প্রসব বেদনা সহনীয় করার উপায়

Spread the love

আপনার প্রসব প্রক্রিয়া কতো দ্রুত অগ্রসর হবে তা কয়েকটি জিনিসের উপর নির্ভর করে, যার মধ্যে আছে শিশুর নীচে নামা বা শ্রোণী দিয়ে নীচের দিকে নামা, এবং প্রতিনিয়ত শক্ত খিঁচুনীসহ জরায়ুর মুখ বা গর্ভাশয়ের গলা খুলে যাওয়া (প্রসারিত হওয়া)। বিভিন্ন উপায়ে আপনি আপনার প্রসবকে সাহায্য করতে পারেন।যে সকল জিনিস সাহায্য করতে পারে সেগুলো হচ্ছে:

  • যতোটা সম্ভব শিথিল অনুভব করা
  • অ্যারোমাথেরাপি/সুগন্ধি তৈলমর্দন চিকিৎসা
  • শিথিলকরণ এবং শ্বাস-প্রশ্বাস পদ্ধতি।

কিভাবে আপনার সঙ্গী বা সাহায্যকারী ব্যক্তিরা সহযোগীতা করতে পারে

আপনার সঙ্গী বা সহযোগী ব্যক্তি আপনার প্রসব আরামদায়ক করার জন্য অনেক কিছুই করতে পারে। কিন্তু তাদেরও প্রস্তুতির দরকার আছে, সেটা ভোলা যাবে না। জন্মদানের সাথে কি কি জড়িত থাকবে তা যেন তারা বুঝে সেটা নিশ্চিত করবেন। তাদের সাথে আপনার জন্ম পরিকল্পনা এবং তারা কিভাবে সাহায্য করতে পারে সে ব্যাপারে আলোচনা করুন।

বিজ্ঞাপণ

তারা পারে:

  • আপনার সাথে থাকতে এবং আপনাকে সঙ্গ দিতে। (একের অধিক সহযোগী ব্যক্তি থাকা ভালো হতে পারে। একজন আপনার সাথে থাকতে পারবে যখন আরেকজন বিশ্রাম নিবে)
  • আপনার হাত ধরতে, আপনার সাথে কথা বলতে, আপনাকে উৎসাহ দিতে এবং আপনাকে মনে করিয়ে দিতে পারে যে ব্যাথা এক সময় প্রশমিত হবে
  • আপনার জন্য পান করার পানি এবং বরফ আনতে
  • আপনাকে শিথিলকরণের পদ্ধতিগুলো মনে করাতে
  • আপনাকে মালিশ করতে
  • আপনার অবস্থানের পরিবর্তনে সাহায্য করতে
  • হাসপাতাল কর্মীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে যখন আপনার দরকার হবে
  • কোন চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

যদিও কোন কোন মহিলা প্রসবের সময় তাকে স্পর্শ করা বা তার সাথে কথা বলা পছন্দ করে না। এটা ঠিক আছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনি ভাববেন যে প্রসবের সময় আপনি সাহায্য পাবেন এবং ভয় পাবেন না। এটা আপনার শরীরকে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া প্রদর্শনে সাহায্য করে যা সংকোচনের সময় ব্যাথা প্রশমনে সাহায্য করে।

যখন আপনি প্রতিটি সংকোচনের উপর মনোযোগ দিবেন, আপনার মন দেহ থেকে আলাদা মনে হতে পারে, কিন্তু সাহায্যকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে উৎসাহদানকারী শব্দ প্রসব চলাকালীন সময় গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসবের সময় ব্যাথা নিরাময়

ব্যাথা অনুভবের এবং তা মানিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সবাই ভিন্ন ভিন্ন হয়। প্রসবের সময় ব্যাথার সাথে মানিয়ে নিতে অনেক কিছু আছে যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু যতক্ষণ না আপনি বাচ্চা জন্ম দেয়ার ব্যাথার সাথে মোকাবেলা না করছেন, ততক্ষণ আপনি জানবেন না কিভাবে তা মোকাবেলা করবেন বা কোনটি সবচেয়েভালো কাজ করে – সুতরাং ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় চেষ্টা করার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

