শিশুর খাবারের রেসিপি

শিশুর খাবারের রেসিপি

(৬-২৩ মাস বয়সী বাচ্চার উপযোগী )

শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশে শিশুর খাবার ও পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অস্বাস্থ্যকরভাবে তৈরি করা শিশুর খাবার শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে এবং শিশু ঘন ঘন অসুস্থ হচ্ছে। শিশুর ছয় মাস পূর্ণ হলে সাধারনত ওজন বৃদ্ধি ব্যহত হয় কারণ ছয় মাস পর্যন্ত শিশু মায়ের দুধ থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান পায়। ৬ মাসের পর থেকে মায়ের দুধ থেকে আসে ৪০০ ক্যালোরি আর ৬ থেকে ৮ মাস বয়সী শিশুদের এ সময় দৈনিক চাহিদা থাকে অতিরিক্ত ২০০ ক্যালোরি, ৯ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের জন্য ৩০০ ও ১২ থেকে ২৩ মাস বয়সী শিশুদের চাহিদা অতিরিক্ত ৫৫০ ক্যালোরি। তাই এ সময় যদি শিশুকে পরিপূরক খাবার থেকে চাহিদা পূরণ করা না হয় তবে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ব্যহত, ঘন ঘন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত এবং মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

যদিও বাংলাদেশে বুকের দুধ দেয়ার অভ্যাস অনেক ভালো, তবুও মাত্র ৬৪ ভাগ শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো হয়। ৬ মাস বয়স পূর্ণ হওয়ার পর (১৮০ দিন পর) বাড়তি খাবার দেয়া শুরু করা হয়। কিন্তু তার পরিমান ও গুনগত মান সন্তোষজনক নয়। সমীক্ষা অনুযায়ী শুধুমাত্র ২১ ভাগ শিশু নুন্যতম গ্রহণযোগ্য খাবার পায়। (যেমন – কমপক্ষে ৪টি খাদ্য বিভাগ থেকে দিনে ৩-৪ বার প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার)।

উপযুক্ত সম্পূরক খাবারের অপর্যাপ্ততার সাথে সাথে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের অন্যতম প্রধান কারণ হলো, শিশুর খাদ্য প্রস্তুত ও খাওয়ানো সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও দক্ষতার অভাব। অনেক পরিবারে শিশুদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পারিবারিক খাবার দেয়া হয় কিন্তু অভিভাবকরা জানেন না কিভাবে কি কি উপকরন দিয়ে তৈরি খাবার শিশুর জন্য সঠিক এবং ঘরের উপকরণ দিয়ে কিভাবে পুষ্টিকর পরিপূরক খাবার কিভাবে তৈরি করতে হবে।

শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবার তৈরির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ৭টি খাদ্যশ্রেণীর যথাযথ মিশ্রন খাদ্যে বিভিন্ন পুষ্টি যোগান নিশ্চিত করে। এই ৭ টি খাদ্য শ্রেণী এবং তাদের প্রধান পুষ্টিগুণ নিচে দেয়া হলো-

১। শস্য ও শস্যজাত খাবার, মুল এবং কন্দ (শক্তিদায়ক)

২। ডাল, বীজ, ও বাদামজাতীয় খাবার ( আমিষ ও শক্তি সরবরাহক)

৩।দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার, যেমন- দই, পনির ইত্যাদি ( আমিষ ও হাড় গঠনে প্রয়োজনীয় খনিস লবন)

৪। মাংস জাতীয় খাবার যেমন- মাছ, গরু/খাসি, মুরগীর কলিজা ইত্যাদি (আমিষ)

৫। ডিম ( আমিষ, ভিটামিন এ, আয়রন, জিংক এবং অন্যান্য)

৬। ভিটামিন এ জাতীয় ফল ও সবজী।

৭। অন্যান্য ফল ও সবজী (ভিটামিন সি এবং অন্যান্য মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট)

