শিশুর নিউমোনিয়া এবং তার চিকিৎসা

Spread the love

ঋতু পরিবর্তনের সময়ে শিশুরা ভোগে নানান সমস্যায়। সামান্য শীতেই ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি, ব্রঙ্কিওলাইটিস এমনকি নিউমোনিয়া হতে পারে। মনে রাখা দরকার, প্রতিবছর একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু নিউমোনিয়ার কারণে বাংলাদেশে মারা যায়।

বাংলাদেশে তো বটেই, বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। তাই আগে থেকে সাবধান হওয়া চাই। যদি সন্দেহ হয় যে বাচ্চা নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত তবে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। কিছু কিছু নিউমোনিয়া মৃদু হতে পারে তবে তা মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে।

বিজ্ঞাপণ

নিউমনিয়া কি?

ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের  প্রদাহজনিত রোগ নিউমোনিয়া। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হয়।সব সর্দি-কাশিই নিউমোনিয়া নয়। যখন জ্বর এবং এর সঙ্গে থাকে কফ এবং শ্বাসকষ্ট, তখনই কেবল শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ হয়েছে বলে ধরা হয়।

দুই মাসের নিচের শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসের হার মিনিটে ৬০ বারের বেশি, এক বছরের নিচে ৫০ বার বা তার বেশি এবং এক বছর থেকে পাঁচ বছরের শিশুর মিনিটে ৪০ বার তা তার বেশি শ্বাস-প্রশ্বাস হলে তাকে শ্বাসকষ্ট বলা হয়। তাই জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত শিশু এ রকম ঘন ঘন শ্বাস নিলে বা শ্বাসের সঙ্গে বুক বা পাঁজর নিচে দেবে যেতে থাকলে সতর্ক হোন, হয়তা সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।

নিউমোনিয়া  ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াঘটিত কারণে হতে পারে। তবে ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়া বেশি প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। এছাড়াও এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা, এক্টিনোমাইকোসিস নামক ছত্রাক, ঠাণ্ডা পরিবেশ, অপারেশন পরবর্তী সময়, রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদিকেও দায়ী করা হয়।

শিশুরা respiratory syncytial virus (RSV) এর মাধ্যমে নিউমোনিয়াই আক্রান্ত হতে পারে। আবার নবজাতকের মধ্যে প্রসবের সময় মায়ের কাছ থেকে  group B streptococcus (GBS) এর সংক্রমণ হলে নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়াও একটু বড় বাচ্চারা অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের ইনফেকশনের কারণে নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হতে পারে।

ডাক্তাররা নিউমোনিয়াকে সাধারনত দুটো ক্যাটাগরিতে ভাগ করেন- ব্যাক্টেরিয়াল ও ভাইরাল।

ব্যাক্টেরিয়াল নিউমোনিয়া

ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সাধারনত হঠাৎ করে লক্ষন দেখা দেয় যেমন- অনেক জ্বর, দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস এবং কাশি। তারা কিছুই খেতে চায়না এবং দেখতে অনেক অসুস্থ মনে হয়।

বাচ্চার শ্বাসকষ্ট হতে পারে ( শ্বাস নেয়ার সময় নাকের ফুটা অনেক বড় হয়ে যাওয়া বা বুকের খাঁচা দেবে যেতে পারে), হৃদস্পন্দন দ্রুত হতে পারে এবং ঠোট ও নক নীলচে হয়ে যেতে পারে। তাদের দুর্বল লাগতে পারে, বমি এবং ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। এছাড়াও পেটে ব্যাথা হতে পারে এবং ঘাড় শক্ত হয়ে যেতে পারে।

ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়ার মধ্যে স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি, হিমেফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস অন্যতম।

ভাইরাল নিউমোনিয়া

ভাইরাল নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে লক্ষনগুলো ধীরে ধীরে সাধারন ঠাণ্ডা লাগার মত শুরু হয় কিন্তু আস্তে আস্তে তা খারাপের দিকে যেতে থাকে। বাচ্চাদের ১০১.৫ ডিগ্রীর বা তার বেশী জ্বর হতে পারে এবং সাথে অনেক কাশি,  দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস থাকতে পারে। দুর্বলতা, বমি বা ডায়রিয়াও এর লক্ষন হতে পারে।

