১৬ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

Spread the love

গর্ভাবস্থার ১৬ তম সপ্তাহ গর্ভের ভ্রূণের বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কারণ এ সপ্তাহ থেকে উল্লেখযোগ্য হারে ভ্রূণের বৃদ্ধি ঘটে  (Growth Spurt) যার ফলশ্রুতিতে আগামী কয়েক সপ্তাহে তার ওজন দ্বিগুণের চাইতে বেশি বৃদ্ধি পাবে। শিশুর দ্রুত বৃদ্ধির এ পর্যায়কে গ্রোথ স্পার্ট বলা হয়।

গর্ভাবস্থার ১৬ তম সপ্তাহকে প্রেগন্যান্সির দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারের তৃতীয় সপ্তাহ হিসেবে ধরা হয়। এ সপ্তাহের অবস্থান গর্ভাবস্থার চতুর্থ মাসে।

বিজ্ঞাপণ

গর্ভধারণের ১৬ সপ্তাহে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি

গর্ভাবস্থার ১৬ সপ্তাহে গর্ভের শিশুর চেহারা অনেকটাই মানব শিশুর আকার ধারণ করে। তবে এ সময় ভ্রূণটিকে খুব ক্ষীণকায় দেখায় কারণ এখনো তার শরীরে চর্বি জমা হতে শুরু করেনি। তার ত্বকও এখনো খুবই পাতলা যার ভেতর দিয়ে তার রক্তনালীগুলো দৃশ্যমান।

ভ্রূণের মেরুদণ্ড ও পিঠের পেশীগুলো এ সময় থেকে সুগঠিত হতে থাকে।ফলে ভ্রূণটি গলা এবং মাথা আগের চাইতে আরও সোজা করতে পারে।

জরায়ুর ভেতর নড়াচড়া করতে করতে সে নাভিরজ্জু বা আম্বিলিকাল কর্ডের সংস্পর্শে আসলে সেটাকে দুহাতে মুঠো করে ধরতে পারে।  কেউ যদি ভাবেন যে এভাবে আম্বিলিকাল কর্ড ধরে রাখার কারণে প্রয়োজনীয় রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে, তাহলে জেনে রাখুন সেরকম কিছু হবার আগেই শিশুটি নিজেই তা ছেড়ে দেবে।

গর্ভের শিশুটির আকার এই সপ্তাহে একটি পেয়ারার সাথে তুলনা করা যায়।এ সময় ভ্রূণের উচ্চতা থাকে প্রায় ৪.৫৭ ইঞ্চি বা ১১.৬ সেমি এবং এর ওজন হয় আনুমানিক ৩.৫৩ আউন্স বা ১০০ গ্রামের মত।

১৬ তম সপ্তাহের দিকে এসে গর্ভের ভ্রূণের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক বিকাশের মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। সেগুলো নিম্নরূপঃ

চোখ

এ সপ্তাহের দিকে গর্ভের ভ্রূণের চোখের মনি হালকা ডানে বামে নড়তে পারে এবং চোখগুলো আলোর প্রতি সংবেদনশীল থাকে। তবে চোখ দুটো এ সময় বন্ধ অবস্থাতেই থাকে।

কান

ভ্রূণের কানের ছোট ছোট তরুণাস্থিগুলো এখন প্রায় বিকশিত। তাই এ সময় আপনি যদি গর্ভের ভ্রূণের সাথে কথা বলেন তবে সে হয়তো তা শুনতে পাবে। গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভকালীন সময় কোন নির্দিষ্ট সুর মা বার বার শুনলে সেই একই সুর শিশুর জন্মের পর সে চিনতে পারে।

হৃদপিণ্ড

ভ্রূণের হৃদপিণ্ড এসময় দৈনিক গড়ে প্রায় ২৩ লিটারের মত রক্ত পাম্প করতে শুরু করে। ভ্রূণের বৃদ্ধির সাথে সাথে রক্ত পাম্প করার পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং ৪০ সপ্তাহ নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৭৯৮ লিটারের কাছাকাছি।

নাক

ভ্রূণের নাকের নিচে ফিল্ট্রাম নামের খাঁজের সৃষ্টি হয় যা তার উপরের ঠোটে ধনুকের মত আকৃতি তৈরি করে।

