প্লাস্টিকের তৈরি বোতল/ ফীডার কি শিশুদের জন্য নিরাপদ?

Spread the love

‘বিসফিনল  এ’ (Bisphenol A)  বা সংক্ষেপে BPA  এক ধরনের কেমিক্যাল যা পলিকার্বোনেট প্লাস্টিকের পণ্য এবং ই-প্রক্সি রেসিনের তৈরি কৌটা নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রায় গত কয়েক শতক ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে। মূলত এই কেমিক্যালটি ব্যাবহার করা হয় প্লাস্টিকের ক্ষয় রোধ ও প্লাস্টিকটি যাতে শক্ত হয় এবং খাদ্যে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য।

যদিও মানবদেহের উপর BPA এর প্রভাব নিয়ে তেমন কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত নেই, তবু অন্যান্য প্রাণীদেহের উপর বিসফিনলের প্রভাব নিয়ে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে এটা বলা যায় যে, আদতে ‘বিসফিনল এ’এর ব্যাবহার মানুষের জন্যও খুব একটা নিরাপদ নয়।

বিজ্ঞাপণ

বর্তমানে প্লাস্টিকের ফিডার প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানগুলো আর ‘বিসফিনল  এ’ ব্যাবহার করছেনা। কেননা ২০০৯ সালের দিকে ফিডার প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচাইতে বড় ছয়টি কোম্পানি একসাথে তাদের পণ্য তৈরির সময় BPA ব্যাবহার বন্ধ করে দেয় এবং বলা হয়ে থাকে এই বড় ছয়টি কোম্পানিই আমেরিকার প্রায় ৯০ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। এছাড়াও ২০১২ সালের দিকে Food and DrugAdministration অর্থাৎ FDA  শিশুদের ফিডার প্রস্তুতের ক্ষেত্রে BPA ব্যাবহার নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। 

এই বিসফিনল  নামক পদার্থটি ফরমুলা দুধ এর প্যাকেট বানানোর ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হোতো, তবে ২০১৩ সালে FDA এটাকে ফরমুলা দুধের প্যাকেট তৈরির ক্ষেত্রেও নিষিদ্ধ করে দেয়ার পর এর ব্যাবহার পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

আমেরিকার Centers for Disease Control and Prevention (CDC)  এর মতে,বিগত কয়েক বছর ধরে বিসফিনলের ব্যাবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। তবে কিছু পরিবেশবাদী সংস্থার মতে সকল ধরনের প্লাস্টিকের পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে বিসফিনল  ব্যাবহার বন্ধ করার জন্য সরকারের এখনো অনেক কিছু করনীয় বাকি রয়েছে। কেননা এখনো অনেক পণ্য তৈরিতে বিসফিনল  ব্যবহৃত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, খাদ্য সংরক্ষণের কৌটো, প্লাস্টিকের টেবিল ও খাদ্য প্যাকেট করার ক্ষেত্রে এই বিসফিনল  ব্যাবহার হয়ে আসছে।

বিসফিনল  কিভাবে আপনার শিশুর খাবারে মিশে যায়?

সাধারণত সমস্যার শুরুটা হয় যখন প্লাস্টিকের তৈরি ফিডার অথবা কৌটা থেকে এই কেমিক্যাল খাবারের সংস্পর্শে আসে। এক্ষেত্রে এমনটা বলা যায় যে, আপনার শিশু যদি পলিকার্বোনেটের তৈরি ফিডারে দুধ পান করে থাকে তাহলে এই ‘বিসফিনল  এ’নামক কেমিক্যালটি  তার শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

তবে ঠিক কি পরিমাণে এই কেমিক্যাল নিঃসৃত হয় এটা মূলত নির্ভর করে প্লাস্টিকের পণ্যটি গরম করা হচ্ছে কি না তার উপর। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, অনেকে ডিশওয়াশার দিয়ে ফিডার ধুয়ে নেয় এবং কেউ কেউ মাইক্রোওয়েভে ফিডার দিয়ে খাবার গরম করতে যায়। এছাড়াও, ফিডারের মধ্যে নেয়া খাবার যদি মাত্রাতিরিক্ত গরম থাকে তাহলেও খাবারের মধ্যে এই কেমিক্যালটি মিশে যেতে পারে। 

যদিও FDA ফিডার, কাপ এবং ফরমুলা দুধ এর প্যাকেট তৈরির ক্ষেত্রে BPA নিষিদ্ধ করে দিয়েছে তবে এই সংস্থাটির মতে অন্যান্য পলিকার্বোনেট প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য মানুষের ব্যাবহারের জন্য নিরাপদ কারণ এতে করে খাবারের মাধ্যমে বিসফিনল  মানুষের শরীরে যাওয়ার মাত্রা অনেক কম।   তবে অনেক বিজ্ঞানী এবং পরিবেশবাদী সংস্থা এক্ষেত্রে দ্বিমত পোষণ করেন।