আপনি কিভাবে ব্যাথার সাথে মোকাবেলা করবেন তা অন্যান্য জিনিস দ্বারা প্রভাবিত হয় যেমন:

প্রসববেদনা কতক্ষণ স্থায়ী হয় এবং প্রসব দিনে বা রাতে হয় কিনা। যদি দীর্ঘ রাতের প্রসব বেদনায় ক্লান্ত হয়ে যান, তাহলে ব্যাথার সাথে মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে পড়ে।

উদ্বিগ্ন অনুভব করা। উদ্বেগ আপনাকে চিন্তায় ফেলে দিবে –এবং তা যেকোন ধরনের ব্যাথা বা অস্বস্তিকে আরো খারাপ করে ফেলে। প্রসবের সময় কি আশা যায় তা জানা, উৎসাহ এবং আপনাকে আশ্বস্ত করার জন্য আপনার সাথে লোক থাকা এবং আপনাকে স্বস্তিকর করার জন্য পরিবেশ তৈরী করা যা আপনাকে শিথিল এবং অনেক আত্মবিশ্বাসী করতে সাহায্য করবে।

নিজ চেষ্টা

প্রসবের সময়টা নিজেকে শান্ত রাখতে আর ব্যাথা সহনীয় করতে নিচের উপায়গুলো অবলম্বন করতে পারেন –

  • প্রসব সম্পর্কে জানুন। এতে প্রসব নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তা দূর হবে এবং প্রসব সহনীয় হবে। গর্ভধারন ও প্রসবের ওপর বই বা ইন্টারনেট থেকে জানুন, ডাক্তারের সাথে কথা বলুন বা অন্যান্য মায়েদের কাছ থেকে জানুন।
  • লম্বা লম্বা শ্বাস নিয়ে শান্ত থাকার অভ্যাস করুন, যেন প্রসবের সময় এর প্রয়োগ করতে পারেন। শান্তভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিলে আপনার মাংসপেশিতে অক্সিজেনের সরবরাহ ভালোভাবে হবে আর সেজন্যই ব্যাথার প্রাবল্য কমে হবে। আর যেহেতু আপনার মনটা শ্বাস প্রশ্বাসের দিকে নিবিষ্ট থাকবে তাই ব্যাথার দিকে আপনার মন ততটা যাবেনা। ব্যাথার কষ্ট পাবার সময় শান্ত থাকতে পারাটা কঠিন। তাই প্রসবের আগেই এটা অভ্যাস করে নেয়া ভালো।
  • একভাবে বসে থাকলে অনেক সময় ব্যাথা বেশি অনুভব করতে পারেন। সামনে পিছে দুলুন বা হাঁটাহাঁটি করুন।
  • প্রসবের সময় সাথে স্বামী, বান্ধবী বা আত্মীয় কাউকে কাছে রাখতে পারেন। কাউকে না পেলে চিন্তা করবেন না, ডাক্তার/ নার্সই আপনাকে সাহায্য করবেন। আপনার সঙ্গীকে বলুন আপনার কোমর এবং পিঠ মালিস করে দিতে (যদিও সম্ভবনা আছে যে এ সময় কেউ আপনাকে ধরলে আপনার আপনার অস্বস্তি লাগবে)
  • গোসল করে নিতে পারেন – ভাল লাগবে।

আরও পড়ুনঃ প্রসব বেদন সহনীয় করার প্রস্তুতি 

সক্রিয় থাকা

যখন পারবেন ঘরের ভেতরে চারপাশে অথবা করিডোরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত হাঁটবেন। সক্রিয় থাকাটা আপনার মনকে ব্যাথা ভুলে থাকতে সাহায্য করতে পারে। আপনার সঙ্গীর উপর বা সাহায্যকারী ব্যক্তির উপর হেলান দিতে পারেন যদি তা সাহায্য করে।

