আপনার অতি দুষ্টু শিশুটিকে কিভাবে সামলাবেন?

Spread the love

১২ মাস থেকে ৩৬ মাস (Toddler), এই সময়ের শিশুরা একটু দুষ্টুই থাকে বলা চলে। তাহলে অতি দুষ্টুকে আমরা কিভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারি?

“এই বয়সের সব বাচ্চারাই কেন যেন খুবই ব্যস্ত। তারা বেয়ে বেয়ে উঠে যায়, লাফায়, জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলে, আরো কত কি!” সেটাই বলছেন বিখ্যাত বই ‘রেইজিং ইউর স্পিরিটেড চাইল্ড’ এবং ‘কিডস, পেরেন্টস এন্ড পাওয়ার স্ট্রাগলস : উইনিং ফর এ লাইফটাইম’ (Raising Your Spirited Child and Kids, Parents, and Power Struggles: Winning for a Lifetime) বইয়ের লেখিকা ম্যারি শেডি কুরচিনকা।

বিজ্ঞাপণ

“কিন্তু অতি দুষ্টু বলতে এমন শিশুকে বোঝায় যার হাত ফ্রিজের উপর অব্দি পৌছে যায়।” বলছিলেন কুরচিনকা। “সব শিশুরাই ‘না’ বলে, কিন্তু অতি দুষ্টু শিশুদের ‘না’টা খুব জোরালো এবং বেশ নিয়মিত। তার রাগের মুহুর্তগুলোও দীর্ঘ সময় ধরে চলে এবং খুব তীক্ষ্ণ হয়”।

এমন দুষ্টু শিশুদের সামলানো বেশ খানিকটা কঠিনই বলা যায়। কিন্তু এমন কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে মা-শিশুর প্রতিদিনকার যুদ্ধে স্থায়ী বিরতির পাশাপাশি শিশুকে আত্ম-নিয়ন্ত্রন শেখানো সম্ভব।

একটু পর কি হতে যাচ্ছে, শিশুকে তা আগে থেকেই অবগত করুন 

একটু পর কি ঘটতে যাচ্ছে সেটা পুর্বানুমান করতে না পারায় এই বয়সের শিশুরা কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়ে। আর সেজন্য একটু দুষ্টু শিশুদের এই ব্যাপারে এমন সব ভাবে অবগত করতে হয় যা আপনি হয়তো কখনো চিন্তাও করেন নি।

ধরুন, খেলার মাঠে খেলার সময় শেষে আপনার শিশুটি মাঠেই চিৎকার করে গড়াগড়ি শুরু করে দিল, এর কারণ খুব সম্ভবত একটু পরে কি ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে তার দুশ্চিন্তা। আপনি তাকে বিস্তারিত বলুন, “আমরা এখন রিকসায় করে আপুর কোচিংয়ে যাবো। সেখান থেকে আপুকে নিয়ে বাসায় যাবো। বাসায় গিয়ে দাদুর বানানো নুডুলস খাবো।”

মনে রাখবেন, শুধু মুখের কথা এই বয়সের শিশুর উপর সবসময় প্রভাব ফেলতে পারে না। যেমন আপনি যদি বলেন, “আজ বাবা তোমাকে বিকেলে ডে-কেয়ার থেকে নিতে আসবে”, – সেক্ষেত্রে আপনার শিশুর পক্ষে এই কথাটা সারাদিন মনে রাখাটা দুরূহ ব্যাপার। এক্ষেত্রে আপনি আপনার শিশুর ডে কেয়ারে বলে রাখতে পারেন যাতে তাকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে, আজ বাবা তাকে নিতে আসবে।

কখনো কখনো ‘দৃশ্যমান কোন কিছু’ শিশুকে বেশী প্রভাবিত করতে পারে৷ যেমন কোন এক অনুষ্ঠানে শিশুর নানা-নানু বাড়িতে বেড়াতে আসবেন। আপনি আগেই আপনার শিশুকে ছবি দেখিয়ে তাদের সাথে পরিচয় করিতে দিতে পারেন৷ তবে, আপনার শিশুকে একদমই সারপ্রাইজ দিবেন না, তা কিন্তু না। সারপ্রাইজ দিবেন, কিন্তু আগে থেকে হালকা ইংগিত দিয়ে রাখতে পারেন।

নিয়মকানুনের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ও ধারাবাহিক থাকুন

যে নিয়ম কানুন গুলো আপনি চাইবেন যেন আপনার শিশুর অভ্যাসে পরিণত হোক, সেগুলোর ব্যাপারে সুস্পষ্ট এবং ধারাবাহিক থাকুন। যেমন আপনি যদি চান যে দুপুরের খাবারের পর আপনার শিশু ঘুমিয়ে যাক, সেক্ষেত্রে এটা সবসময়ই মেনে চলুন। যদি সে ঘুমুতে না-ও চায়, তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিন।