ভাইরাল নিউমোনিয়া সাধারনত ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়ার চাইতে কম ভয়ঙ্কর হয়। সাধারণত বেশির ভাগ ভায়রাল নিউমোনিয়া হয় অ্যাডেনোভাইরাস, রাইনোভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, আরএস ভাইরাস, প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দিয়ে।

কারা নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয়

  • যাদের বয়স দুই বছরের নিচে
  • যারা অপুষ্টিতে আক্রান্ত
  • যারা বুকের দুধ পান করেনি, বিশেষ করে শালদুধ
  • যাদের হাম, টিবি, ডিপথেরিয়া, বিশেষ করে নিউমোনিয়ার টিকা দেওয়া হয়নি
  • যেসব শিশু বদ্ধ ঘরে ও ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে থাকে
  • যাদের সামনে ধূমপান করা হয়।
  • গ্রামের শিশুদের চেয়ে শহরের শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়, এর প্রধান কারণ ঘনবসতি ও বায়ুদূষণ।

নিউমোনিয়ার লক্ষণ কী?

ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়ার লক্ষনে সামান্য পার্থক্য থাকলেও বেশকিছু সাধারন লক্ষন আছে। শিশুদের নিউমোনিয়ার লক্ষণ খুবই সাধারণ ও পরিষ্কার, যেটা সাধারণ মানুষও ধরতে পারবে। এ জন্য একটু লক্ষ রাখাই যথেষ্ট। নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলো হলো-

জ্বর, যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার হয়ে থাকে, কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত নেওয়া, শ্বাস গ্রহণের সময় বাঁশির মতো শব্দ হওয়া, শ্বাস নিতে কষ্টবোধ বা কষ্টকর শ্বাস-প্রশ্বাস, বুকের খাঁচা দেবে যাওয়া, বুকে ব্যথা, খেতে না চাওয়া বা খেতে না পারা, শিশুর চঞ্চলতা কমে যাওয়া বা নিস্তেজ হয়ে যাওয়া, বমি করা।

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস খুব দ্রুত হয়। দুই মাসের কম বয়সী শিশুদের মিনিটে ৬০ বার বা তার চেয়ে বেশি শ্বাস নিতে দেখা যায়। দুই মাস থেকে ১২ মাস বয়সী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু মিনিটে ৫০ বার বা তার চেয়ে বেশি শ্বাস নেয় এবং এক বছরের বড় শিশু ৪০ বার বা তার চেয়ে বেশিবার শ্বাস নেয়।

দ্রুত শ্বাসের সঙ্গে বুকের খাঁচা দেবে যাবে, নাকের লতি উঠা-নামা করবে। নিউমোনিয়া বেশি হলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়ে শরীরের রং নীলাভ হয়ে যেতে পারে, যা সায়ানোসিস (Cyanosis) নামে পরিচিত।

শ্বাসকষ্টের সময় কাশির পরিমাণ বাড়ে এবং অতিমাত্রায় জ্বরের কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু খাবার খেতে চায় না।

কিভাবে নিউমোনিয়া নির্ণয় করা হয়?

উপরে বর্ণিত লক্ষণগুলোর সঙ্গে রোগীর শারীরিক পরীক্ষা করেই  নিউমোনিয়া নির্ণয় করা সম্ভব। স্টেথেসস্কোপ দিয়ে বাচ্চার শ্বাসের শব্দ শুনলে একটি বিশেষ শব্দ শোনা যায়, এটিকে মেডিকেল ভাষায় বলে- ক্যাপিটেশন।

সম্পূর্ণ রোগ নির্ণয় করার জন্য বুকের এক্সরে করা হয়। এক্সরের মাধ্যমে সব ধরনের নিউমোনিয়া নির্ণয় করা সম্ভব। অনেক সময় রক্তের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ,কফ/শ্লেষ্মা পরীক্ষা, সিটি স্ক্যান এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা নির্ণয় করা হয়।