অবস্থানের পরিবর্তন করা

চেষ্টা করুন:

  • দাঁড়িয়ে থাকতে
  • হাঁটু গেড়ে বসতে
  • হাত ও হাঁটুতে ভর দিয়ে দোল খেতে
  • আপনার সাহায্যকারী ব্যক্তির পিঠে পিঠ লাগিয়ে বসে থাকতে।
  • মালিশ বা মাসাজ

ম্যাসাজ করা প্রসবের সময় পেশীর টান কমাতে এবং আপনাকে শিথিল থাকতে সাহায্য করতে পারে। আপনার সঙ্গী বা অন্যান্য সাহায্যকারী ব্যক্তি লম্বা, চলমান বা বড় বৃত্তাকার ভঙ্গীতে চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। নিম্ন পৃষ্ঠদেশের ব্যাথার জন্য, তারা অল্প নাড়াচাড়ার সাথে শক্তভাবে চাপ দিয়ে চেষ্টা করতে পারেন। হাত সব সময় শরীরের সংস্পর্শে রাখুন।

আর্তনাদ করা বা শব্দ করে কাঁদা

প্রসবের সময় নীরব থাকার জন্য কোন পুরষ্কার নাই (ক্রীড়াবিদ বা ভার উত্তোলনকারীরা যদি নিজেদের ছাড়িয়ে যাবার সময় আর্তনাদ করতে পারে তবে আপনিও পারবেন)। নীরব থাকার চেষ্টা আপনাকে শুধুমাত্র দুশ্চিন্তাগ্রস্থ করতে পারে।

তলপেটে বা পিঠে গরম প্যাক রাখা আরামদায়ক হতে পারে। কোন কোন হাসপাতাল পুড়ে যেতে পারে বলে এটি অনুমোদন করে না,তাই প্রথমে আপনার ধাত্রীর কাছ থেকে জেনে নিন। গরম ঝর্ণা এবং গোসলও সাহায্য করতে পারে।

বিজ্ঞাপণ

হাইড্রোথেরাপি (পানিতে বসা)

অনেক মায়েরা কুসুম গরম পানিতে বসলে আরাম বোধ করেন এবং জরায়ুর সঙ্কোচনে ব্যাথা কম অনুভব করেন। ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করুন আপনি বার্থ পুল ব্যবহার করতে পারবেন কিনা। লক্ষ্য রাখবেন পানির তাপমাত্রা ৩৭°সে এর বেশি যেন না হয়।

প্রসবের সময় পানিতে থাকা, আরামের জন্য এবং ব্যাথা প্রশমনের জন্য কার্যকরী হতে পারে। পানি ভাসিয়ে রাখে যা শিথিল হতে সাহায্য করে। প্রসবের সময় উষ্ণ পানিতে শুয়ে থাকা আপনার শরীরে প্রাকৃতিক ব্যাথা প্রশমনকারী হরমোন (এনডরফিন/endorphins) নি:সরণ বাড়ায়, আর এতে করে স্ট্রেস হরমোনগুলো কমে এবং ব্যাথা কমে। এটি পেশীর টান কমাতে এবং দুটি সংকোচনের মাঝখানে আপনাকে শিথিল হতে সাহায্য করতে পারে।

পানিতে প্রসব করা:

  • উল্লেখযোগ্য ব্যাথা প্রশমন করতে পারে
  • ঔষধের এবং হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা কমাতে পারে, বিশেষ করে এপিডুরাল
  • প্রসবের সময় আপনাকে আরো নিয়ন্ত্রণে থাকতে এবং আপনার পেরে উঠার ক্ষমতা দেখে খুশী থাকতে সাহায্য করে
  • ওজনহীন ভাব প্রদান করে – শ্রান্ত পেশীকে শিথিল করে এবং উত্তেজনা প্রশমন করে
  • প্রসবের গতি বাড়ায়
  • আরাম বাড়ায় এবং শক্তি সংরক্ষণ করে।