যদি রাতের খাবারের পর কার্টুন দেখা মানা হয়ে থাকে, সেটা যেন সবসময় মানা-ই থাকে। আপনি যদি ‘শুধু আজকেই’ তাকে দেখতে দেন যাতে আপনি হাতের একটা কাজ শেষ করে নিতে পারেন তাহলে কিন্তু আগামীকালও সে ডিনারের পর কার্টুন চেয়ে বসবে, এমনকি তার পরের দিন এবং তার পরের দিনও।

শিশুর কাছাকাছি থাকুন

“এই বয়সের শিশুরা স্বাধীনতা চায় কিন্তু তারপরও তারা মা-বাবার সান্যিধ্য কামনা করে।” – বলছিলেন কুরচিনকা। ঘুমানোর আগে পিঠে হালকা হাত বুলিয়ে দেওয়াটা সে খুবই পছন্দ করতে পারে। অথবা সকালে ঘুম ঘুম থেকে উঠে তাকে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ বসে থাকাটা তার প্রিয় হতে পারে।

তার খেলনাগুলো আপনি আপনার রুমে নিয়ে আসুন যাতে সে যখন খেলবে তখন আপনার চোখের সামনেই থাকে। আর যদি সে ডে-কেয়ারে থাকে, তখন তার সাথেই মাটিতে বসে যান যতক্ষণ না সে নিজের গ্রুপের সাথে মিশে যায়। এক কথায় কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করুন।

এই কাজগুলো হয়তো আপনার পক্ষে সবসময় মেনে চলা কিছুটা কঠিন হয়ে যাবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এগুলোবাচ্চার জেদ এবং ট্যান্ট্রামের সময় আপনার সময় বাঁচাবে। কুরচিনকা বলেন, “এই বয়সের শিশুদের এটা বোঝানো উচিত যে আপনি সবসময় তার জন্যে তার পাশেই আছেন। আর এভাবেই সে আরো বেশী স্বাধীনচেতা হয়ে বেড়ে উঠবে”।

‘হ্যা’বোধক পরিবেশ তৈরী করুন

” আমি করি”, এটা এই বয়সের শিশুদের অন্যতম প্রিয় কথা। ছোট জার থেকে সে নিজেই গ্লাসে দুধটা ঢালুক, রাতের খাবারটা তাকে নিজের হাতেই খেতে দিন অথবা জুতাটাও তাকে নিজে নিজেই পড়তে দিন৷ এর ফলে যদিওবা কাজগুলোতে অনেক বেশী সময় ব্যয় হয় কিংবা মাঝে মাঝে এটা ওটা ভেঙেও ফেলে, তবুও এটা জরুরী কারণ এর মাধ্যমে শিশুরা স্বাধীন হতে শেখে।

এর পাশাপাশি আপনার ঘরটা কিভাবে সাজানো এটাও একটু খেয়াল করুন। রান্নাঘরের আলমারিতে প্লাস্টিকের জার কিংবা বাটি আছে তো যা দিয়ে সে খেলতে পারে? তার বই-পত্র কিংবা খেলনা গুলো এমন উচ্চতায় আছে তো যাতে সে সহজে নিজেই সেগুলো ধরতে পারে? ছোট টুল কিংবা ফ্লোর কাউচ কি আছে যেখান থেকে সে লাফালাফি করলে বিপদ-আপদ ঘটার সম্ভাবনা নেই? আপনার ঘরটা যতটা বেশী আপনার শিশুবান্ধব হবে, ততই তার সাথে “এটা করো না”,” ওখানে যেও না” নিয়ে আপনার যুদ্ধ কমে যাবে।

বিপদজনক জায়গাগুলো এড়িয়ে চলুন

যদি আপনার প্রচন্ড দুষ্টু বাচ্চাটা চেয়ারে ঠিকঠাক বসতেই না চায়, সেক্ষেত্রে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার আগে রেস্টুরেন্ট পছন্দ করার সময় এটা মাথায় রেখেই করুন। আবার রেস্টুরেন্টের বদলে বন্ধের দিনের পিকনিকটা কোন পার্কেই না হয় করে ফেলতে পারেন।

নতুন মানুষদের সাথে মিশতে কিংবা স্বাভাবিক হতে অনেক শিশুর বেশ কিছু সময় লেগে যায়। সেক্ষেত্রে নতুন কারো কোলে হুট করে শিশুকে দিয়ে দেবেন না। আগে দূর থেকে পরিচয় করিয়ে দিন, কথা বলান। সবকিছু অনুকূলে মনে হলে তবেই তাকে নতুন কারো কোলে দিতে পারেন।