আম্বিলিকাল কর্ড

ভ্রূণের আম্বিলিকার কর্ড এখন পুরোপুরি বিকশিত। আম্বিলিকার কর্ডে সাধারণত একটি শিরা ও দুটি ধমনী থাকে যার মাধ্যমে ভ্রূণ প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও অক্সিজেন পায়। এই কর্ডটি  “ওয়ারটন জেলী” নামের একধরনের ঘন পদার্থ দিয়ে আবৃত থাকে।

এছাড়াও ভ্রূণের সংবহনতন্ত্র ও ইউরিনারি সিস্টেম এসময়ে তাদের নিজ নিজ কাজ করতে শুরু করে দেয়। সেই সাথে ভ্রূণের স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ চলতে থাকে। গর্ভের ভ্রূণটি যদি মেয়ে হয়ে থাকে তবে এখন থেকেই তার ডিম্বাশয়ে হাজার হাজার ডিম্বাণু উৎপন্ন হতে শুরু করতে পারে।

১৬ তম সপ্তাহে মায়ের শারীরিক পরিবর্তন

মায়ের জরায়ু এ সময় আরও বড় হয়ে যায় এবং এর ওজন হয় আনুমানিক ৮.৫ আউন্স বা .২৫ কেজির মত। সেই সাথে প্লাসেন্টাও বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং মায়ের শরীর আরও বেশি অ্যাম্নিওটিক ফ্লুয়িড উৎপন্ন করতে থাকে যা গর্ভের ভ্রূণকে বিভিন্ন ইনফেকশন ও আঘাত থেকে রক্ষা করে। গর্ভাবস্থার এই সময়টাতে জরায়ুতে ভ্রূণকে ঘিরে প্রায় ৭.৫ আউন্স বা .২ কেজির মত অ্যাম্নিওটিক ফ্লুয়িড থাকে।

দ্বিতীয়বার মা হতে যাওয়া অনেক মা এ সময়টাতে বাচ্চার হালকা নড়াচড়া টের পেতে পারেন। এটিকে “কুইকেনিং” বলা হয়। তবে যদি এটি আপনার প্রথমবার গর্ভধারণ হয় তবে সাধারণত ১৮-২০ সপ্তাহের আগে বাচ্চার নড়াচড়া বুঝতে পারবেন না। তবে আপনি বুঝতে পারুন আর নাই পারুন, গর্ভের ভ্রুন এখন তাকে ঘিরে থাকা অ্যাম্নিওটিক ফ্লুইডে ভেসে নিয়মিত নড়াচড়া করছে।

গর্ভাবস্থার ১৬ সপ্তাহে গর্ভের শিশুর ওজনমায়ের ওজন দুটোই বাড়তে থাকে। তাই অনেক মায়ের পেটের আকার এ সময় থেকে বাড়তে শুরু করতে পারে। আবার অনেকের এ সময়ে এসেও পেটের আকারে উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন নাও আসতে পারে। দুটি ব্যাপারই খুবই স্বাভাবিক।

কারো যদি মনে হয় পেটের আকারে কোন পরিবর্তন আসেনি তবে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। মায়ের পেটের আকার কেমন হবে তা অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন- হরমোন, গর্ভাবস্থার আগের ওজন, কততম গর্ভাবস্থা এবং মায়ের পেটের পেশীর ধরণ ইত্যাদি।

গর্ভাবস্থার এ সময় যেসব উপসর্গ বেশি দেখা দিতে পারে তা হল –

বিজ্ঞাপণ

ভেরিকোস ভেইন

ভেরিকোস ভেইন হল অস্বাভাবিকভাবে স্ফীত হয়ে যাওয়া শিরা যা চামড়ার উপর দিয়ে দেখা যায়। নীল বা বেগুনি রঙের আঁকাবাঁকা শিরাগুলো সাধারণত পায়ে দেখা যায়। তবে গর্ভাবস্থায়  ভেরিকোস ভেইন নিতম্বে বা ভ্যাজাইনাল এরিয়াতেও দেখা যেতে পারে।

ভেরিকোস ভেইনের কারণে চুলকানি বা ব্যাথা হতে পারে কিন্তু এগুলো সাধারণত তেমন ঝুঁকির কারণ নয়। এর যদি কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তবে তার জন্য সন্তান জন্মদান পর্যন্ত অপেক্ষা করা যায়।