পরিবেশবাদী সংস্থাগুলোর মতে, শতকরা ৯০ ভাগ গবেষণাতেই দেখা গেছে বিসফিনল শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর, অপরদিকে মাত্র ১০ শতাংশ গবেষণায় বলা হয়েছে বিসফিনল  ব্যাবহারে শারীরিক ঝুঁকি তেমন একটা নেই।  এছাড়াও ইতোমধ্যেই আমেরিকাএবং কানাডার অনেকগুলো পরিবেশ অধিদপ্তর খাবারের কৌটো তৈরির ক্ষেত্রে বিসফিনল  ব্যাবহারের স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

অনেকেই এটা বিশ্বাস করেন যে, বিসফিনল  নবজাতকের শরীরের জন্য এতটাই ক্ষতিকর যে বাবা-মা’দের জন্য এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা খুবই জরুরী। তাদের নবজাতক শিশুটি যাতে এ ক্যামিকেল থেকে যথাসম্ভব দুরে থাকে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া বাবা মায়েদের জন্য জরুরী।  

কেন ‘বিসফিনল  এ’ BPA শরীরের জন্য ক্ষতিকর?

আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ সিস্টেম অনেকগুলো গ্ল্যান্ড দ্বারা তৈরি এবং সাধারণত এগুলো শরীরে হরমোন সরবরাহ করে যা আপনার শরীরের গঠন, পাকযন্ত্র এবং সেক্সুয়াল পরিপক্বতা এবংকার্যকরীতা সুনিশ্চিত করে। যখন আপনার শরীরের মধ্যে ‘বিসফিনল  এ’ নামক কেমিক্যালটি মিশে যায় তখন এই কেমিক্যালটি আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ হরমোনের স্বাভাবিক ভারসম্যতা নষ্ট করে।  

প্রাণীদেহের উপর করা গবেষণাগুলো থেকে দেখা যায় যে, বিসফিনল  সেই সব হরমোনের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে, যেগুলোর উপর মস্তিষ্কের পরিপক্বতা, প্রজনন ক্ষমতা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ভর করে। ল্যাবরেটরিতে প্রাণীদেহের উপর করা গবেষণায় দেখা যায় যে, ‘বিসফিনল  এ’এর সংস্পর্শে আসলে ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি হয়।

এছাড়াও এটা শুক্রাণু সংখ্যা কমিয়ে প্রজননের উর্বরতা রোধ করে এবং  এই কেমিক্যালের সংস্পর্শে আসলে অস্বাভাবিক আচার আচরণ করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।বাইসোফোনেলের সংস্পর্শে আসলে আরো যে সকল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তার মধ্যে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের অস্বাভাবিকতা অন্যতম।      

আমেরিকার জাতীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (NIH) এবং পরিবেশ প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর বেশ কিছু সংখ্যক বিশেষজ্ঞকে একসাথে করেন যারা প্রায় ৭০০ এর বেশি গবেষণা পর্যালোচনা করে একটি আশঙ্কাজনক তথ্য খুঁজে পান। আর সেটা হল, গবেষণায় যে মাত্রার BPA পশুদের দেহে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে মানুষের দেহে BPA এর মাত্রা তার চাইতে বেশী পাওয়া গেছে।  

বিজ্ঞাপণ

‘বিসফিনল  এ’ কেমিক্যাল মুক্ত প্লাস্টিক ব্যাবহার কি তবে নিরাপদ?

জাতীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (NIH) এর মতে যে সকল ফিডারের গায়ে “বিসফিনল  মুক্ত” কথাটি লেখা থাকে বাবা-মা’রা সেগুলো নির্দ্বিধায় ব্যাবহার করতে পারবেন। অপরদিকে AmericanAcademy of Pediatrics (AAP) এর মতে,যদি সম্ভব হয় তাহলে প্লাস্টিকের ফিডার ব্যাবহার না করাই ভালো। কেননা, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ‘বিসফিনল  এ’ না থাকার পরেও প্লাস্টিক থেকে অন্যান্য অনেক ক্ষতিকারক কেমিক্যালও খাবারে মিশে যেতে পারে। 