বিয়ে বা যে কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার দুষ্টু শিশুটির কথা মাথায় রেখেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিন৷ যদি এমন কোন উপলক্ষ্য থাকে যেখানে যেতেই হবে, সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে, আপনার শিশু রেগে উল্টাপাল্টা কিছু ঘটিয়ে ফেলার আগেই চলে আসতে দ্বিধাবোধ করবেন না।

তার স্নায়ু শিথিল করার চেষ্টা করুন

যখন দেখবেন উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে ,তখন দুষ্টু শিশুটির স্নায়ু শিথিল করার চেষ্টা করুন৷ পানি এক্ষেত্রে অন্যতম নিয়ামক হতে পারে। শীতের রাতে গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিতে পারেন কিংবা প্রচন্ড গরমের কোন বিকেলে ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে পারেন৷

আঙুল দিয়ে আঁকাআঁকি করা কিংবা ক্লে দিয়ে আকৃতি বানানোও শিশুর স্নায়ু শিথিল করতে বেশ সহায়ক। অনেক শিশুরা আবার মাটিতে বালি, শেভিং ক্রিম ইত্যাদি ছড়িয়ে ছিটিয়েও আনন্দ পায়।

বিজ্ঞাপণ

অনুভূতি ভাগ করে নিন

আপনার শিশুর সাথে কথা বলুন কেন বা কোন সমস্যার কারণে সে রেগে যাচ্ছে এবং তাকে এটাও জানান যে আপনি তার সাথেই আছেন এবং আপনিও তার মতোই। “এই চিৎকার চেঁচামেচি খুব বিরক্ত লাগছে, তাই না? আমারও খুব খারাপ লাগছে। আমরা জুতাটা কিনে সাথে সাথেই চলে যাবো” – মার্কেটে গিয়ে এভাবেই আপনার শিশুর সাথে অনুভূতিটা ভাগ করে নিতে পারেন।

যদিও আপনি ঐ অবস্থায় কি বলছেন তাতে তার উপর খুব বেশী একটা প্রভাব পড়বে না, তবুও আপনি বলুন৷ যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেওয়ার পরে সাথে সাথে কাজ না হলে রেগে যাবেন না। মুখের কথায় আসলে এই বয়সের শিশুদের আচার আচরণে খুব একটা প্রভাব পড়ে না। তাই যৌক্তিক ব্যাখ্যাটা যথাসম্ভব ছোট এবং হাসিমুখেই দেওয়ার চেষ্টা করুন। এর ফলে যেটা হবে, আপনি আপনার শিশুর সমস্যার ব্যাপারে অবগত থাকবেন এবং তার ভাগীদার হবেন। এবং ধীরে ধীরে আপনার শিশুও বুঝতে শিখবে কি কি সব কারণে সে রেগে যাচ্ছে।

ভালো ব্যবহারকে পুরস্কৃত করুন

প্রসংশা করলে মাথায় উঠে বসবে এমনটা ভাবার কোন কারণই নেই। “পুরো বাটি নুডলস শেষ করে ফেলেছো দেখি! ভেরি গুড বয়” কিংবা “গাড়িটা বক্সে রেখে দিয়েছো! বাহ আমার ছেলেটা তো অনেক লক্ষী” এগুলো বলে আপনার শিশুর চেষ্টাটাকে উদ্বুদ্ধ করুন। প্রশংসা করার একটা কারণও ছাড় দেবেন না বরং প্রশংসা করার কারণ খুঁজে খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।

বাচ্চার কাছ থেকে চাওয়াটা বাস্তবিক রাখুন

একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন যে পরিমাণ কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করে থাকে তা এই বয়সের একটা শিশুর জন্যে পালন করা বাস্তবিক অর্থে অনেক দূরুহ হয়ে পড়ে। রেডি হয়ে ঘর থেকে বের হওয়া, গাড়ি করে এখান থেকে এখানে যাওয়া, ডে কেয়ারে যাওয়া, দোকানে যাওয়া, আবার বাসায় আসা, এর মধ্যে খাওয়া-ঘুম এগুলো পালন করা – এগুলো এই বয়সে শিশুর জন্যে অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে কিনা সেটাও চিন্তা করে দেখুন যেখানে একটা শিশুর পক্ষে নতুন একটা পরিবেশে, নতুন মানুষের সাথে মানিয়ে নিতে বেশ কিছু সময় লেগে যায় এবং অতিরিক্ত কোলাহলে সে বিচলিত হয়ে পড়ে।

বাস্তবতার নিরিখে নিজেকে প্রশ্ন করুন,”আমি কি আসলেই চাইছি আমার বাচ্চাটা এখনই এতসব হ্যান্ডেল করুক?” যদি সম্ভব হয় অপ্রয়োজনীয় ঘোরাঘুরি পরিহার করুন এবং নিজেকে প্রশ্ন করুন, “আমার কি এখন ওখানে যাওয়াই দরকার?”