বিজ্ঞাপণ

নিউমোনিয়ার চিকিৎসা

ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া হলে ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন। ভাইরাল নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক কোন কাজ করেনা। তাই এর চিকিৎসা সাধারণত বিশ্রাম এবং পর্যাপ্ত তরল গ্রহনের উপর নির্ভর করে।

প্রকৃতপক্ষে নিউমোনিয়ার কারণে দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস এবং জ্বরের কারণে সৃষ্ট পানিশূন্যতা প্রতিরোধে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হোল পর্যাপ্ত তরল গ্রহন। বাচ্চার জ্বর বা ব্যাথার জন্য তাকে  acetaminophen বা ছয় মাসের বেশী বয়সী বাচ্চা হলে ibuprofen দেয়া হতে পারে।

ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়ার কারণে বাচ্চাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাকে IV এর মাধ্যমে তরল ও অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হতে পারে। নিয়মিত সাকশন করে তার নাক পরিষ্কার করা হতে পারে এবং তার অক্সিজেন লেভেল পরীক্ষা করার জন্য অক্সিমিটার ব্যাবহার করা হতে পারে।

তার শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার জন্য অক্সিজেন মাস্ক দেয়া হতে পারে। এর সঙ্গে জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল, শ্বাসকষ্টের জন্য সালবিউটামল দেওয়া হলেও আসল হলো যথোপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক। সুস্থ হয়ে গেলেও অ্যান্টিবায়োটিকের পুরো কোর্স শেষ করতে হবে।

নিউমোনিয়ার টাইপের ওপর ‘এন্টিবায়োটিকের’ ধরন নির্ভর করে। সাধারণ নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে মুখে খাবার ‘এন্টিবায়োটিক’ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। আর মারাত্মক নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে ইনজেক্টেবল এন্টিবায়োটিক দিতে হয়। তখন হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হবে।

ভর্তি হবার পর বাচ্চার রক্তের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার হবে। কারণ, অনেক সময় মারাত্মক নিউমোনিয়া রক্তে ছড়িয়ে পড়ে ‘সেপটিসেমিয়ার’ লক্ষণ দেয়া দেয়। সে ক্ষেত্রে অনেক শক্তিশালী (৩য় ও ৪র্থ প্রজন্মের) এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে নেবুলাইজেশন ও অক্সিজেন দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। বাচ্চা খেতে না পারলে অনেক সময় ফ্লুইড (স্যালাইন) দেয়া হয়।

প্রথম কথা হলো, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুকে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। তার পরও যদি কোনো কারণে চিকিৎসকের কাছে যেতে বিলম্ব হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত বাড়িতে যা করণীয় তা হলো- বাচ্চার জ্বরের পরিমাণ যদি বেশি থাকে, তাহলে তাকে প্যারাসিটামল সিরাপ দিতে হবে অথবা খেতে না পারলে মলদ্বার দিয়ে সাপোজিটরি দিয়ে অবশ্যই জ্বরের মাত্রা কমাতে হবে।

জ্বর কমাতে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে শরীর মোছানোর পদ্ধতিটি বেশ উপকারী এবং যদি বাচ্চার খুব কাশি থাকে ও তার বয়স যদি ছয় মাসের বেশি হয়, তবে তাকে আদা চা, লেবু চা, মধু দিয়ে কুসুম গরম পানি, তুলসীপাতার রস ইত্যাদি দিয়ে কাশির কিছুটা উপশম করা যেতে পারে।  

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু খাবার ও পানি যেন পরিপূর্ণভাবে পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যারা বুকের দুধ খায়, তাদের বুকের দুধ কোনোমতেই বন্ধ করা যাবে না।

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুকে কিভাবে খাওয়াবেন?

