প্রসব পরবর্তী ৬-৮ সপ্তাহ সময় একজন মায়ের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময়ের সঠিক পরিচর্যা একদিকে মাকে যেমন গর্ভ ও প্রসব সংক্রান্ত বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তনের পূর্বের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সাহায্য করে, তেমনি মাকে এ সময়ের বিভিন্ন জটিলতা থেকে রক্ষা করে, সঠিক ভাবে বাচ্চার যত্ন নিতে ও বুকের দুধ খাওয়াতে সাহায্য করে। কিন্তু অজ্ঞতা অথবা অনিহার কারণে আমাদের দেশে মায়েদের প্রসব পরবর্তী সেবার জন্য চিকিত্সকের পরামর্শ নেবার হার অনেক কম। প্রসব পরবর্তী যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, মায়ের স্বাস্থ্য। তিনি যেন যথাযথভাবে নবজাতকের যত্ন নিতে সক্ষম হন তা নিশ্চিত করা,…
বিস্তারিত পড়ুনMonth: February 2018
গর্ভাবস্থায় ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা ও তার প্রতিকার
প্রথমেই বলা প্রয়োজন গর্ভাবস্থা কিন্তু কোনো রোগ নয়। এটি একটি বিশেষ সময়ের শারীরিক অবস্থা। গর্ভাবস্থায় শরীরের স্বাভাবিক সব প্রক্রিয়ার একটি বিরাট পরিবর্তন ঘটে। যার প্রভাবে ত্বকেও অনেক ধরনের পরিবর্তন এবং নানা ধরনের চর্মরোগ সৃষ্টি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় খাবারের চাহিদা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি থাকে, তাই সেই অনুপাতে খাওয়া-দাওয়া না করলে মায়ের ত্বকে হতে পারে বিশেষ কোনো খাদ্য উপাদানের ঘাটতিজনিত রোগ অর্থাৎ অপুষ্টিজনিত কারণেও এ সময় বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায়ও এ সময় পরিবর্তন হয়। ফলে বিভিন্ন জীবাণু (যেমন-ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস ইত্যাদি) সংক্রমণের দ্বারাও ত্বকে অনেক চর্মরোগ…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় নাক থেকে রক্ত পড়া। কারণ ও প্রতিকার
গর্ভাবস্থায় নাক থেকে রক্ত কেন পড়ে? গর্ভাবস্থায় নাক থেকে রক্ত পড়া খুব সাধারণ একটি সমস্যা না হলেও অনেকের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। আমাদের দেহের নাকের ভিতরের রক্ত প্রবাহের নালীটি খুবই ক্ষুদ্র এবং নাক দেহের সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল অঙ্গ। যখনই নাকের এই রক্ত প্রবাহের নালীতে কোন সমস্যা দেখা দেয় তখনই নাক দিয়ে রক্ত পড়ে, মাঝে মাঝে নাকের দুটো ছিদ্র দিয়েই রক্ত বের হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় আমাদের শরীরে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এ সময় নাকের ভেতরের রক্তনালীগুলো প্রসারিত হয়ে যায় এবং বর্ধিত রক্তপ্রবাহ নাকের সংবেদনশীল রক্তনালীগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে যার ফলে নালীগুলো সহজে…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভকালীন বিভিন্ন জটিলতা সমূহ
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের হিসাব মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রসবজনিত মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৭০ জন। প্রতি বছরই প্রায় ১২ হাজার নারী প্রসবজনিত জটিলতার কারণে মারা যান। গর্ভাবস্থায় নারীদের চাই বিশেষ যত্ন। মহিলাদের গর্ভধারণের পূর্বেই নিজের স্বাস্থ্য, গর্ভধারণ ও সন্তান পালন সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার। কারণ একজন সুস্থ্য মা-ই পারে একটি সু্স্থ ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দিতে। তাই গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজন সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা। বেশীরভাগ গর্ভাবস্থা সহজেই পার হয়ে যায়। কিন্তু জটিলতার বিপদজ্জনক উপসর্গগুলো জানা থাকলে প্রয়োজনের সময় আপনি দ্রুত উদ্যোগ নিতে পারবেন। আপনার ডাক্তার,ধাত্রী বা হাসপাতালের সাথে কথা…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় টিকা : কোনগুলো নিরাপদ, কোনগুলো নয়
গর্ভাবস্থায় টিকা কেন জরুরী? টিকা ক্ষতিকর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। গর্ভাবস্থায় টিকা নিলে আপনি এবং আপনার সন্তান উভয়েই ক্ষতিকর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন।গর্ভাবস্থায় টিকা নিলে আপনার সন্তানটি জন্মের কয়েকমাস পরেও তার টিকা শুরু করার আগ পর্যন্ত নিরাপদ থাকে। আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আপনার গর্ভের সন্তানকে গুরুতর অসুখ থেকে রক্ষা করবে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় সব ধরনের টিকাই নিরাপদ নয়। টিকা সাধারণত তিন ধরণের হয় যেমন- জীবন্ত ভাইরাস, মৃত ভাইরাস এবং টক্সয়েড(ব্যাকটেরিয়া থেকে টানা রাসায়নিক ভাবে পরিবর্তিত প্রোটিন, যা অক্ষতিকর)। গর্ভবতী মহিলাদের জীবন্ত ভাইরাসের টিকা যেমন- হাম, মামস ও রুবেলার (MMR) টিকা ইত্যাদি…
বিস্তারিত পড়ুনবুকের দুধ খাওয়ানো সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা জানা উচিত
ঘুমন্ত শিশুকে জাগানো নবজাতক শিশুদের কেউ কেউ নিদ্রালু হয়। এর অর্থ হল আপনার শিশু খাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমপক্ষে ৮ বার নিজের থেকে ঘুম থেকে উঠতে পারেনা। অথবা আপনার শিশু স্তন মুখে ঢুকাতে পারে কিন্তু খাওয়া শুরু করার অল্প কিছুক্ষন পরেই সে ঘুমিয়ে পড়তে পারে। যতক্ষণ না আপনার শিশু নিয়মিতভাবে ঘুম থেকে জেগে উঠে এবং স্থিরভাবে তার ওজন বাড়ে, আপনাকে মাঝে মাঝে আপনার শিশুকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিতে হতে পারে। ঘুমন্ত শিশুকে ঘুম থেকে জাগানো এবং খাওয়ানোর পরামর্শসমূহঃ খিটখিটে শিশুকে শান্ত করা শিশুরা অনেক কারণে কান্নাকাটি করে- অস্বস্তি, নিঃসঙ্গতা,…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় খাবার কিভাবে নিরাপদ রাখবেন?