নেতিবাচকভাবে ডাকা পরিহার করুন

অন্যদের কাছে আপনি আপনার শিশুকে কি বলে ডাকছেন সেটা একটু খেয়াল করে দেখুন তো! যে শিশুটি ‘উগ্র’, ‘একগুয়ে’, ‘ছিঁচকাদুনে’, সে কিন্তু একই সাথে ‘চঞ্চল’, ‘অটল’ এবং ‘সংবেদনশীল’। আত্মীয় স্বজন কিংবা যে কারো সাথে আপনার শিশুকে নিয়ে কথা বলার সময় অবশ্যই নেতিবাচক শব্দগুলো পরিহার করে ইতিবাচক শব্দ ব্যবহার করুন। এর মাধ্যমে আপনার শিশুর প্রতি অন্যদের ব্যাবহারেও আপনি ইতিবাচকতা লক্ষ্য করবেন।

আপনি যখন আপনার শিশুর ইতিবাচক ব্যাপারগুলোতে নজর দিবেন, আপনার শিশুর প্রতি আপনার ব্যবহারও অনেক ভালো হয়ে পড়বে যা শিশুর আচরণেও ভালো প্রভাব ফেলবে।

খেলাধুলার সুযোগ করে দিন

এই বয়সের শিশুরা সবসময়ই দৌড়ের উপর থাকতে পছন্দ করে। এটা নিশ্চিত করুন যাতে সে দিনে দৌড়াদৌড়ি অর্থাৎ শারিরীক কার্যকলাপের জন্যে যথেষ্ট সময় পায়। যদি না সে ঘুমিয়ে থাকে, টানা এক ঘন্টার বেশী শিশুকে কোন কাজ ছাড়া বসিয়ে রাখা ঠিক না। আপনার শিশু যত সক্রিয় থাকবে, তা তার মাংসপেশী তত সুগঠিত, নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

আপনার শিশুর সাথে এমন খেলায় অংশ নিন যেখানে আপনিও সক্রিয় ভূমিকায় থাকবেন৷ যেমন আপনার শিশুর দিকে একটা বল ছুড়ে মারুন, তাকেও বলুন আপনার দিকে ছুড়ে মারতে। এই খেলার মাধ্যমে আপনার শিশু আত্মনিয়ন্ত্রণটা শিখে যাবে।

আপনার শিশু যখন বুঝে যাবে যে সে শারিরীকভাবে কোন কিছু করার জন্য দক্ষ হয়ে উঠেছে, এটা তাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। আর সে যত আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে, তার ব্যবহারও তত সুন্দর ও গোছানো হয়ে যাবে।

নিজের যত্ন নিন

যত কঠিনই হোক, নিজের জন্যে, শুধুমাত্র নিজের জন্যে প্রতিদিন কিছু সময় বরাদ্দ রাখুন। ঘরটা সবসময়ই সম্পূর্ণ গোছানো হতে হবে কিংবা রাতের খাবারটা সবসময়ই খুব ভালো হতে হবে এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসুন৷ অনেক রাত হয়ে গিয়েছে, আপনিও খুব টায়ার্ড এদিকে রান্নাঘরটা ময়লা হয়ে আছে, থাকুক না! খুব বেশী ক্ষতি হয়ে যাবে কি!

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন, শিশু যখন ঘুমিয়ে থাকবে এর মাঝে আরাম করে গোসলটা সেড়ে ফেলুন। রাতে যখন আপনার শিশু ঘুমিয়ে থাকবে, রাতটা পুরোপুরি আপনার পার্টনারের সাথে কাটান, নিজের আয়েশের জন্যে রাখে দিন।

সবচেয়ে বেশী যেটা জরুরি, নিজের কিছু রিল্যাক্সিং পয়েন্ট বের করুন। হতে পারে সেটা আপনার পার্টনারের সাথে কথা বলা, বন্ধুবান্ধবদের সাথে থাকা, আপনার মায়ের সাথে কথা বলা বা যেকোন কিছু যা তাৎক্ষণিক আপনাকে রিল্যাক্স করবে, আপনার মুখে হাসিটা ধরে রাখবে। আপনি যখন সুখে থাকবেন, আপনার মেজাজ যখন ঠিক থাকবে, আপনার শিশুও এর দ্বারা উপকৃত হবে, সঠিক আদর ও সেবা পাবে।

সূত্র

এমন অনেক বই আছে যেগুলো আপনাকে এসব দুষ্টু মিষ্টি বাচ্চাদের ঠিকভাবে লালন পালনে সহায়তা করবে।

Raising Your Spirited Child, by Mary Sheedy Kurcinka

The Difficult Child: Expanded and Revised Edition, by Stanley Turecki and Leslie Tonner

Living With the Active Alert Child, by Linda Budd

The Fussy Baby Book: Parenting Your High-Need Child From Birth to Age Five, by William and Martha Sears


Spread the love

Related posts