তবে অল্প কিছু ক্ষেত্রে ভেরিকোস ভেইনের কারণে শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে (superficial venous thrombosis)। এমনটা হলে শিরা শক্ত হয়ে যায় এবং দড়ির মত দেখায় এবং এর আশপাশের জায়গা লাল ও গরম হয়ে যায় এবং ব্যাথা অনুভূত হয়।যদি এ ধরনের লক্ষন দেখা দেয় তবে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রেগন্যান্সি গ্লো

গর্ভাবস্থায় শরীরে রক্তপ্রবাহ প্রায় ৩০-৫০ ভাগ বৃদ্ধি পায়। এই রক্তপ্রবাহের কারণে মায়ের চেহারা উজ্জ্বল লাগতে পারে। এছাড়াও মায়ের শরীরে হরমোনের উৎপাদনের কারণে অয়েল গ্ল্যান্ডগুলো অতিরিক্ত কাজ করতে থাকে যার ফলে মায়ের চেহারায় চকচকে ভাব চলে আসে। একে প্রেগন্যান্সি গ্লো বলা হয়।

লেগ ক্র্যাম্প বা পায়ে খিল ধরা

লেগ ক্র্যাম্প সাধারণত গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে শুরু হতে পারে। এবং সময় বাড়ার সাথে সাথে মায়ের পেটের আকার যত বৃদ্ধি পায়, এর তীব্রতা তত বাড়তে পারে। পায়ে খিল ধরা দিনের বেলা হতে পারে তবে সাধারণত রাতের দিকে বেশি হয়।

গর্ভাবস্থায় জরায়ুর আকার বাড়ার কারণে এবং শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার কারনে পায়ের রক্তনালীতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ফলে রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত হয়ে যায় এবং পা থেকে হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচল স্বাভাবিকের চাইতে ধীরে হয়। এ কারনে পায়ে ক্র্যাম্প হতে পারে।

অনেকে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের অভাব বা ফসফরাসের মাত্রা বেড়ে যাওয়াকে লেগ ক্র্যাম্পের কারন বলে দাবী করেন। তবে ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়াম গ্রহনের পরিমান বাড়ালে লেগ ক্র্যাম্পের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এর কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণও পাওয়া যায়নি।

বুক জ্বালাপোড়া

গর্ভাবস্থায় অধিকাংশ মায়ের বুক জ্বালাপোড়া করে। এটা খুব সাধারণ ও স্বাভাবিক শরীরবৃত্তীয় ঘটনা। এই বুকজ্বালা কখনও শুধু বুকে আবার কখনও শুধু গলায় বা উভয় স্থানে হতে পারে।গবেষণায় দেখা গেছে, প্রথম সন্তান জন্মের সময় এ সমস্যা বেশি হয়।

অনেকেই গর্ভাবস্থায় প্রথমবারের মত এ সমস্যা অনুভব করে থাকেন। যদিও বুক জ্বালাপোড়া করা গর্ভাবস্থার স্বাভাবিক উপসর্গগুলোর মধ্যে একটি এবং এর তেমন ক্ষতিকর প্রভাব নেই, তারপরও এ সমস্যা অনেক অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় বুক জ্বালাপোড়া এবং এর সাথে সম্পর্কিত গ্যাসের সমস্যা সাধারণত দ্বিতীয় বা তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে শুরু হয়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে তা আরও আগে শুরু হতে পারে। এ সমস্যা গর্ভাবস্থার পুরো সময়জুড়ে আসা যাওয়া করতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য

গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার প্রধান কারণ হলো প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। প্রোজেস্টেরন হরমোনের কারণে মায়েদের শরীরের পেশীগুলো শিথীল হয়ে পড়ে। আর পরিপাকতন্ত্রের পেশিগুলো শিথীল হয়ে পড়ার ফলে মায়েদের খাবার হজম ধীরে হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ মায়েদেরই আয়রন সাপ্লিমেন্ট নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। এই সাপ্লিমেন্টের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। যদি আয়রন সাপ্লিমেন্টে কোন সমস্যা হয় তবে ডাক্তারের সাথে কথা বলে ব্র্যান্ড পরিবর্তন করে নিতে পারেন।

এ সময় গর্ভকালীন উপসর্গ অনেকটা কমে আসে বলে মায়ের ঘুমের সমস্যাও বেশ স্বাভাবিক হয়ে আসে। এসব কারণে মা বেশ সতেজ বোধ করতে পারেন। তবে এ সময়ও কখনো কখনো মায়ের মুড সুইং হতে পারে।