উপরে উল্লেখিত ৭ টি খাদ্য শ্রেণীর মধ্যে কমপক্ষে ৪টি খাদ্য শ্রেণী ব্যাবহার করে পরিপূরক খাবার তৈরি করা হলে তা অধিক পুষ্টিকর এবং বৈচিত্র্য পূর্ণ হবে।তাই শিশুর খাবারের রেসিপি বিভাগে এ খাদ্য শ্রেণীগুলোর সমন্বয়ে তৈরি এবং বিজ্ঞানসম্মত বেশ কিছু উন্নতমানের সুস্বাদু খাবারের রেসিপি রয়েছে, যা শিশুর তিনটি বয়স শ্রেণীর (৬-৮, ৯-১১ এবং ১২-২৩) শক্তি, পর্যাপ্ত পুষ্টি এবং ঘনত্ব এর উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারে। শিশুদের এই খাবারের রেসিপিগুলো তৈরি করা হয়েছে স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য, বিজ্ঞানসম্মত, বৈচিত্র্যময় ও পছন্দমত গ্রহণযোগ্য খাবার দিয়ে।

রেসিপিগুলো বাংলাদেশের জন্য পরিপূরক খাবার বিষয়ে ম্যানুয়াল উন্নয়ন গবেষণা থেকে তৈরি বুকলেট “৬-২৩ মাস বয়সী শিশুদের জন্য ঘরে তৈরি পরিপূরক খাদ্য প্রস্তুত প্রণালী” থেকে গ্রহন করা হয়েছে। গবেষণাটি বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত হয়েছে। গবেষণাটিতে টেকনিক্যাল সহায়তা প্রদান করেছে এফএও এবং আর্থিক সহায়তা করছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউএসএআইডি।

শিশুর প্রথম খাবার হিসেবে ওটস

শিশুর প্রথম খাবার হিসেবে ওটস (Oats): কিছু রেসিপি

আপনার শিশুর প্রথম সলিড হিসেবে ওটস অনন্য-অসাধারন একটি খাবার, শিশুর পাঁচ মাস কিংবা ছয় মাসের শুরুর দিকেই আপনি ওটস ট্রাই করে দেখতে পারেন। বাজারে বাচ্চাদের খাবার হিসেবে যেসব টিন-জাত প্রসেসড ...

শিশুর খাবারের রেসিপি । কলিজার খিচুড়ি

রেসিপির বর্ণনা এবং পুষ্টিগুণ কলিজার খিচুড়ি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু একটি খাবার। এই রেসিপিতে কলিজা ব্যাবহার করা হয়েছে যাতে উচ্চ মানের পুষ্টি উপাদান যেমন- আমিষ, আয়রন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন ...
চিড়ার পোলাও

শিশুর খাবারের রেসিপি । চিড়ার পোলাও

রেসিপির বর্ণনা ও পুষ্টিগুণ  চিড়ার পোলাও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি সরবরাহ করে যেগুলো তিন শ্রেণীর খাদ্য থেকে আসে। এখানে ব্যবহৃত চিড়া, যা শস্য জাতীয় খাদ্যের প্রতিনিধি, খুব সহজেই হজম হয় এবং ...

শিশুর খাবারের রেসিপি । পুষ্টি গুড়া

রেসিপির বর্ণনা এবং পুষ্টিগুণ “পুষ্টি গুড়া” ৬-৮ মাসের শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি প্রধান খাবারের তালিকায় রাখা হয়েছে এবং প্রস্তুতে চালের গুড়া, ডালের গুড়া, বাদাম, গুড়/চিনি, কলা এবং গাজরের ...

শিশুর খাবারের রেসিপি । মুরগীর মাংসের খিচুড়ি

রেসিপির বর্ণনা এবং পুষ্টিগুণ মুরগীর মাংসের খিচুড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে চাল, মসুর ডাল, মুরগীর মাংস, সবজি এবং তেল। এই খাবারে শিশুদের চাহিদা অনুযায়ী যথেষ্ট শক্তি পাওয়া যায়। চাল ও ...
শিশুর খাবারের রেসিপি । ডিমের খিচুড়ি

শিশুর খাবারের রেসিপি । ডিমের খিচুড়ি

রেসিপির বর্ণনা ও পুষ্টিগুণ ডিমের খিচুড়ি একটি পুষ্টিকর খাবার যা বিভিন্ন খাদ্যশ্রেণী হতে খাবার নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই খাবার থেকে প্রচুর শক্তি, আমিষ, চর্বি, খনিজ লবন, ভিটামিন পাওয়া যায়। ...