Category: শিশুর অসুখ ও সমস্যা

শিশু যখন ছোট থাকে, তার শরীর এতটাই সংবেদনশীল থাকে যে, শরীরের তাপমাত্রা কখন যে কেমন আচরণ করে তা বলা মুশকিল। শিশুর মধ্যে যদি জ্বরের প্রাথমিক উপসর্গগুলো লক্ষ্য করে থাকেন, তবে দ্রুত সঠিক উপায়ে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা জরুরী। থার্মোমিটারের শিশুর জ্বর কত দেখাচ্ছে তার উপর ভিত্তি করেই আপনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি শিশুকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবেন কি না। শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কত হলে সেটাকে ‘বেশী‘ বলা যায়? স্বাভাবিকভাবে, শিশুর মুখের তাপমাত্রা ৩৬.৪ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড অথবা ৯৭.৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট থাকলে, সেটাকে শিশুর শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বলে বিবেচনা করা হয়।…

আপনার নবজাতক শিশু যখন একটু অসামাঞ্জস্যভাবে নিঃশ্বাস নেবে, সাথে সাথেই আপনার মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক যে আপনার শিশুর কোন সমস্যা হচ্ছে না তো! তবে তেমনটা নাও হতে পারে। একেক শিশু একেক রকমভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারে। আপনি যেটা নিয়ে ভয় পাচ্ছেন, সেটা হয়তো আপনার শিশুর জন্যে খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। শব্দ করে নিঃশ্বাস নেওয়া (Noisy Breathing Pattern) আপনার নবজাতক শিশু শব্দ করে নিঃশ্বাস নিলে সাথে সাথেই বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। জন্মের পর পর প্রথম কয়েক মাসে শিশু শুধু নাক দিয়েই নিঃশ্বাস নেয়, যার কারণে শিশু যখন নিঃশ্বাস গ্রহন করে কিংবা ছাড়ে, নাক…

ফ্যাঁকাসে দেখানো এবং ক্লান্ত লাগা রক্ত শূন্যতার প্রাথমিক কিছু লক্ষণের মধ্যে অন্যতম। অন্যান্য কিছু লক্ষণ হল দ্রুত হৃৎস্পন্দন, বিরক্ত লাগা, ক্ষুধা মন্দা, ভঙ্গুর নখ এবং কালশিটে পড়া অথবা ফুলে যাওয়া জিহ্বা। কিন্তু এই ধরনের কোন লক্ষণ দেখা যাওয়া ছাড়াও শিশুদের রক্ত শূন্যতায় ভুগতে প্রায়শই দেখা যায়।

শিশুর ওজন ও স্বাস্থ্য নিয়ে মা-বাবার দুশ্চিন্তার শেষ নেই। ‘কেন আমার বাচ্চার ওজন বাড়ছে না’, প্রশ্নটি আপনাকে তাড়া করে। যদিও আপনি তার খাবার, শারীরিক কার্যকলাপ এবং ঘুমের যথেষ্ট যত্ন নিচ্ছেন, তবুও আপনার সন্তানের ওজন না বাড়া একটি প্রধান উদ্বেগ হতেই পারে।

শিশুর মলদ্বারের তাপমাত্রা ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট অথবা তার থেকে বেশি হলে সেটাকে জ্বর বলে ধরা হয়  আপনার শিশুর হয়ত ঘুম ভেঙ্গে যাবে জ্বরের কারণে, আর আপনি দেখবেন তাপমাত্রার কারণে তার গাল রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। আর তখন ডিজিটাল থার্মোমিটারের মাধ্যমে আপনি তার মলদ্বারের তাপমাত্রা পরিমাপ করে দেখলেন তাপমাত্রা দেখাচ্ছে ৯৯.৯৯ ডিগ্রি। এমনটা দেখার সাথে সাথেই কি আপনি শিশুকে ওষুধ খাওয়াবেন অথবা ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন? হয়ত না… আদতে এমন তাপমাত্রাকে সাধারণত জ্বর বলে আমরা আখ্যায়িত করিনা। কেননা একদম নবজাতকের ক্ষেত্রেও মলদ্বারের তাপমাত্রা ১০০.৪ ডিগ্রি থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত কম থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত…

নবজাতকের মাথার অস্বাভাবিক আকার খুব বেশি অপরিচিত নয়। যদিও এটা জীবনমরন কোন সমস্যা নয়, তবু বাবা-মায়েরা অনেক সময় চিন্তিত থাকেন এবং প্রথম থেকেই ব্যাস্ত হয়ে পড়েন সঠিক ভাবে মাথার গঠনকে সুগঠিত করতে। সৌভাগ্যবশত, একটু ধৈর্য ও কিছু সুপরামর্শ আপনার বাচ্চার মাথার আকৃতিকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করতে পারে।

শিশুর মাথার পিছনের অংশে অথবা যে কোন এক পাশের অংশে কিছুটা যায়গা যখন সমান থাকে তাকে Plagiocephaly বলে। Plagiocephaly মানে হল মাথার একটা অংশ বাঁকা অথবা ঢালু থাকা তবে বেশিরভাগ মানুষ এটাকে Flat head syndrome নামে আখ্যায়িত করে থাকে। সাধারণত সময়ের সাথে সাথে এটা ঠিক হয়ে যায়।

শিশু যদি প্রচুর পরিমাণে ঘামায় তাহলে আমরা অনেকেই বিষয়টা স্বাভাবিকভাবেই নেই, কেননা জন্মের প্রথম দিন থেকেই সে বেশ ঘামাচ্ছে। তবে একটা সময়ে অন্যান্য শিশুদের তুলনা করলে আমরা দেখি যে নিজের শিশুটি হয়ত অন্যান্যদের তুলনায় একটু বেশিই ঘামাচ্ছে। তখন আপনার মনে হয়ত একটু উদ্বেগের ভাব চলে আসে যে, আপনি বিষয়টাকে যতটা স্বাভাবিক ভাবছিলেন, ব্যাপারটা আসলে ঠিক ততটা স্বাভাবিক নয়। তবে এর মধ্যেই এত দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই, আসুন আগে আমরা বিষয়টা সম্পর্কে একটু জেনে নেই এবং বুঝে নেই আপনার শিশুর ক্ষেত্রে কি আদতেই এমন কোন উদ্বেগের বিষয় রয়েছে কি না।  সব…