২০১১ সালে একটি পরিবেশ ও স্বাস্থ্য জার্নালে প্রায় ৫০০ এর অধিক প্লাস্টিকের তৈরি খাদ্য সংরক্ষণের কৌটা এবং ফিডারের উপর গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে পরিলক্ষিত করা যায় যে, প্রায় সব ধরনের প্লাস্টিক থেকেই হরমোনের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে এমন ক্যামিকেল নিঃসৃত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ‘বিসফিনল  এ’ মুক্ত প্লাস্টিক থেকেও এমন ক্যামিকেল নিঃসৃত হয়।

পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা একটি ব্যাপারে একমত যে শুধুমাত্র ‘বিসফিনল  এ’ একমাত্র ক্যামিকেল নয় যেটা খাবারে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। একটা প্লাস্টিকের মধ্যে প্রায় ৫- ৩০ টির মত ক্যামিকেল এবং যেসব প্লাস্টিকের পণ্যে একাধিক অংশ থাকে, যেমন-  প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ফিডারের মধ্যে প্রায় ১০০টিরও বেশি ক্ষতিকারক ক্যামিকেল থাকে। এমনকি একদম পাতলা প্লাস্টিকের মোড়ক দিয়েও যদি খাবার মাইক্রোওয়েভে দেয়া হয় তাহলে এ থেকে ক্ষতিকারক ক্যামিকেল খাবারে মিশে যেতে পারে। 

পরিবেশবাদী সংস্থার একজন সিনিয়র গবেষক সনিয়া লুন্ডারের মতে, ‘প্লাস্টিকের তৈরি খাবারের কৌটো এবংপ্যাকেটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যামিকেল থাকে যা হরমোনের জন্য বেশ ক্ষতিকারক”। তিনি এ সম্পর্কে আরো বলেন, “এ ধরনের ক্ষতিকারক কেমিকেলের মধ্যে বিসফিনল অন্যতম। তাই পলিকার্বোনেট প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি পণ্য ব্যাবহার না করাই উত্তম কেননা এ ধরনের প্লাস্টিক থেকে বিসফিনল  এ নির্গত হয় এবং খাবারে মিশে যায়। আর সব ধরণের প্লাস্টিকের খাবারের কৌটোর ক্ষেত্রে বাবা-মা’দের সতর্ক থাকা উচিৎ”  

সনিয়া লুন্ডারের মতে,যে কোন প্রকার প্লাস্টিক মাইক্রোওয়েভ এবং ওভেনে দেয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ কেননা অতিরিক্ত তাপমাত্রায় প্লাস্টিক থেকে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল খাবারে মিশে যায়।এছাড়া যদি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করা পানি দিয়ে ফর্মুলা তৈরি করেন তবে পানি ফীডারে ঢালার আগে ঠাণ্ডা করে নিন।

[ আরও পড়ুনঃ কিভাবে নবজাতক শিশুর জন্য তৈরি ফর্মুলা দুধের নিরাপদ ব্যাবহার নিশ্চিত করবেন ] 

অন্যান্য পণ্যতেও কি ‘বিসফিনল  এ’ নামক এই ক্ষতিকারক কেমিক্যাল পাওয়া যায়?

এই প্রশ্নের উত্তরে ‘হ্যাঁ’ বলা যায়। অন্যান্য প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য যেমন খেলনা, দাঁতের সিল এবং পানির বোতলেও বিসফিনল  এ পাওয়া যায়।এছাড়াও টিনের তৈরি কৌটার চারপাশের প্লাস্টিকের সিলের মধ্যেও এই  কেমিক্যাল পাওয়া যায়। 

এছাড়াও অন্যান্য পণ্য যেমন, ইলেকট্রিক যন্ত্র,চোখের লেন্স, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ক্যাশ রেজিস্টারের রিসিপ্টের মধ্যেই ‘বিসফিনল  এ’ পাওয়া যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে নবজাতক শিশুর মুখে যাতে এই কেমিক্যাল না চলে যায়, প্রাথমিকভাবে এই ব্যাপারেই সতর্ক থাকতে হবে।   

শিশুকে কীভাবে নিরাপদ রাখা যাবে?

নিউইয়র্কের আইক্যান স্কুল অফ মেডিসিনের প্রফেসর শান্না সোয়ান বলেন, “আমরা এবং আমাদের শিশুরা যেহেতু প্রায় প্রতিনিয়তই এই কেমিকেলের সংস্পর্শে আসি তাই বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা কিছুটা হলেও নিরাপদ থাকতে পারব” তিনি আরো বলেন, “এই ব্যাপারে একটি সাধারণ নিয়ম হলো অপ্রয়োজনে এই কেমিক্যালের সাথে যতটা পারা যায় খাবার এবং পানির সংমিশ্রণ না ঘটানো”