উপরের অনেক উপদেশ, যেমন সচল থাকা এবং অবস্থান পরিবর্তন, আপনাকে ব্যাথার সাথে মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে। কিন্ত কিছু ক্ষেত্রে আপনার ঔষধ লাগতে পারে। এখানে সাধারণ প্রকারের সহজলভ্য ঔষধের তালিকা রয়েছে। ভিন্ন বিকল্প এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে, আপনার ধাত্রী বা ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

এন্টোনক্স (গ্যাস এন্ড এয়ার নামেও পরিচিত)

এটা নাইট্রাস অক্সাইড আর অক্সিজেনের সমানুপাতিক মিশ্রন। নাইট্রাস অক্সাইড বহুদিন যাবৎ ভাল চেতনানাশক গ্যাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই মিশ্রন আপনাকে সম্পূর্ণ অচেতন করবেনা তবে ব্যাথা লাঘব করতে সহায়তা করতে পারে। ঢাকার দামী হাসপাতালগুলোতে এই সুবিধা পেতে পারেন, তবে এদেশে এর চল নেই বললেই চলে।

কিভাবে কাজ করে

আপনি নিজে এর মাস্কটি ধরে রাখবেন এবং এর ভেতর শ্বাস নিতে থাকবেন। কাজ শুরু হতে ১৫-২০ সেকেন্ড সময় লাগে, তাই ব্যাথা কমাতে সঙ্কোচন শুরুর সাথে সাথেই শ্বাস নিন।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

এতে আপনার বা আপনার শিশুর ক্ষতির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে এতে আপনার মাথা ঝিমঝিম করতে পারে। অনেকের এতে ঘুম ঘুম ভাব লাগতে পারে। এরকম হলে এটি নেয়া বন্ধ করুন।এন্টোনক্সে কাজ না হলে ব্যাথানাশক ইঞ্জেকশন নিতে পারেন।

ইঞ্জেকশন

ব্যাথা কমানোর আরেকটি উপায় ইঞ্জেকশন যেমন- পেথিডিন বা ডাইমর্ফিন। এসব ইঞ্জেকশন দেয়া হয় মাংসপেশিতে তাই কাজ শুরু করতে ২০মিনিটের মত সময় লাগতে পারে এবং এর প্রভাব ২-৪ ঘন্টা স্থায়ী হয়।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

  • কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন:
  • মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব বা ভুলোমনা।
  • প্রসবের শেষ দিকে এর প্রভাব থাকলে বাচ্চা বের করার জন্য মা প্রয়োজনীয় চাপ দিতে না পারতে পারেন (এজন্যে শুরুতে অর্ধেক ডোজ নিয়ে দেখতে পারেন আপনার উপর এর প্রভাব কেমন)।
  • যদি প্রসবের শেষের দিকে পেথিডিন বা ডাইমর্ফিন দেয়া হয় তবে এর কারনে জন্মের পর বাচ্চার শ্বাসে অসুবিধা হতে পারে। এরকম হলে বাচ্চাকে পেথিডিনের এ্যান্টিডোট দেয়া লাগতে পারে।
  • বাচ্চা বুকের দুধ খাওয়া শুরু হতেও সমস্যা হতে পারে এসব ওষুধের জন্য।

এপিডুরাল

এপিডুরাল একপ্রকার স্থানীয় চেতনানাশক। যেসব স্নায়ু প্রসবের রাস্তা থেকে মস্তিষ্কে ব্যাথার অনুভুতি পৌঁছায় সেগুলিকে সাময়িকভাবে অকেজো করে দেয় এটি। এটি একটি সম্পূর্ণ ব্যাথানাশক। অনেক নারী, বিশেষত যারা লম্বা সময় ধরে প্রসব ব্যাথায় রয়েছেন, তাদের জন্য এটি বেশ ভাল একটি ওষুধ।