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা খেতে চায় না; কারণ ওই সময় প্রচুর জ্বর থাকে ও শ্বাসকষ্ট হয় বলে খেতে পারে না। স্বাভাবিক সময়ে যা খায়, একবারে এ সময় তা সে খেতে পারে না। তাই আগে যা পাঁচবারে খাওয়ানো হতো, নিউমোনিয়া হলে তা বারে বারে অল্প অল্প করে খাওয়ান।

তবে কিছু ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া এত দ্রুত বাড়ে যে তখন স্বাভাবিকভাবে সে আর খেতে পারে না। তাকে তখন হাসপাতালে ভর্তি করে স্যালাইনের মাধ্যমে গ্লুকোজ জাতীয় খাবার দিতে হয়।

নবজাতকের সর্দি-কাশি হলে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মায়েদের অনেক খাবারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যেমন-কলা, টক ইত্যাদি খেতে মানা করা হয়। অবস্থা এমন হয় যে, বিধিনিষেধের ফলে মা পর্যাপ্ত খাবারই পান না। এর ফলে বুকের দুধের নিঃসরণও কমে যায়। পরিণামে বাচ্চারই ক্ষতি হয়। তাই মায়েদের অভয় দেওয়া উচিত, তাঁরা স্বাভাবিক যে খাবার খেতেন, তা-ই খাবেন।এতে শিশুর কাশি বা অন্য রোগ হবে না।

নিউমোনিয়া প্রতিরোধের উপায়

নিউমোনিয়ার কিছু ভ্যাকসিন বের হয়েছে। এই ভ্যাকসিনগুলো যদি সময়মতো নেওয়া যায়, তাহলে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করা যায়।

এ ছাড়া সুস্থ শিশুকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর কাছে যেতে না দেওয়া, হাঁচি-কাশি আক্রান্ত লোকের সামনে বাচ্চাদের যেতে না দেওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা- অর্থাৎ বাইরে থেকে এসে হাত-মুখ সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলা, যখন নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেশি, যেমন শীতকালে, তখন শিশুকে ভিড়ের মধ্যে অর্থাৎ বেশি লোক সমাগমের মধ্যে যেতে না দেওয়া- যেমন- শপিং মল,  সিনেমা হল, বাস ইত্যাদি এড়িয়ে চলা এবং যথাযথ পুষ্টির মাধ্যমে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করা যায়।

বয়স ছয় মাসের কম এমন বাচ্চারা যদি বুকের দুধ পান করে, তবে সে নিউমোনিয়ার জীবাণু অনেকটাই প্রতিহত করতে পারবে। যে বাচ্চার বয়স ছয় মাসের বেশি, তাদের যদি বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার হিসেবে দেশীয় খাবার, যেমন খিচুড়ি, দেশি ফলমূল, শাকসবজি খাবারের মাধ্যমে শিশুর পুষ্টি ঠিক রাখা যায়, তবে নিউমোনিয়ার জীবণু প্রতিহত করার ক্ষমতা আরো বাড়বে।

মনে রাখা দরকার, অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রান্ত হলে বাচ্চাদের ঘনঘন নিউমোনিয়া হয়। তাই শিশুর যথাযথ পুষ্টির দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে।

নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন

নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন আছে। হিব ভ্যাকসিন ও নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন। হিব ভ্যাকসিন দেড় মাস বয়সেই নিতে হয়। দেড় মাস বয়স থেকে সরকারি যে টিকা দেওয়া হয় সেটি পেন্টা (Penta Valent Vaccine) নামে পরিচিত। এই ভ্যাকসিনে একই সঙ্গে পাঁচটি রোগের টিকা বিদ্যমান। এটা যদি নেওয়া হয়, তাহলে তার কিছু দিন পর থেকে হিবজনিত নিউমোনিয়া থেকে শিশুকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

নিউমোকক্কালজনিত নিউমোনিয়া মারাত্মক একটি রোগ। তাই নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন নিয়ে এটা প্রতিরোধ করা ভালো। এ ক্ষেত্রে ছয় মাস বয়সের আগে নিলে তিন ডোজ লাগবে।

ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে নিলে দুই ডোজ লাগবে। আর এক বছর পরে নিলে এক ডোজ লাগবে। আর মিজেলস বা রুবেলা ভ্যাকসিনও যদি কেউ নিয়ে থাকে, এটাও কিন্তু পরোক্ষভাবে নিউমোনিয়ার হাত থেকে শিশুকে রক্ষা করে।

সবার জন্য শুভকামনা


Spread the love

Related posts

Leave a Comment