আপনি যদি ‘বিসফিনল  এ’ এবং অন্যান্য কেমিক্যালের ব্যাপারে বিশেষ ভাবে উদ্বিগ্ন হন, তাহলে ফিডার ব্যাবহারের ক্ষেত্রে একটু বেশিই সতর্ক থাকুন কেননা নবজাতকের মুখে ফিডারের মাধ্যমেই এই কেমিক্যালগুলো যেতে পারে। আপনি যে সকল সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন: 

  • যদি সম্ভব হয় তাহলে আপনার শিশুকে বুকেরদুধ খাওয়ান । তবে আপনি যদি বুকের দুধ না খাওয়াতে পারেন তাহলে নিচের নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করুন।
  • আপনি যদি ফিডারের মাধ্যমে আপনার শিশুকে দুধ খাওয়ান, তাহলে প্লাস্টিকের তৈরি বোতল পরিহার করে এর পরিবর্তে কাঁচের অথবা স্টেইনলেস ষ্টীলের তৈরি ফিডার ব্যাবহার করতে পারেন। 
  • আর আপনি যদি প্লাস্টিকের ফিডারেই দুধ খাওয়াতে চান, তাহলে American Academy of Pediatrics এর পরামর্শ অনুযায়ী পুনঃ ব্যাবহারের কোড ৩,৬ এবং ৭ এরপ্লাস্টিক ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকুন। নিরাপদ ভাবে পরিষ্কার করার জন্য সাধারণ স্পঞ্জ এবং ব্রাশ দিয়ে কুসুম গরম পানি ও সাবান দিয়ে ফিডার ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। 
  • ফরমুলা দুধ অথবা বুকের দুধ যদি প্লাস্টিকের ফিডারের মধ্যে গরম করতে চান,তাহলে এটা কুসুম গরম পানির পাত্রে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন।
  • যে সকল ফিডার এবং সিপিং বোতল কিছুটা ঘোলাটে হয়ে গিয়েছে, গায়ে দাগ পড়ে গিয়েছে অথবা ফেটে গিয়েছে সেগুলো ফেলে দিন। কেননা এই ধরনের প্লাস্টিকের পণ্য থেকে কেমিক্যাল বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হয়।

[ আরও পড়ুনঃ কিভাবে নিরাপদ উপায়ে ফরমুলা দুধ সংরক্ষণ করে ব্যাবহার করা যায় ] 

আপনার পরিবারকে কীভাবে নিরাপদ রাখবেন?

নিম্নে বর্ণিত পদক্ষেপগুলো মাধ্যমে আপনার পরিবারের সদস্যদের BPA  এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক কেমিক্যাল থেকে দূরে রাখতে পারবেনঃ 

  • প্লাস্টিকের কৌটাজাত এবং প্যাকেট-জাত খাবার পরিহার করুন।
  • কোন প্রকার প্লাস্টিক ডিশওয়াশারের মধ্যে অথবা মাইক্রোওয়েভের মধ্যে দিবেন না এবং অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে প্লাস্টিক ধোবেন না। উচ্চতাপমাত্রা এবং অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত সাবান প্লাস্টিকের ক্ষতি করতে পারে এবং এ থেকে বেশি পরিমাণে কেমিক্যাল নিঃসৃত করে।
  • সিরামিক প্লেটে পেপার টাওয়েল দিয়ে খাবার ঢেকে এরপর মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করতে দিন। 
  • যখন খাবারের কৌটো অথবা প্লাস্টিকের খাদ্যমোড়ক কিনতে যাবেন তখন অবশ্যই বেশ কিছু ধরনের প্লাস্টিক ক্রয় থেকে বিরত থাকবেন।সেগুলো হল প্লাস্টিক কোড ৩ (এর মধ্যে ফ্যাথেলেটেস নামক ক্ষতিকারক কেমিক্যাল থাকতে পারে), প্লাস্টিক কোড ৬ ( এরমধ্যে নিউরোটক্সিনস্টাইরিন নামক ক্ষতিকারক কেমিক্যাল থাকতে পারে) এবং প্লাস্টিক কোড ৭ (এর মধ্যে বিসফিনল এ থাকতে পারে)। তবে এই ধরনের প্লাস্টিকের পণ্যের মধ্যে যদি “biobased” এবং “greenware” কথাটি লেখা থাকে তবেএগুলো অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। 
  • কৌটাজাত খাদ্য পরিহার করুন কেননাবেশীরভাগ কৌটাজাত খাদ্যের মধ্যেই ‘বিসফিনল  এ’ কেমিক্যালটি থাকতে পারে।

সবার জন্য শুভকামনা।


Spread the love

Related posts

Leave a Comment