এপিডুরাল দেয়ার জন্য অবশ্যই একজন এ্যানাস্থেটিস্ট প্রয়োজন। আপনি এপিডুরাল নিতে চাইলে আজই নিশ্চিত হোন আপনার হাসপাতালে এ্যানাস্থেটিস্ট সর্বদা আছেন কিনা। একটি সরু এবং লম্বা সুঁচের মাধ্যমে মেরুদন্ডের মধ্যে এই ওষুধ ঢুকিয়ে দেয়া হয়। সুঁচটি বসাতে ২০ মিনিট লাগে আর ওষুধ কাজ করতে আরও ১৫-২০ মিনিট সময় লাগতে পারে।

কিভাবে কাজ করে

এপিডুরাল পাবার সময়:

আপনি এক হাতে স্যালাইন পেতে থাকবেন। আপনাকে বসিয়ে এ্যানাস্থেটিস্ট আপনার মেরুদন্ডের একটি জায়গা পরিষ্কার করে নিয়ে কিছু স্থানীয় চেতনানাশক দিয়ে দিবেন।একটি সরু এবং লম্বা সুঁচের মাধ্যমে মেরুদন্ডের মধ্যে এই ওষুধ ঢুকিয়ে দেয়া হয়।  এপিডুরাল লাগানো হয়ে গেলে এর ভেতর দিয়ে যন্ত্রের মাধ্যমে ওষুধ দেয়া যেতে পারে। এটি নার্স করতে পারেন বা আপনিও বোতাম চেপে প্রয়োজন অনুসারে নিতে পারেন। এসময় আপনার এবং আপনার বাচ্চার হৃৎপিণ্ডের গতিবেগ যন্ত্রের সাহায্যে লক্ষ্য রাখতে হবে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন:

  • পা ভারী ভারী লাগা।
  • এতে ঘুম আসা বা বমিভাব হওয়ার কথা না।
  • রক্তচাপ কমে যেতে পারে। যেন না কমে তাই হাতে স্যালাইন দেয়া হয়ে থাকে।

এর কারনে প্রসবের সময় দীর্ঘায়িত হতে পারে। কখনও কখনও বাচ্চাকে যন্ত্রের সাহায্যে বের করা লাগতে পারে। তবে বাচ্চা সুস্থ থাকলে ডাক্তার অপেক্ষা করতে পারেন। অনেক সময় ডাক্তার প্রসবের শেষভাগে ব্যাথানাশক কমিয়ে দিতে পারেন যেন আপনি স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা প্রসব করতে পারেন। যদি এপিডুরালের কারনে প্রস্রাবে সমস্যা হয় তবে আপনাকে ক্যাথেটার দেয়া হতে পারে।

এপিডুরালের কারনে অনেক নারীর মাথাব্যাথা অনুভব করেন, ডাক্তারকে বললে এজন্য ওষুধ দিতে পারেন। অনেকের পায়ে ঝিম ঝিম বা সুঁই ফোটার মতন অনুভব করতে পারেন। এটি এপিডুরালের জন্য নয় বরং প্রসবের কারনে হয়ে থাকে। ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন কখন আপনি হাটাচলা করতে পারবেন।

ব্যাথা নাশের অন্য উপায়

অনেকেই উপরোল্লিখিত ব্যাথানাশের উপায় মানতে চান না। তাদের কেউ কেউ আকুপাংচার, কেউ এ্যারোমাথেরাপি, হোমিওপ্যাথি, হিপনোসিস, মাসাজ বা রিফ্লেক্সোলজীর ওপর আস্থা রাখেন। এসবের কোনটিই প্রকৃতপক্ষে ব্যাথা নাশের কার্যকারী উপায় নয়। এগুলোর কোনটি নিতে চাইলে আগে ডাক্তার এবং হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এবং নিশ্চিত হোন যে ব্যাক্তিই আপনাকে সেবা দিচ্ছেন তিনি যোগ্য এবং দক্ষ কি না।

সবার জন্য শুভকামনা।


Spread the love

Related posts

Leave a Comment