এসব ছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে মায়েরা আরও অনেক ধরণের উপসর্গ অনুভব করতে পারেন। গর্ভকালীন সব ধরণের উপসর্গ নিয়ে জানতে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন।

গর্ভধারণের এ সপ্তাহে করনীয়

গর্ভাবস্থার ১৫ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে মায়ের জরায়ু অনেক বড় হয়ে যায়। এর ফলে মা যদি চিৎ হয়ে শোয় তবে তা রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। এভাবে শোয়ার ফলে জরায়ুর চাপে ইনফেরিয়র ভেনা কাভা সংকুচিত হয়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থার ১৬ সপ্তাহ পার হয়ে যাবার পর অনেকক্ষণ চিত হয়ে শুয়ে থাকলে আপনার জ্ঞান হারানোর মতো অনুভূতি হতে পারে, কারণ গর্ভস্থ শিশুটির সকল চাপ তখন রক্তনালীগুলোর ওপর পড়ে।

গর্ভাবস্থায় পাশ ফিরে শোওয়া বিশেষ করে বাম পাশ ফিরে শোওয়াটা সবচাইতে নিরাপদ।বাম কাত হয়ে শোয়াটা আপনার বাচ্চার জন্যও ভালো কারণ এতে করে পুষ্টি ও রক্ত প্ল্যাসেন্টা দিয়ে সহজেই বাচ্চার কাছে পৌঁছাতে পারে।

বিজ্ঞাপণ

আপনার যত খুশি বালিশ ব্যবহার করুন। পায়ের নিচে, পিঠে বালিশ আপনার গর্ভকালীন ব্যথা থেকে দিতে পারে কিছুটা স্বস্তি ও আরামের ঘুম। বালিশের অবস্থান এমনভাবে রাখতে হবে যেন তা শুধু মাথা নয়, মায়ের পেট ও পা-কেও সমানভাবে আরাম দিতে পারে। এ সময়ের জন্য উপযুক্ত বালিশ কিনতে পাওয়া যায় বা বানিয়ে নেওয়া যায়।

নিজের শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন নিন। খেয়াল করুন কাজের সময় যেন পেটের উপর তেমন কোনও চাপ না পরে। মেরুদন্ড সোজা রেখে হাঁটা এবং বসার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও খেয়াল করুন আপনি যে খাদ্য গ্রহন করছেন তা যেন স্বাস্থ্য সম্মত হয়।

দিনের বিভিন্ন সময়ে কাজের ফাঁকে পায়ের বিশ্রাম দিন। কিছুক্ষন পর পর পায়ের উপর চাপ কমাতে, পা ঝুলিয়ে বসুন। তবে কখনোই একটানা দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা যাবে না, এতে করে পায়ে পানি চলে আসতে পারে।

আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে এ সময় প্রচুর পানি খাওয়া, সাথে নরম সবজি, ওটস, বিভিন্ন ফল ও ফলের শাঁস খাওয়া আপনার জন্য উপকারী হবে। এতে করে মূত্রনালির কোনো সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে তাও কমে যাবে।

গর্ভাবস্থায় যেহেতু স্বাভাবিকভাবেই ওজন বৃদ্ধি পায় তাই নজর রাখতে হবে যাতে ওজন খুব বেশি বেড়ে না যায়। ওজন খুব বেশি বেড়ে গেলে বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে যেমন গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ব্যাক পেইন, পায়ে ব্যাথা ইত্যাদি।

গর্ভাবস্থায় ডায়েটের ব্যাপারেও খুব সচেতন থাকতে হবে। এখনো যদি শুরু করে না থাকেন তবে এটাই একটা ব্যালান্সড ডায়েট শুরু করার সঠিক সময়। আপনার উপযোগী ডায়েট নিয়ে আপনার ডাক্তারের সাথে বা একজন পুষ্টিবিদের সাথে আলাপ করে নিন।

সবশেষে মনে রাখা উচিত, গর্ভবতী মাকে সব সময় হাসিখুশি ও দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। কারণ গর্ভাবস্থায় মায়ের মানসিক অবস্থা পরবর্তী কালে শিশুর বিকাশে প্রভাব ফেলে, যা গবেষণায় প্রমাণিত।

<<গর্ভাবস্থা সপ্তাহ- ১৫
গর্ভাবস্থা সপ্তাহ- ১৭>>


Spread the love

Related posts

Leave a Comment