খাবার নিরাপদ রাখা যখন আপনি গর্ভবতী হন, আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং খাদ্য বিষক্রিয়াসহ আপনার অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিছু কিছু জীবাণু যা হয়তো গর্ভ পূর্ববর্তী অবস্থায় পারত না, কিন্তু গর্ভাবস্থায় এখন তার চেয়ে মারাত্মক অসুস্থতা তৈরী করতে পারে এবং আপনার জন্ম না নেয়া বাচ্চারও ক্ষতি করতে পারে। বিষক্রিয়া পরিহার করার কিছু উপায় এখানে দেয়া হলো যা আপনাকে সাহায্য করবে। ঠান্ডা রাখুন ফ্রিজ ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা তার নীচে রাখুন। যে খাবার ঠান্ডায় রাখা প্রয়োজন তা ফ্রিজে তৎক্ষনাত রেখে দিন। যে খাবার ফ্রিজে ছিল যদি তা দুই…
বিস্তারিত পড়ুননবজাতককে কত ঘন ঘন এবং কতক্ষণ ধরে দুধ খাওয়াতে হবে?
সব শিশুর ক্ষেত্রেই এটি আলাদা, এবং শিশু কীভাবে জন্ম নিয়েছে তার উপরও এটি নির্ভর করে। জন্মের পর প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে একবার দুধ খেয়ে তার শুভসূচনা করার কথা। এরপর শিশুরা ঘুমিয়ে পড়তে পারে, এবং পরে আবার খেতে চাইলে আপনাকে বিভিন্নভাবে সংকেত দেয়ার চেষ্টা করবে। অধকিাংশ নবজাতক শিশু ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৮ বার বা তারও বেশী খায়। বুকের দুধ খাওয়ানো আপনার শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি আরামদায়কও এবং আপনার ও আপনার শিশুর মধ্যে একটি ঘনষ্ঠি আবগের্পূণ সংযোগ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। শিশুদের কেউ কেউ নিয়মিত খাবার খায় এবং দ্রুত…
বিস্তারিত পড়ুনশিশুকে বোতলে বা ফীডারে খাওয়ানো সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা
যদি আপনি ঠিক করে থাকেন যে আপনি আপনার শিশুকে বোতলে করে খাওয়াবেন, তবে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সাহায্য করবে সম্ভাব্য নিরাপত্তা পেতে, আপনি হয়ত আপনার বুকের দুধ বোতলে করে খাওয়াতে চাইতে পারেন কিংবা আপনি হয়ত ঠিক করতে পারেন যে কেবল ফর্মুলা দুধই শিশুকে খাওয়াবেন। যদি আপনি একই সাথে শিশুকে বুকের দুধ এবং ফর্মুলা খাওয়াতে চান তবে যতটা সম্ভব বেশি বেশি করে বুকের দুধই দেয়া ভাল কারণ তা ফর্মুলা দুধ থেকে শিশুর জন্য বেশি উপকারী। ব্রেস্ট ফিডিং করালে প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ কম হয়, ডেলিভারির ৬ সপ্তাহের মধ্যে জরায়ু তার পূর্বের অবস্থায়…
বিস্তারিত পড়ুনগর্ভাবস্থায় মাথা ঘোরা বা জ্ঞান হারানো অনুভূতি হওয়া
গর্ভাবস্থায় মাথা ঘোরা বা জ্ঞান হারানোর অনুভূতি কেন হয়? গর্ভবতী অনেক নারী মাঝে মাঝেই জ্ঞান হারানোর মতো অনুভব করেন। গর্ভাবস্থায় শরীরের হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই এমন বোধ হয়। আপনার মস্তিষ্ক যদি যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত (যার মধ্যে অক্সিজেন থাকে) না পায়, তাহলেই অজ্ঞান হবার মতো অবস্থা তৈরি হয়। যদি আপনার শরীরে সার্বিকভাবে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় তাহলেও আপনি জ্ঞান হারাতে পারেন বা অচেতন অনুভব করতে পারেন। যদি মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেন এর প্রবাহ কমে যায় তাহলে মস্তিষ্ক সাথে সাথে শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে প্রয়োজনীয় রক্ত মস্তিষ্কে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে।যখন মস্তিষ্ক অক্সিজেনের…
বিস্তারিত পড়ুন