুধ পান করিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে স্তনে পাম্প করার কোন প্রয়োজন নেই যদি না এনগোর্জমেন্ট জনিত কোন অস্বস্তির কারণে ব্যাবহার করতেই হয়। যদি পাম্প করেনই, সেক্ষেত্রে স্তন কিছুটা হালকা হওয়ার জন্যে যতটুকু প্রয়োজন অর্থাৎ খুব অল্প করেই করুন।

এমন যাতে না হয় যে, পাম্পিংয়ের ফলে অনেক বেশী দুধ বেরিয়ে আসছে যা আরো বেশী দুধ উৎপাদনের জন্যে বার্তা পাঠাচ্ছে। অতিরিক্ত কিংবা অভ্যাসগত কারণে পাম্প করতে থাকলে বুকের দুধের উৎপাদন অনেক বেড়ে যায় যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি এনগোর্জমেন্ট হতে পারে।

ঠান্ডা প্যাক ব্যাবহার করুন। স্তনের ব্যাথা ও ফোলা কমাতে শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর আগে কিংবা পরে ১০ মিনিট ঠান্ডা কোন প্যাক ব্যাবহার করতে পারেন। একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে বরফকুচি ঢেলে তা পাতলা একটি কাপড়ে মুড়ে স্তনের উপরে রাখতে পারেন। বরফের যায়গায় ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা যে কোন কিছু যেমন কর্ণ, মটর ইত্যাদিও ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঠান্ডা কোনভাবেই সরাসরি ত্বকে লাগানো ঠিক হবে না।

অনেক মায়েরা আবার ব্যাথা নিরাময়ে বাধাকপি ব্যাবহার করেন। বাধাকপির পাতা সতেজ থাকা অবস্থায় তা খুলে ব্রা’র ভেতরে রেখে দেন। ঘন্টাখানেক পর পাতা নেতিয়ে গেলে আবার নতুন পাতা দিয়ে রাখেন।

সাপোর্টিভ ব্রা পরিধান করুন। অনেক মায়েরাই এই সময়ে বুকের দুধ পান করানোর জন্যে বিশেষভাবে তৈরি ব্রা পরিধান করেন। এটা রাতেও পড়ে থাকা যায়। যা-ই পড়ুন, ব্রা যাতে একদম আপনার সঠিক সাইজের হয় এবং এতে যাতে কোন আন্ডারওয়্যার (এক ধরণের তার) না থাকে সেটা নিশ্চিত হয়ে নিন। আন্ডারওয়্যারের ফলে স্তন সংকুচিত হয়ে যেতে পারে, নালী বদ্ধ হয়ে যেতে পারে।

ওভার দ্য কাউন্ডার পেইন রিলিভার খেতে পারেন। ব্যাথা এবং অস্বস্থি লাঘব করতে এন্টি-ইনফ্ল্যামেটোরি মেডিসিন যেমন ইবোপ্রোফেন খেতে পারেন। (বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্যে ইবোপ্রোফেন নিরাপদ তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। )

উপরের কোনোটাই যদি আপনার সাথে কাজ না করে এবং ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্টটা বেশ দীর্ঘদিন ধরেই আপনাকে ভোগাতে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। তিনি হয়তো এমন কোন ডাক্তারের ঠিকানা দিতে পারেন যিনি আকুপাংচার, আল্ট্রাসাউন্ড, লিম্ফেটিম ব্রেস্ট ড্রেনেজ অথবা গুয়া-শা থেরাপির মাধ্যমে ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্ট নিরাময়ে অভিজ্ঞ।

বিজ্ঞাপণ

এনগোর্জমেন্টের পাশাপাশি যদি আপনার মধ্যে ফ্লু’র মতো উপসর্গ লক্ষ্য করে থাকেন এবং যদি জ্বর ১০১° ফারেনহাইট কিংবা এর বেশি হয়, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারকে জানান। আপনার খুব সম্ভবত ব্রেস্ট ইনফেকশন হয়েছে।

ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্টটা কয়দিন থাকতে পারে?

সৌভাগ্যক্রমে, অধিকাংশ মায়েদের ক্ষেত্রেই এনগোর্জমেন্ট খুব দ্রুতই ঠিক হয়ে যায়। শিশুকে যদি ঠিকঠাক দুধ পান করাতে পারেন কিংবা দু তিন ঘন্টা পর পর পাম্প করে দুধ বের করে দিতে পারেন, সেক্ষেত্রে ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই আপনার স্তন অনেক হালকা লাগবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য এটা ঠিক হতে দু সপ্তাহও লেগে যায়।

এনগোর্জমেন্ট চলে যাওয়ার পর, স্তন দুধে পরিপূর্ণ থাকলেও তা বেশ নরম ও হালকা অনুভব হবে।

যদি আপনি শিশুকে বুকের দুধ পান না করিয়ে থাকেন, তবুও স্তনের চাপ থেকে মুক্তি পেতে এবং স্তনের ইনফেকশনের ঝুঁকি কমাতে পাম্প করতেই হবে। কিভাবে স্তনের  ইনফেকশনের ঝুঁকি কমানো যায় তার বিস্তারিত জানতে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্ট হলে কি শিশুকে বুকের দুধ পান করাতে পারবে?

অবশ্যই, কেন নয়! যদি সম্ভব হয় শিশুর জন্ম হওয়ার এক ঘন্টার মধ্যেই তাকে বুকের দুধ পান করান এবং এর পর নিয়মিত বিরতিতে পান করাতেই থাকুন।

ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্ট কি শিশুর উপর কোন প্রভাব ফেলবে?

এনগোর্জমেন্ট হলে শিশুর জন্য স্তনে ঠিকঠাক চুমুক দিয়ে দুধ পান করাটা বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ে। এতে করে শিশু প্রয়োজনের তুলনায় কম দুধ পাচ্ছে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলুন। এছাড়াও ব্রেস্ট এনগোর্জমেন্ট নিয়ে যে কোন জটিলতা কিংবা সমস্যার মুখোমুখি হলে অবশ্যই ডাক্তারের সহায়তা নিন।

সবার জন্য শুভকামনা।


Spread the love

Related posts

Leave a Comment