প্রসবকালীন বিভিন্ন জটিলতা

প্রসবকালীন বিভিন্ন জটিলতা

গর্ভাবস্থায় যেমন জটিলতা দেখা দিতে পারে তেমনি প্রসব কালীন সময়েও বিভিন্ন জটিলতার উদ্ভব হতে পারে। নারীরা তাদের গর্ভকালীন সময়ে যেমন নানা প্রকার সমস্যা সম্পর্কে সচেতন থাকেন তেমনি প্রসবকালীন সময়ের সমস্যাবলী সম্পর্কেও তাদের সচেতন থাকাটা অতি জরুরী। কারণ সামান্য একটি ভুলের কারণে ঘটে যেতে পারে মারাত্মক কোন দুর্ঘটনা। যদিও আপনি স্বাস্থ্যবতী এবং আপনার প্রসব এবং প্রজননের জন্য ভালো প্রস্তুতি আছে, তারপরও অপ্রত্যাশিত জটিলতার সুযোগ থাকে। প্রসবকালীন বিভিন্ন জটিলতা নিয়েই আজকের আলোচনা। প্রসবের ধীরগতি আপনার প্রসব কিভাবে অগ্রগতি হচ্ছে তা আপনার পেটে আপনার বাচ্চাকে অনুভব করে, আপনার জরায়ুর মুখ কতটুকু খুলেছে তা…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাস বা তৃতীয় ট্রাইমেস্টার

গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাস বা তৃতীয় ট্রাইমেস্টার

গর্ভাবস্থায় শেষ তিন মাস বা তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে গর্ভের বাচ্চার বিকাশ ২৮তম সপ্তাহে, আপনার বাচ্চা এখন ৩৬ সে.মি. লম্বা এবং ওজন প্রায় ১১০০ গ্রাম। এর চোখের পাতা খোলা থাকে এবং এর ফুসফুস পর্যাপ্ত বৃদ্ধি পায় যাতে আপনার বাচ্চা জরায়ুর বাইরে শ্বাস নিতে পারে – যদিও এই সময় জন্ম নেয়া বাচ্চার শ্বাস নেয়ার জন্য সম্ভবত সাহায্য লাগতে পারে। ২৮তম সপ্তাহে জন্ম নেয়া একটি বাচ্চার বেচে থাকার ভালো সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু তারপরও প্রতিবন্ধী হওয়ার একটি ঝুঁকি থেকে যায়। ৩২তম সপ্তাহে, আপনার বাচ্চা ৪১ সে.মি. লম্বা এবং ওজন প্রায় ১৮০০ গ্রাম। এই সময়ে জন্ম…

বিস্তারিত পড়ুন

৪০ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা | ভ্রূণের বৃদ্ধি, মায়ের শরীর এবং কিছু টিপস

গর্ভাবস্থার ৪০ তম সপ্তাহ

গর্ভাবস্থার ৪০ তম সপ্তাহেই হতে পারে আপনার সাথে আপনার নবজাতকের প্রথম সাক্ষাত। তবে মনে রাখতে হবে অনেক মায়েদের ক্ষেত্রে প্রসব হতে ৪০ সপ্তাহেরও বেশি সময় লাগতে পারে। গবেষণা বলছে প্রতি ১০০ জন মায়ের মধ্যে ৬০ জনের প্রসব ডিউ ডেইটের মধ্যেই হয়ে যায় কিন্তু বাকি ৪০ ভাগ মায়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত তারিখের পরও সপ্তাহ দুয়েক বা তার বেশি সময় লাগতে পারে। সে যাই হোক না কেন, আপনার বহুল প্রতিক্ষিত সেই মহেন্দ্রক্ষণ খুব বেশি দূরে নয়। এই ৪০ সপ্তাহ খুব দীর্ঘ এবং উত্তেজনাময় মনে হলেও আপনার আসল অ্যাডভেঞ্চার শুরু হবে সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় তিন মাস বা দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার

গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় তিন মাস বা দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার

গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় তিন মাস বা দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে কিভাবে আপনার বাচ্চা বেড়ে উঠে ১৪তম সপ্তাহের মধ্যে আপনার বাচ্চা ১১ সে.মি. লম্বা এবং ওজন প্রায় ৪৫ গ্রাম হয়। ডিম্বাশয় বা শুক্রাশয়সহ এর অঙ্গ গঠিত হয়। যদিও আপনি তা অনুভব করতে পারছেন না কিন্ত  আপনার বাচ্চা জরায়ুর চারপাশে ঘুরে। ১৮তম সপ্তাহের মধ্যে আপনার বাচ্চা ১৮ সে.মি. লম্বা এবং ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম হয়। পরবর্তী চার সপ্তাহে আপনি বাচ্চার নড়াচড়া বুঝতে পারবেন (পাখির ঝাপটানোর মত অনুভূতি)। এটিকে কখনও “প্রানবন্ত” হওয়া বলে। আপনি যদি আপনার বাচ্চা এখন দেখতে পারতেন তাহলে আপনি তার লিঙ্গ বলতে পারতেন।…

বিস্তারিত পড়ুন

পোস্টেরিয়র পজিশন | গর্ভে ভ্রূণের অবস্থান

পোস্টেরিয়র পজিশন

পোস্টেরিয়র পজিশন বলতে কি বোঝায়? যখন গর্ভে শিশুর মাথা নীচের দিকে থাকে কিন্ত মুখ মায়ের পেটের দিকে ঘোরানো থাকে তখন বাচ্চার এই পজিশনকে বলা হয় occiput posterior (OP) position বা সংক্ষেপে পোস্টেরিয়র পজিশন। এ ধরনের নামকরণের কারণ হোল এ পজিশনে বাচ্চার মাথার খুলির পেছনের অংশ (the occipital bone) পেলভিসের পেছনের দিকে থাকে। এ ধরনের পজিশনকে অনেক সময় “ফেস আপ” বা “সানি সাইড আপ’ বলা হয়। বাচ্চা যখন গর্ভাবস্থার শেষের দিকে নীচের দিকে নামতে থাকে তখন মায়ের পেলভিসে অবস্থানের সবচাইতে ভালো পজিশন হোল বাচ্চার পিঠ মায়ের পেটের দিকে থাকা। বাচ্চা যখন…

বিস্তারিত পড়ুন

গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস বা প্রথম ট্রাইমেস্টার

গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস বা প্রথম ট্রাইমেস্টার

গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি আপনার গর্ভাবস্থা শুরু হয় যখন আপনার ডিম্বানু(ডিম্বক) পুরুষের শুক্রাণুর সাথে নিষিক্ত হয়। এই ডিম্বানু দুইটি কোষে বিভক্ত হয়।একটি ক্ষুদ্র কোষপিন্ডে পরিণত হওয়া পর্যন্ত এই বিভক্তি চলতে থাকে। তারপর এই কোষপিন্ড জরায়ুর নালী দিয়ে জরায়ুতে (জরায়ু) গিয়ে অবস্থান করে।তারপর এটি বৃদ্ধি পায় এবং পরিণত হয়। শিশু- এই ধাপে একে ভ্রুণ বলে গর্ভফুল/প্লাসেন্টা- এটি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত শিশুকে আপনার রক্ত থেকে পুষ্টি ও অক্সিজেন দ্বারা খাবার দেয় আম্বিলিকাল কর্ড বা নাভিরজ্জু – এটি বাচ্চাকে প্লাসেন্টার সাথে সংযুক্ত করে (এটি একটি মহাসড়কের মতো যা বাচ্চার জন্য খাদ্য এবং অক্সিজেন…

বিস্তারিত পড়ুন

কিভাবে দ্রুত এবং সহজে গর্ভবতী হওয়া যায়

গর্ভধারণে শারীরিক মিলন

অসংখ্য মানুষের অসংখ্য রকমের সমস্যা। কেউ না চাইলেও কোনো নিয়ম না মানলেও গর্ভধারণ করতে পারেন আবার অনেক দম্পতি সন্তান গ্রহণ করতে চান কিন্তু অজানা কারণে তা হয় না। কনডম ব্যবহার না করা বা পিল খাওয়া বন্ধ করে দিলেই একজন নারী গর্ভবতী হয়ে যাবেন তা কিন্তু নয়।বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ, নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন, স্বাস্থ্যকর খাবার-দাবার ইত্যাদি বিষয় ঠিক রাখা খুব জরুরী মা হতে চাইলে। আজকের আর্টিকেলে এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যা আপনার গর্ভবতী হওয়াকে আরও দ্রুত ও সহজ করতে সাহায্য করবে। দ্রুত এবং সহজে গর্ভধারণ করার উপায়…

