প্রধান উপকরণ
গাজর + মিষ্টি আলু + কাঁচা পেঁপে – পিওরি
অথবা
গাজর + মিষ্টি আলু + মিষ্টি কুমড়া –পিওরি
অথবা
মিষ্টিকুমড়া + কাঁচা পেঁপে + গাজর – পিওরি
উপরের সবগুলো খাবারই শিশুর প্রাথমিক খাদ্য তালিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নাম। বিশেষ করে ছয় মাস বয়স থেকে বাচ্চাকে একটু একটু করে সলিড খাবারে অভ্যস্ত করতে হয়। অনেক বাচ্চাই বিশেষ বিশেষ কিছু খাবার খেতে চায় না, অনেকে কিছুই খেতে চায় না, সেক্ষেত্রে বাবা মা কে একটু ধৈর্য ধরে বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়।
উপরের উপকরণগুলোর মধ্যে প্রথম কম্বিন্যাশনটি (মিষ্টি আলু, গাজর এবং কাঁচা পেঁপের পিওরি শিশুর পুষ্টি তো বটেই , সেই সাথে কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য বিশেষভাবে কাজ করে)
খুব বেশী উপকরণ একসাথে না নেয়াই ভালো। এক এক দিন এক একটি কম্বিন্যাশন চেষ্টা করুন, এক্ষেত্রে পুষ্টি এবং স্বাদের বৈচিত্র্য থাকবে। যেকোনো একটি বা দুটি উপকরণ দিয়েও রেসিপিটি বানাতে পারেন।
প্রনালিঃ 2 কাপ পানি নিন। চুলায় ফুটতে দিন, এতে পাতলা টুকরো করে কাটা সব্জিগুলো (আনুমানিক ১০০ গ্রাম করে প্রতিটি থেকে) ভালভাবে নরম করে সেধ করুন। সবজি নরম হয়ে আসলে ভালভাবে ব্লেন্ড করে পিওরি তৈরি করুন। ব্লেন্ডার ম্যাশিন থাকলে খুব ভালো, অথবা আমাদের প্রাত্যাহিক ব্যাবহারের ডাল ঘুটুনি/ এগ বিটার ইত্যাদি দিয়েও মিশ্রণটি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভালো ভাবে লক্ষ্য রাখবেন যাতে কোন সবজির ছোট কোন টুকরা রয়ে না যায়।
পিওরির মিশ্রণটিতে এক চিমটি লবন দিন। আধা চা চামচ ভালো বাটার দিতে পারেন। বাচ্চাদের খাবারে কিছুটা স্নেহ উপাদান খুবই প্রয়োজন । স্বাদের জন্য হালকা এক চিমটি এলাচ গুঁড়ো দিতে পারেন। আর যদিও বাচ্চাদের খাবারে আলাদা করে চিনি না দেয়াই ভালো, তবে এক চা চামচ চিনি যোগ করতে পারেন। এতে স্বাদ একটু বাড়বে এবং প্রতি পরিবেশনে খুব অল্প পরিমান চিনি বাচ্চা গ্রহন করবে। (বাচ্চার খাদ্যাভ্যাস তৈরিতে স্বাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। ) ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি একবার ফুটে উঠলে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন, হালকা গরম অবস্থায় শিশুকে খাওয়ান চামচ দিয়ে।
- হয়ে গেলো শিশুর জন্য মজাদার ডেসার্ট । (যেসব শিশু মিষ্টি একেবারেই পছন্দ করে না, তাদের জন্য এটি তৈরি করার সময় চিনি না দিয়ে এলাচের পরিবর্তে গোল মরিচ দিতে পারেন)
আপনাদের সবার জন্য শুভকামনা।
Fairyland