বিস্তারিত পড়ুন

নির্ধারিত সময়ের পরেও প্রসব বেদনা শুরু না হওয়া বা পোস্ট টার্ম প্রেগন্যান্সি

নির্ধারিত সময়ের পরেও প্রসব বেদনা শুরু না হওয়া বা পোস্ট টার্ম প্রেগন্যান্সি

বেশীরভাগ বাচ্চাই গর্ভাবস্থার ৩৭ থেকে ৪১ সপ্তাহের মধ্যে জন্ম নেয়। ডিউ ডেইট হোল বাচ্চা জন্ম নেয়ার সম্ভাব্য তারিখ। শেষ মাসিকের প্রথম দিন থেকে ৪০ সপ্তাহ হিসেব করে এই ডেইট গননা করা হয়। প্রথম ট্রাইমেস্টারে ডেটিং স্ক্যানের উপর ভিত্তি করে এই ডিউ ডেইটের তারতম্য ঘটতে পারে। মনে রাখতে হবে ডিউ ডেইট মানে বাচ্চা কখন জন্মাবে সেটা না বরং এটা হোল বাচ্চা কখন ৪০ সপ্তাহের হবে তার হিসেব। এই সময়ের আগে বা পরে বাচ্চা জন্মে নেয়াটা স্বাভাবিক। প্রসবের বা ডিউ ডেইটের জন্য নির্ধারিত তারিখের দুই সপ্তাহ পরও যদি বাচ্চা প্রসব না হয়…

বিস্তারিত পড়ুন

প্রসব বেদনা সহনীয় করার উপায়

প্রসব বেদনা উপশমের উপায়

আপনার প্রসব প্রক্রিয়া কতো দ্রুত অগ্রসর হবে তা কয়েকটি জিনিসের উপর নির্ভর করে, যার মধ্যে আছে শিশুর নীচে নামা বা শ্রোণী দিয়ে নীচের দিকে নামা, এবং প্রতিনিয়ত শক্ত খিঁচুনীসহ জরায়ুর মুখ বা গর্ভাশয়ের গলা খুলে যাওয়া (প্রসারিত হওয়া)। বিভিন্ন উপায়ে আপনি আপনার প্রসবকে সাহায্য করতে পারেন।যে সকল জিনিস সাহায্য করতে পারে সেগুলো হচ্ছে: যতোটা সম্ভব শিথিল অনুভব করা অ্যারোমাথেরাপি/সুগন্ধি তৈলমর্দন চিকিৎসা শিথিলকরণ এবং শ্বাস-প্রশ্বাস পদ্ধতি। কিভাবে আপনার সঙ্গী বা সাহায্যকারী ব্যক্তিরা সহযোগীতা করতে পারে আপনার সঙ্গী বা সহযোগী ব্যক্তি আপনার প্রসব আরামদায়ক করার জন্য অনেক কিছুই করতে পারে। কিন্তু তাদেরও…

বিস্তারিত পড়ুন

নরমাল ডেলিভারি সম্পর্কে বিস্তারিত

স্বাভাবিক প্রসব

মানুষ সৃষ্টির একেবারে আদিম সময় থেকে এই বিজ্ঞানের যুগেও কিছু বিষয় একদমই পাল্টায়নি। এরকমই একটি প্রক্রিয়া হল নরমাল ডেলিভারি বা স্বাভাবিক প্রসব (Normal Vaginal Delivery)৷  শিশু জন্মানোর এই আদিম প্রক্রিয়া এখনো সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর,  সুন্দর ও স্বাভাবিক হিসেবে স্বীকৃত।  এর কোন বিকল্প এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে আবিষ্কারের স্বাভাবিক পথ ধরে নরমাল ডেলিভারির বিস্তারিত সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এসেছে অসংখ্যা আর্টিকেল,  গবেষণা পত্র,বই পুস্তক। সেখান থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হল আজকের আর্টিকেলে।     নরমাল ডেলিভারি  বা স্বাভাবিক প্রসব কি? নরমাল ডেলিভারি বা ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি হলো সন্তান প্রসবের সবচেয়ে সহজ এবং…

বিস্তারিত পড়ুন